আফ্রিকায় বৃষ্টি
- সুমাদ্রি শেখর
গতরাতে বৃষ্টি হল পাগলের প্রলাপের মত অবিশ্রান্ত।আফ্রিকার আকাশ বাংলার আকাশের মত সুনীল হলে কি হবে,এর অভিধানে অভিমান শব্দটি নেই।তাই এখানের বৃষ্টি দেখে একবার ও মনে হয়না আকাশের আজ মন খারাপ। মনে আছে যখন আসি এখানে তখন এক কাল বন্ধুকে বেশ গর্বভরে বলেছিলাম আমি বর্ষার দেশের মানুষ। বৃষ্টির জল আমাদের হৃদয়ের ভাষা বোঝে।কি জানি কি ভেবে বন্ধুটি আমার হেসে বলেছিল আফ্রিকার বর্ষা অতোটা রোমান্টিক নয়।এখানের প্রকৃতির সাথে আমাদের শ্যামলিমার অনেক মিল থাকলেও বৃষ্টি-প্রেমের অতীব গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ কদম ফুলের গাছ কোথাও চোখে পড়লনা এ কমাসে।আহা কদম ফুল!পৃথিবীতে অমন সুন্দর ফুল কটি ফোটে বর্ষাকালে।মনে পড়ে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দিনগুলোতে চারপাশের পাহাড় থেকে যখন ভেসে আসত বুনো কদমের মায়াবী গন্ধ তখন জন কীটস পড়াতে আসা শিক্ষকটি ও হঠাৎ যক্ষের মত বিরহী হয়ে উঠতেন।পৃথিবীর অন্য ভাষায় বর্ষাবন্দনা অমন করে কি হয়েছে কোনকালে?
এই এলাকায় নুতন বাড়ী কিনে গৃহ প্রবেশের পরের সপ্তাহেই দশ বছরের পুত্র এসে জানালো আগামী কাল তার ‘জব ইন্টারভিউ’। পরের দিন সকালে ঢ্যাংগা মতন একজন রাশান ভদ্রলোক এলেন আমাদের বাসায়। ফ্লায়ার ফোর্সের এরিয়া ম্যানেজার। এখানকার প্রায় প্রতিটি দোকানেই প্রতি সপ্তাহেই কিছু কিছু জিনিসের দাম কমিয়ে ব্যাবসা করার এদেশি নিয়ম। যে যে জিনিসের দাম কমলো, তার ছবিসহ নুতন দামের লিস্ট চমৎকার রঙ্গীন পেপারে ছাপিয়ে মানুষের বাড়ীতে বা
আমি প্রফেশানাল ফটোগ্রাফার না... তবে ছবি তুলা আমার নেশার মত...। তাই সময় সুযোগ পেলেই ছবি তুলি...।
এটা বাহারি কোন ফুল না এটা আনারস । আনারস সাধারণত সিলেটের বাগানে দেখে থাকবেন কিন্তু এটা আনারসের বাগানে তোলা না । এটা বড়ই নিঃসঙ্গ ...
আর কত ফুল ফোঁটাবো পাথরে?
পাথর কি হবে না কভূ মৃত্তিকা?
যদি অনুভূতিহীন হয় নীলাম্বরী প্রেম!
শুন্যতা কি ছোঁবেনা তোমার হৃদয়?
যদি মেঘ হয়ে যায় আমার চোঁখের স্বপ্নটুকু
বৃষ্টি হয়ে ঝড়বে বলে তোমার বুকে
বুকের পাজর দুহাত দিয়ে করবে আড়াল?
রাখবে ঢেকে বৃষ্টিবিহীন পাথর হৃদয়?
ভালবাসা কি এমনই হয়?
এমন করেই ঝড়াতে হয় নয়নের জল?
এমন করেই কাঁদব আমি তোমার তরে?
আর তোমার জলে ভাসবে তুমি-
হৃদয়হীনার স্বপ্ন দেখে?
এস এস সি ২০১১ তে জিপিএ ৫ পাওয়া পঞ্চগড়ের অদম্য আবদুস সোবহানের কথা পত্রিকা মারফত সারা দেশে আজ অনেকেরই জানা। কিন্তু কোন দৈনিকে খবর আসে নি যে বিগত কয়েক দিন সোবাহান ও তার পরিবারের মুখে ভাত জুটেনি।
কোথায় যেন এক মন খারাপ করা মালবাহী ট্রেন সরে পড়েছিলো তার লাইন থেকে।
আর আমাদের মহানগর প্রভাতী ক্লান্ত শরীরে মফস্বলের কোন এক স্টেশনে ঠায় দাড়িয়ে ছিল অনেকক্ষণ।
চা কিংবা ম্যাগাজিন স্ট্যান্ডের লোভে আমি হাটছিলাম এলোমেলো।
তোমাকে কখন প্রথম চোখে পড়লো মনে পড়ে না।
বাকী দশটা বেশ্যা পুরুষের মতোই তোমাকে আমি দেখিনি।
আমি দেখেছি তোমার চুল, গ্রীবা, ঠোট কিংবা শাড়ীর বাধা পেরিয়ে যতটুকু দেখা যায়।
মাথায় কোনভাবেই ঢুকত না, ফেইলরস কিভাবে পিলারস হয়?
তাও অনেক কষ্টে ঢুকালাম, স্কুলের দৌড় প্রতিযোগীতায় যখন শেষের দিকে প্রথম হলাম,
স্যার বলেছিলেন, ফেইলরস আর দা পিলারস অফ সাকসেস। মনে সান্ত্বনা একটাই, খালি হাতে তো আর বাড়ী ফিরি নাই, পিলারটাতো পেয়েছি। সেই আমার শুরু।
পর্ব-২
ঢাকা শহরে মাথা ঠান্ডা রাখা খুবই কঠিন। এমনকি নিজাম সাহেবের মতো মানুষের জন্যেও এটা একটা দুঃসাধ্য ব্যাপার। সারা শহর জুড়ে কেবল মানুষ আর মানুষ। ট্র্যাফিক জ্যামে পড়ে গোটা শহর ধুঁকছে। পনের মিনিটের পথ যেতে লাগে দু ঘন্টা।
সবুজ পাহাড়ের কোলে অবস্থিত বান্দারবন শহর।এর এক পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে শংখ নদী। বান্দরবন শহর সুন্দর তবে রাঙ্গামাটির শহরের মত এতটা সুন্দর নয়। বান্দরবনের আসল রূপ ছড়িয়ে আছে শহরের বাইরে প্রতিটি পাহাড়ের বাঁকে বাঁকে। এই ভয়াল সুন্দর রূপের বর্ণনা দেওয়া আমার সাধ্য নাই। ক্যামেরার ফ্রেমে কিছু দৃশ্য ধরে রাখার ব্যার্থ চেষ্টা করেছি মাত্র।
শহরটা ভিজতেই থাকে...রোদে,বৃষ্টিতে।জবুথবু রাজপথ চিত হয়ে চেয়ে চেয়ে দেখে ধূসর (অথবা হলুদ) আকাশ।একটা নিঃসঙ্গ সানশেড ঘিরে ছটফট করে আরো নিসঃঙ্গ একটা কাক।ধুলো আর ধোঁয়া চুরি করে নিয়ে যেতে থাকে এক একটা বিকেল,দুপুর...মধ্যরাত।যান্ত্রিক ডামাডোলে নিখোঁজ হয় একটা হুতুমপেঁচার একঘেয়ে দীর্ঘশ্বাস।
গল্পগুলো বলা হয়ে ওঠে না...কখনোই।