সৃষ্টি,তুই আমার জীবনের প্রথম সত্যিকারের বন্ধু, হৃদপিণ্ডের খুব কাছাকাছি কী করে একটা মানুষকে জায়গা করে দিতে হয়, তোর কাছেই প্রথম শেখা । আমাদের দুজনের ভীষণ গাঢ় বন্ধুত্বে কবে কী করে আরেকটা নাম যোগ হয়ে গেল - তুই, আমি, ছন্দা - আমরা কেউ জানি না ।
মনে পড়ে শৈশবের উচ্ছাস ভরা দিনগুলো, কী ভয়ানক দুষ্টু হয়ে উঠছিলাম আমরা! পাল্লা দিয়ে পড়াশোনা, খেলাধুলা, গোয়েন্দাগিরি আর আজগুবি সব স্বপ্নবোনা । তিনজন ত ...
ছাদের উপরে সিঙ্গেল খাটে
দু’ চোখে একটু ঘোর,
ঘোরে ঘোরে কেটে সারা এক রাত
কেটে হয়ে গেলো ভোর।
আকাশটা জুড়ে ছেড়াঁ ছেড়াঁ মেঘ
চাঁদ ঢেকে দিতে চায়,
কিন্তু এমন ষোলকলা চাঁদ
মেঘে কি ঢাকতে পায় ?
স্বপ্নের কোন্ দেশে থেকে যেন
বইছে মাতাল হাওয়া,
চেতনের এক গভীর অতলে
নিশ্চুপে ছুয়েঁ যাওয়া।
দুচোখে আমার স্বপ্নের মদ
ঢালে কোন্ অচিন প্রিয়া,
কি যে জুয়া এক খেলতে চায়
ছেঁড়া ছেঁড়া এ মন নিয়া ...
খাঁচাটা খোলা আজ
পাখি থাকত চেয়েছিলো বারবার ঐ বদ্ধ অলিন্দে
কিন্তু শুনেনি ঘাতক
মহামান্য
আপনি এত নির্মম কেন, এত কঠোর কেন??
পাখিটা তো চিরকাল থাকতে চায়নি
শুধু কয়েকটা দিনের আকুতি
তার যে কিছু কাজ বাকি পড়ে আছে
অলকের পাওনা টাকাটা দেয়া হয়নি
পাশের বুনো ফুল তার গন্ধ নেয়া বাকি
আর চারুলতা অপেক্ষা করে আছে সবচেয়ে সুন্দরতম কথাটা শোনার জন্য
কিছুই হলোনা, শুধু বাকির খাতাটা পরিপূর্ন;
কি হতো আর দ ...
- অনন্ত আত্মা
আমাদের বাঙালীদের জীবনে ধার এর গুরুত্ব অপরিসীম। ধানমন্ডি থেকে সুদূর ধ্যাধধ্যারে গোবিন্দপুর, যেখানেই যান ধারের ধার থেকে আপনি নিরাপদ নন।
আমাদের মহল্লার সফেন ভাই ছিল একজন বিশিষ্ট ধাররাজ। আড়ালে আমরা তাকে ধার সসপেন বলতাম। আমার বন্ধু কমল কোন এক কুক্ষণে তাকে তিন’শ টাকা ধার দিয়েছিল। টাকা নেয়ার সময় সফেন ভাই বলেছিল –
- কমল চিন্তা করো না, সামনের সপ্তাহেই দিয়ে দেবো।
তারপর ...
কখন বেড়াবেন
ষড়ঋতু এখন শুধু পঞ্জিকার পাতায়, কার্যত বাংলাদেশে ঋতু বা মৌসুম চোখে পড়ে ৪টি—বর্ষা (জুন-সেপ্টেম্বর), শরৎ (অক্টোবর-নভেম্বর), শীত (ডিসেম্বর-ফেব্রুয়ারি), এবং গ্রীষ্ম মৌসুম (মার্চ-মে)।
ঘোরাঘুরির শ্রেষ্ঠ সময় মধ্য-অক্টোবর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ঘন নীল আকাশ, রোদেলা দিন এবং শুষ্ক আবহাওয়া নিয়ে এই সময় দিনের গড় তাপমাত্রা থাকে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এপ্রিলের মধ্যে এই তাপমাত্রা বে ...
আমি প্রথম প্রেমে পড়ি ক্লাস ফাইভ এ, বলতে গেলে প্রেমে পরার অধিকার অরজন করি। ক্লাস ফোরে থাকতে আমাকে কেউ চিনতো না, ক্লাস টু তে ও চিনার কোন কারণ ছিলনা যদি না আমার রোল নাম্বার ৫ হতো। হেকিম স্যার যখন রোল নাম্বার ১ কে আমি ক্লাস ক্লাস ফাইভ এর পড়া পারবো কিনা জিজ্ঞাসা করছিলেন আমার তখন একটু রাগ হয়েছিল কারণ ক্লাসে হাস্না হেনা ছিল। হাস্না হেনা কে আমি ভালবাসতাম। সে একটু শ্যামলা গোছের ছিল, একটু না ...
আমার সর্বশেষ শব্দগুলো হাতে নাও ধরে দেখো
প্রাসাদ ছাড়িয়ে দূরে এই পুরাতন মৃত বৃক্ষ
এর নীচে ছিলাম, পরিত্যক্ত প্রাচীর ডিঙিয়ে
চলে যাও এক্ষুণি দূরে, তবু ধরে রাখো কিছুকাল
প্রাথমিক সৈকত তোমার, আর প্রতিটি বালির পৃথক অস্তিত্ব
ডানাভাঙ্গা গাংচিল চিৎকার, সামুদ্রিক ঝড়
এদিকে তাকাও, এই আমি নিবিড় ছিলাম
এই পথে একেবারে চলে যাও, শুধু ধরে রাখ আরো কিছুক্ষণ
আমি বৃষ্টি হয়ে ঝরে যাই, শুয়ে পড়ি মাইলের পর ...
শেষ বার কবে যেন দেখেছি
মনে আমার নাইবা এলো।
আধো আধো মনে আছে
তোমার বসে থাকাটা,
ঢাকাই রিক্সায় ঋজু শালবন বসে থাকাটা।
কপালে ঘাম-বিন্দু-রেখা
না হয় বাদ দেয়া গেলো ।
তাই বলে তোমার শুকিয়ে যাওয়া কীর্তিনাশা হাসিখানি
চরে ঝাঁক ঝাঁক কাশবন হাসিটুকু,
নাচুরে ফিঙ্গের চটুল চোখের মণিদুটো
কি আমার কখনো চোখ এড়িয়ে গেছে?
তোমার ঠোঁটে কালো তিল আর চড়াই উৎরাই
না হয় কালিদাস অথবা তোমার বরের জন্য রেখে দ ...
রাতের আকাশে হাজারো তারার ভীঁড়ে আমি একাকী হারিয়ে যেতে চাই। পারি না। আনমনে ভেবে অবাক হই, হারিয়ে যেতেও কি তবে সঙ্গী লাগে !
দুপুরের রোদে আমি পথে পথে একলা হাঁটি। হাতের আইসক্রিমটা আধ খাওয়াই রয়ে যায়...
আচমকা বৃষ্টি নামা থেকে নিজেকে রক্ষার ব্যর্থ চেষ্টা করতে করতে পাশের হুড খোলা রিকশায় টোনাটূনির খুনশুটি দেখে নিজেকে বড্ড অসহায় লাগে...
ভর সন্ধ্যায় উতলা হাওয়ায় চুল উড়িয়ে হাতে ক ...
ছোট বেলায় শত মনীষীর কথা নামে একটি গ্রন্হ সমগ্র পড়েছিলাম। চার খন্ডের ধারাবাহিক ছিলো এটি। সেখানে পড়েছিলাম প্রায় চারশত মনীষীর জীবনকথা। তার একজন ছিলেন মহাকবি কালিদাস। জেনে ছিলাম এক অতি সাধারন যুবকের মহাকবি হওয়ার পেছনের গল্প। কালিদাস এর জীবন সম্পর্কে খুব একটা বেশি তথ্য পাওয়া যায়নি। খুব সম্ভবত তার জন্ম চতুর্থ বা পঞ্চম খ্রীষ্টাব্দে গুপ্ত সাম্রাজ্য এর সময়ে হিমালয়ের কাছাকাছি কোনো ...