আন্টি অগ্নিমূর্তি ধারণ করিয়া কক্ষে প্রবেশ করিলেন. হন হন করিয়া আসিয়া আঙ্কেলের সম্মুখে দণ্ডায়মান হইলেন. বিয়াফক মিজাজ খারাপ করিয়া, রীতিমত ঝারি দিয়া আঙ্কেলকে কহিলেন: "ও গো শুনছ!"
আঙ্কেল তখন দেশ ও জাতির স্বার্থে এটিএন-ভাংলা দর্শন করিতে করিতে একটি বিশেষ দলকে বাহ-বাহ করিতেছিলেন. আন্টির ডাকে বিষম খাহিয়া মিডিয়াম বিরক্ত হইলেন.
আন্টি: বেলাজ মেয়েটার হারামিপনা দিনে দিনে বেড়ে চলেছে ঐদিকে খ ...
... বানান ব্যক্তির সম্পত্তি নয়, তাই তা ব্যক্তির ইচ্ছাধীন ভৃত্যও নয়; বানান ভাষার সম্পত্তি, ব্যাকরণের নিয়ন্ত্রণাধীন। এই অধিকারের সীমানা সম্পর্কে ঔচিত্যজ্ঞান থাকলে বানানের ক্ষেত্রে নিয়মনিষ্ঠা প্রতিষ্ঠা করা যাবে, নইলে নয়। –হায়াৎ মামুদ
অর্থভেদে অভিন্ন বানানকে কার-এর সাহায্যে ভিন্ন বানান করার প্রবণতা প্রথম শুরু হয়েছিল রবীন্দ্রনাথের মাধ্যমে। তিনিই প্রথম কি শব্দের ভিন্ন ভিন্ন ...
তুমি ভালোবাসতে চেয়েছ বলেই,
আমি ভালোবাসতে দিয়েছি,
তুমি হাতটা ধরতে চেয়েছ বলেই,
আমি হাতটা বাড়িয়েছি,
তুমি প্রেমের কবিতা শুনবে বলে-
আমি রাতের পর রাত জেগে রচনা করেছি তেরশ দুইটি কবিতা,
তুমি বৃষ্টি ভালোবাসতে বলেই-
আমার চোখ দিয়ে প্রতিনিয়ত বৃষ্টি ঝরত,
রাতের পর রাত কতটা বৃষ্টি জড়ো করেছি -
তুমি তাতে ভিজলেও না!
তুমি আমাকে দোষারোপ করবে বলেই-
আজো আমি কাউকে বলিনি-
আমার সবটাই ছিলো ভালোব ...
২।
চেয়ারে বসে ক্যারেকটার এ ঢোকার জন্য কিছুটা সময় নিলো সুলতান। হূম, আজকের অফিসের নয় ঘন্টা ভালো যাওয়া উচিত। গতকাল একটা ইন্টারেস্টিং কাজ শুরু করেছিলো, আজকে বা কালকের মধ্যে সেটা শেষ করতে হবে। ভালো ভালো, এখন নাস্তার অর্ডার দেয়া উচিত।
দুপুরে নিচতলায় খেতে নেমে রান্নাঘর এ ঢোকে সুলতান। পাশেই তার ম্যানেজার বস প্লেটে খাবার নিচ্ছে। এই লোকটা সম্পর্কে নানান জাতের, নানান মাপের বাজে কথা শোন ...
শামীম।
আমরা ডাকতাম বড় আম্মা। আম্মা আব্বা ডাকতেন “নানীজী”। প্রথম দিকের স্মৃতি যা মনে পড়ে তা হলো সাদা শাড়ি পরা একজন বুড়ো মানুষ। সফেদ চোখ মুখ। বিড়ালের চোখের মতো ঘোলা চোখ। হাতে তসবি। জায়নামাজে বসা। আমার স্বল্প স্মৃতিতে বড় আম্মাকে কখনো জায়নামাজ ছাড়া অন্য কোথাও দেখিনি। তাকালেই মনে একটা শান্তি শান্তি ভাব চলে আসত।
বড় আম্মার ছেলে ছিলেন একজন। আম্মার মামা। আম্মা বলতেন মামুজী। চিটাগা ...
১
পুরা রাস্তা একেবারে ফাঁকা। তেমন কোনো গাড়িই নেই। চারিদিকে শুধু মানুষ আর মানুষ; সবাই বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়। কদাচিৎ দুই একটা প্রাইভেট কার আর সিএনজি দেখা যাচ্ছে ছুটে যেতে। বাস যা একটা আসছে তাও প্রায় বিশ পঁচিশ মিনিট পরপর; আর তাতে ওঠা প্রায় অসাধ্য। বাদুড় না, কলার কাঁদিতে কলাঝোলা হয়ে আছে দরজা আর জানালার ফাঁক গলে মানুষ। কাল হরতাল, আর আজ বিকেলে এই অবস্থা!
বিকাল পাঁচটার পর থেকে প্রায় দুই ...
১.
সুলতানের ঘরে খাট নেই। মাটিতেই জাজিম আর তোশক পাতা। সকালে ঘুম থেকে উঠে বিছানা থেকে নামার ক্লাসিকাল ব্যপারটা তাই নেই। অসহ্য গরমের রাতে সুলতান মাঝেমাঝে ঘুমের ঘোরে বিছানা থেকে গড়িয়ে মাটিতে নেমে পড়ে। তোশক আর জাজিম মিলিয়ে বিছানাটা মাটি থেকে ফুট দেড়েক উপরে। বিছানার ধারটাকেই বঊএর মতো জড়িয়ে ঘুম দেয় আবার। ইদানিং একটা সমস্যা দেখা দিয়েছে। সকালে ঘুম ভাঙ্গার পরে সুলতান বিছানাতেই দাড়িয় ...
অনেক কাহিনি করে কপালে শেষমেষ একটা ক্যামেরা জুটলো। কিন্তু জুটলে কি হবে…. ফটুক তোলার কোন বিদ্যেই আমার পেটে নেই। তবুও চেষ্টা করি। জানিনা কতটুকু পারি। তবে আর কিছু হোক না নাই হোক , নিজের মনের খোরাক তো ঠিকই জুটে যায়….. আমি বাপু এতেই খুশি। আহামরি কিছু করার কথা কখনোই মাথায় আসে না….
তাছাড়া ছবি তোলার জন্য আলাদা কোন সময়ও তেমন বের করা সম্ভব হয় না। চলতে ফিরতে চোখের সামনে যা পড়ে তাই শুট করে বসি। ...
সুখ কি? ইহার আভিধানিক সংজ্ঞাও বা কি? এই প্রশ্নের ঊত্তর খুঁজিতে খুঁজিতে মস্তক উথাল পাথাল করিয়া ফেল্লুম, দিন কে রাত করিয়া ফেল্লুম তথাপি ফলাফল শূন্য। বেহুদা মহামূল্যবান সময় হারাইলুম। ইহার চাহিয়া সমুদ্র মন্থন করিলে দুই এক ফোটা অমৃত পাওয়ার কদাচিৎ সম্ভাবনা থাকিলেও থাকিতে পারিত কিংবা সাধূ বাবার জ্ঞানবাণী শুনিয়া পরকালের জন্য মূল্যবান পাথেয় সংগ্রহ করিতে পারতুম। এইসব ভাবিতে ভাবিতে ...
(১)
Battersea,South London.
গোধূলির রেশটা তখনো যায়নি পুরোপুরি। সন্ধ্যার আকাশে নানান রঙের খেলা। এলোমেলো একটা নীলচে ভাব পুরো শহরটা জুড়ে। ঘোলাটে চোখ মেলে তাকায় সৃজন। দৃষ্টি ঝাপসা করে দেয় জানুয়ারীর কুয়াশা। কেমন যেন ভূতুড়ে একটা ভাব আছে England এর শীতের। হয়তো এখনই দূরের Albert Bridge,এমনকি বিগবেন টাও স্পষ্ট দেখা যাবে,পর মুহূর্তেই একটু দূরের টেমস এর ঢেউ গুলোর তীরে আছড়ে পড়াটাও ঝাপসা লাগবে চোখে।
ক ...