মানুষ নাকি তার স্বপ্নের সমান বড়। সে হিসেবে এখন আমার শিশুসম অবস্থা, যদিও কালে কালে বয়স আটাশ পেরিয়ে গেছে। বেঁচে থাকলে মানুষ বারে বারে বদলায়, আর সেইসাথে স্বপ্নের পরিধি ম্যাক্সওয়েলের তড়িৎ চুম্বকীয় তত্তের মতন পাক খেয়ে একটা ক্ষুদ্র বিন্দুতে চলে আসে।
ধরো, আমার সাথে তোমার আজই শেষ দেখা?
- তাহলে জোছনার জল ভেঙ্গে বৃষ্টি নামবেনা পৃথিবীর কোনো বরষায়, মাটির শরীরে থাকবেনা আবাদের মাঠ অথবা বিপনী বিতানে কোনো চোখ জুড়ানো পন্য।
যদি ফিরিয়ে দিতে বলি ভবঘুরে বিকেল?
- বইবেনা যুগল নদী মনি-মালা। বাঁশি বাজবেনা চন্দ্রস্নাত এই শহরে।
মনে করো, এখানেই থেমে গেল আমাদের হেঁটে চলা?
- কবিতার স্বচ্ছ ডানা আমি ভেঙ্গে দেব খানখান, তাতে বিরক্ত হবেন স্বয়ং ঈশ্বর।
অপ্রাসঙ্গিক
আলোটা ঝাক্ করে চোখে লাগার সাথে সাথেই ঝাঁঝালো পেচ্ছাপের গন্ধটাও নাকে ঢুকে পড়লো।
শালা! রোজ বলা যে বাইরে গিয়ে করবি। এইটুকু হেঁটে যাবেনা! জানালা দিয়ে বাইরে ছাড়তে ছাড়তে মেঝেসহ ভিজেছে।
সালেক খোকন
মাদলের তাল ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বাড়ছে এতদল নারী কন্ঠের সমবেত গানের সুর। গানের সাথে তাল মিলিয়ে নাচছে তারা। হলদে শাড়ি জড়ানো শরীর। হাতে সাদা শাখা আর খোপায় লাল জবা ফুল। হাত ধরাধরি করে পা মিলিয়ে নাচছে তারা। দুএকটা পা জড়িয়ে আছে নূপুরগুলো। ধুতি আর পাগড়ি পড়া এক আদিবাসী উদাসী ঢঙে মাদল বাজাচ্ছে। চারপাশে ঘিরে আছে গ্রামের সুধিজনেরা। এভাবেই চলছিল সাঁওতালদের খেমটা নাচের আসরটি।
প্রচন্ড ধাক্কা, তারপর হঠাৎ যেন সবকিছু স্থির হয়ে গেল। বীথির চিৎকারে সজীবের হুশ ফিরল। সেই সংঘাত পূর্ণ রাজপথ, চারপাশে ভীত পায়ের ছোটাছুটি, তার মাঝে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে সজীব। আবারও বীথির চিৎকার "সজীব পালা"।
‘দৈনিক আনন্দবাজার’ নামে পশ্চিমবঙ্গে একটি 'বনেদী' খবরের কাগজ আছে এবং তা বাংলাতেই ছাপা হয় এটা জানতাম। তবে আমি ভারতে গিয়েছি মাত্র একবার, পশ্চিমবঙ্গেও ছিলাম মাত্র দুই দিন। সেটাই আমার প্রথম বিদেশ সফর হওয়ায় স্বাভাবিক ট্যুরিস্টসুলভ উত্তেজনায় (অথবা আমার নিজের স্মৃতিভ্রষ্টতায়) এই বনেদী কাগজটি হাতে তুলে নেয়ার 'সৌভাগ্য' অর্জন করতে পারিনি। এমনকি পত্রিকাটির কারেন্ট অনলাইন ভার্সনও ইউনিকোড-সমর্থিত না হওয়ায় অনেক
বদলহীন আগাপাশতলা প্রাত্যহিক ডায়াবেটিক রুটিন ঘুমহীন রাত্রি । যদিও শালবনের ওধারে হিংস্র শ্বাপদের শান্ত মমি হয়ে সে রাত দিগ-দিগন্ত ভেঙ্গে তাবৎ ভাস্কর্যময় সৃষ্টির ছাউনি নিয়ে আসে যে কোন স্রষ্টা মনে । ধুলোময় পথগুলোতে জলের রেখার বেসাতি সাজানো মিথ্যের রাংতা জড়াতে, কিংবা ধরা যাক ন্যাড়া গাছগুলোকে হুকুমের সূরে বনবীথিকায় কারুচুপির ওড়না পরাতে....
কবিতার সাথে মিল লাগে এমন কিছু ছবি আর কবিতা/গান পেশ করলাম। আশা করি ভাল লাগবে আপনাদের।
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে...
অমিতাভ দেব চৌধুরী
যে কোনো সৃষ্টির মূল আসলে বিচ্ছেদ ৷
তোমার সৃষ্টির দিকে চেয়ে চেয়ে দেখি আর ভাবি
জন্ম না হলে তো আমি তোমারই দেহের টুকরো থাকতাম হয়ে
যেভাবে নৌকোর আবিষ্কার হবার অনেক আগে
যেসব ভাবি নাবিক আর মাঝি জন্ম নিয়েছিল,
তাদের ইচ্ছারা ছিল জলেরই শরীরে উড়ো জল
আমার কবিতা,তাই,সেইসব শব্দের খেলা
যারা ,একদা আমার ছিল ৷ তোমার এখন ৷
১।
এই মুভিটি যতো দেখি, ততোই ভালো লাগে। ছোটকালে ভাবতাম, বড় হয়ে নিই, জ্ঞানবুদ্ধি বাড়ুক, তখন নিশ্চয়ই এইসব 'বাংলা সিনেমা' আর ভাল্লাগবেনা। বড় হয়েছি। বুদ্ধিশুদ্ধি নিশ্চয়ই হয়নি। হলে কী আর প্রতি বছর ফেব্রুয়ারী-মার্চের আশেপাশে চ্যানেলগুলোতে যখন এই মুভিটি দেখি, তখন 'কী একটা' যেন চুম্বকের মত টেনে রাখে আমাকে। আগেও রাখতো। সেটা ছিলো শৈশবের নিখাদ ভালোলাগা। একটা পরিবারের গল্প কীভাবে এগিয়ে গেছে পরিণতির দিকে, দেখে ভালো লাগতো।