ঘড়িতে ঘণ্টার কাঁটা প্রায় নয়টা ছুঁই ছুঁই। বাস আসতেও দেরী করছে। অফিসে ঢুকেই বসের গোমড়া মুখ দেখার সম্ভাবনা রশ্মিকে বিন্দুমাত্র ভাবালো না। বাসে করে আসা যাওয়ার এই সময়টুকু তার সবচেয়ে প্রিয়। সারাদিনের মধ্যে শুধু এতটুকু সময়ই তার একান্ত আপন। এই সময় তাকে নিয়ে বাবা-মার হা পিত্যেশ শুনতে হয়না, বসের থেকে কাজের তাড়া খেতে হয়না, বাজার করা, রান্না করা, কোন কিছু নিয়েই মাথা ঘামায় না রশ্মি। প্রতিদিনের ব্যস্ততা, দুশ্চিন্তাকে ফাঁকি দিয়ে নিজের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটানোর জন্য এই মুহুর্তটাকে সবকিছুর থেকে আলাদা করে তুলে রেখেছে সে। রশ্মির নিজের একটা কুটির আছে। কোন এক পাহাড়ের চূড়ায়। কাঠের তৈরি ছোট্ট একটা নীড়। বারান্দায় বসে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করে দেওয়া যায়। বিস্তীর্ণ আকাশ, সবুজে ঘেরা পাহাড়, চারদিকে নীরবতা, শুধু পাখির কিচির মিচির শব্দ।
প্রকাশক জর্জ পাটনাম একজন বৈমানিকের আটলান্টিক অতিক্রমের অভিজ্ঞতার আলোকে লেখা বই প্রকাশ করবেন। যেহেতু সমস্ত পৃথিবীর মনোযোগ থাকবে তার দিকে, তাই তাকে হতে হবে আকর্ষনীয় একজন মহিলা, এবং অবশ্যই বৈমানিক। চ্যালেঞ্জ লুফে নেয় অ্যামেলিয়া। কিন্তু বাঁধ সাধে অতীত ইতিহাস, ইতোমধ্যে আটলান্টিক পাড়ি দিতে গিয়ে প্রান হারায় তিন জন মহিলা বৈমানিক। তাই অভিযানে সে স্বয়ং চালকের আসনটি পাবেনা, অভিযানের দায়িত্ব দক্ষ চালক বিল ও
গতকাল জুলিয়াকে দেখে রীতিমত আঁৎকে উঠেছিল কাটিং মাস্টার। এ ক’দিনে কি হাল হয়েছে মেয়েটার!
কেশু নতুন সিগারেটটা বানাতে শুরু করে। হাতে বানানোর কৌশলটা সে এক অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানের কাছ থেকে শিখেছে । হাতের তেলোতে একটা সাদা কাগজ নিয়ে সামান্য এক চামচ তামাক (যতটুকু দরকার) নিয়ে অতি দ্রুত রোল করতে থাকে। কাজটা প্রায় ৬ বছর ধরে করে আসছে.... খুঁত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
একদিন আমিও বিলাসি হবো
পা’য়ে দলাবো সূর্যমল্লিকা
দু’চাকার বাইকে চড়ে থাকবে
বুকে’র গাঢ় স্পর্শে আস্ত এক রূপসী
পূর্ণিমার চাঁদ জড়াবো আধ ভাঙা শিমুলের ডাল আর
এগারো কেভি বিদ্যুতের জালে
শেষে রাস্তার পাশে’র নর্দমাজলে ডুবোডুবি
আমিও হবো স্বপ্নবিলাসি, স্পর্শবিলাসি
ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে
শরীরের নৈর্ব্যক্তিক ভালবাসায় চুর হবো।
তাই(ভালো হয়)আজ আমাকে কাছে রেখে দাও।
শিক্ষা ভবনের সামনেই নেমে যেতে হ'লো। রাস্তা বন্ধ। অল্প কিছু মানুষ হেঁটে ঢুকছে ক্যাম্পাসে। আর সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেলের গাড়িগুলি ঢুকতে পারছে। আমার দেড় বছরের ভাতিজা-কে বললাম, চল বাবা দৌড় দেই...। দুজনে দৌড়ে এসে শিশু একাডেমির সামনে, আমার তিন বছরের ভাতিজা কার্জন হলের সামনে লাগানো বিশাআআল পতাকাটা দেখিয়ে প্রবল চিৎকার দিয়ে ব'লে উঠলো "ফুপিইইই, জঅঅয় বাংলাআআদেএএশ!" (ব'লে রাখি আমাদের শেখানো আর তার শুনে
স্কুলের সামনে একটি বিশাল মাঠ। তারই চারপাশ ঘিরে একদল লোক কুচকাওয়াজ করছে। বাজনার তালে তালে তাদের পা উঠানামা করছে।
এরা নাকি সৈনিক? কিন্তু এরা আমাদের স্কুলে কেন?
চৌধুরী সাহেবের বাসায় পত্রিকা আসে। সেই খবর শুনতে বুড়োরা ভিড় করে চৌধুরী সাহেবের বাসায়। চৌধুরীর নাতি পড়ে আমাদের সাথে। তার কারণে আমরা মোটামুটি সব খবরই পাই।
ইন্টারনেটের দুনিয়ায় আমাদের তেমন সুন্দর কোন (Digital Artworked) পতাকা নাই... হাতে গোনা দুই একটা আছে... তাও ছোট ছোট... সেজন্য এ প্রচেষ্টা... এটাও মনে হয় up to the mark হয়নি... তারপরেও চেষ্টা করতে দোষ কি ... ফুটবল বিশ্বকাপের সময় ব্রাজিল আর্জেন্টিনার কতশত ধরনের পতাকা দেখালাম... আর আমাদের দেশে বিশ্বকাপ হচ্ছে যেখানে আমরাও খেলছি সেখানে নতুন (Digitally Created) কোন পতাকা নাই ...
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে, হবে ও। মাশরাফি কে কেন নেয়া হলোনা, সিডন্সের ক্কারী বেলালী, আশরাফুল সাহেব তো নিজেই একটা বিতর্ক, সেরা এগারো কি হবে, নাঈম না শুভ, রকিবুল না আশরাফুল, তিন পেসার না দুই পেসার, ব্যাটিং পাওয়ার প্লে কখন নেয়া উচিত, এই রকম আরো ২৩১৫৬ টা বিতর্ক আছে। আমাদের সবার ই নিজস্ব মতামত আছে; আছে যুক্তি, আবেগ, পছন্দ, অতি পছন্দ ও অপছন্দ। বাংলাদেশে নাকি উপদেশ দাতা, এম বি এ আর ক
১৯৪৭ এর ১৪ আগস্ট যে ঘটনাটি ঘটল তা পৃথিবীর ইতিহাসে ছিল প্রথম ও অদ্বিতীয়। পাকিস্তান নামে যে অদ্ভুত দর্শন ও অবৈজ্ঞানিক রাষ্ট্রটির জন্ম হল তা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের দৃষ্টিতে ঠিক রাষ্ট্র ছিল না, ছিল এক নতুন ধরনের রাষ্ট্র কাঠামো গড়ার এক নিছক এক্সপেরিমেন্ট। দুই অংশের এ বিশাল ভৌগলিক ব্যাবধান, রাজনৈতিক-সাংস্কৃতিক-ঐতিহ্যগত আকাশ পাতাল ফারাক এই নির্দেশ করছিল যে এই রাষ্ট্রটি হবে ক্ষণিক সময়ের জন্য এক সংগ্রামময় রঙ্গমঞ