জোনাকিরা আলো জ্বালে,
টিমটিমে অপূর্ব শোভামণ্ডিত আলো,
বসন্তের শেষে বা গ্রীষ্মের সন্ধ্যায়।
স্বয়ংপ্রভ নীলাভ-সবুজ রহস্যময় দ্যুতি,
তার সহজাত সঙ্গী আহবান।
আমরাও আলো জ্বালি,
টিমটিমে চরম প্রত্যাশাময় আলো,
দিনের শুরুতে বা যখন দিনমণি অস্ত যায়।
প্যান্ডোরার বাক্সবন্দী আশারূপ অদৃশ্যমান শিখা,
আমাদের সহজাত অস্তিত্বের আবেদন।।
___________________________________________________________________
মুখোমুখি একজোড়া মানব-মানবী,
সামনে ধূমায়িত কফির কাপ।
বাইরে অঝোর বৃষ্টি, ভেতরে
বিস্মৃতপ্রায় স্মৃতির বাতাস,
দু’জনের মনে, স্কুল
জীবনের ঝড়ো হাওয়া।
রাত জেগে থাকার নেশাটা ক্রমশ পেয়ে বসেছে মাদকের মতো। শেষ রাতের দিকে ক্লাসিকেল সংগীত ছেড়ে দিয়ে মনের ক্ষুধা মিটিয়ে নিচ্ছি বেশ ভালোভাবেই। এখন উল্লেখ করার মতো তেমন কোন কাজই হচ্ছে না। টুকটাক কিছু মুভি দেখা, ক্লাসে বসে গল্পের বই পড়াও কমে গেছে। অথচ এসবই ছিল আমার কাজ। ইদানীং কমে যাচ্ছে কেন এটার কোন উত্তর আমার কাছে নেই। খুব আত্মকেন্দ্রিকতায় ভুগছি বেশ কয়েকদিন ধরে। মাঝে মাঝে প্রাণের মানুষটাকেও মনে পড়ে
১.
প্রায় মাঝরাত।
জানালাটা খুলে বাইরে তাকালাম।
ব্যস্ত এ শহরটা এখনও যেন ঘুমায়নি।
অনেকদূরে রাস্তার আলো দেখতে পাচ্ছি।
ঝাপসা।
শুধু আলোর কতগুলো বৃত্ত।
হলুদ সবুজ লাল আর নীল।
যেগুলো স্থির সেগুলো স্ট্রীটল্যাম্প।
আর যেগুলো চলছে সেগুলো গাড়ির হেডলাইট।
রাত আমার ভালো লাগে।
ভালো না লাগে বলে এভাবে বললে মনে হয় ঠিক হবে, দিনের থেকে রাতটা ভালো যায়।
অন্ধকারে সবকিছু কেমন যেন ধোঁয়াটে হয়ে যায়।
[justify]শব্দের সুতোয় গাথা এক একটি বাক্য, আমরা তাকে বলি ভাষা। একটা বাক্য মানে কি কেবলই কিছু শব্দের সমাহার?—না। কারণ, বাক্য তৈরি হয় শব্দ সাজিয়ে। শব্দগুলো এলোপাতাড়িভাবে বসে না; বসলে অর্থ বোঝা যায় না, আর অর্থ না-বুঝলে বাক্যও হয় না। অর্থাৎ একটি বাক্য হলো কিছু শব্দের সারি এবং সেই সারিতে কার পাশে কে বসবে তার নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে শব্দগুলোকে পরপর বসতে হবে। ১
বিদেশেই জন্ম, শিক্ষিত, এক প্রজন্ম বিদেশেই বিয়ের বন্দোবস্ত কি ভাবে করছেন তারা, তাদের প্রবাসী পিতামাতা, বন্ধু বান্ধব? কিভাবে বর কনে পরিচিত হচ্ছে, বাকদান, ঘটকালি, বিয়ে দেশের মতই কি সেসব অনুসঠান?
আজ সারা শহরে অবিরাম বৃষ্টি
শহুরে ভদ্র বৃষ্টি
চুপচাপ এসে চলে যায়
আমাদের জীবন থাকে বৃষ্টিহীন নিঃসঙ্গতায়...
আমাদের মধ্যবিত্ত প্রেম
কিছু সন্দেহ আর অবিশ্বাস
তবুও আমাদের ছোট সংসার,
বৃষ্টিও আজ কেমন যেন
আমাদের মাঝে হয় একাকার...
বৃষ্টি এবং আমরা মধ্যবিত্ত শহরে
ভীষণ একা আছি।
১.
বেশ কদিন আগের কথা। আমি গভীর ঘুমে। খুব ভোরে আমেরিকার মিসিসিপি অঙ্গরাজ্য থেকে আমার এক পরিচিত-এর ফোন। গলায় একই সাথে তীব্র উচ্ছ্বাস এবং চাপা ক্ষোভ!
-ভাই, খবর শুনেছেন?
- কি খবর?
-আমাদের তো শুয়াইয়া ফেলছে!
-কোথায় শুয়াইছে?
- সংবিধানে!
-কিভাবে শুয়াইছে?
-সংবিধান পরিবর্তন করে দিয়েছে!
- সেটা তো ৮৮ সাল থেকেই শুয়ানো।