অতিথি লেখক এর ব্লগ
অপরাজেয়
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৫/০৭/২০১৬ - ৯:৫২পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
তারপর একটা প্রকান্ড ঢেউ আসল। আমি ছিটকে গিয়ে পরলাম জাহাজের কিনারায়। অনেক দূরে মিটিমিটি জ্বলে থাকা আলো, জানিনা সেকি তারা নাকি বাতিঘর। রাত, অন্ধকার, ঝুম সমুদ্র, উত্তাল ঢেউ আর আমি। হয়তো এটিই আমার জীবনের শেষ রাত। ছোট্ট জীবনের এই নিগাঢ় অন্ধকারে কি অসহায় আমি!
এর পর আপনি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ০৩/০৭/২০১৬ - ৩:২১অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যেদিকেই তাকাই বন্ধু বান্ধব আত্মীয়স্বজন সবাই নাকি হতভম্ব, শেল শকড, বিস্মিত । এ ঘটনা কল্পনাতীত ।
আমার মৌলিক প্রশ্ন ঃ আপনারা কি এতটাই নির্বোধ নাকি এটা আপনাদের ভন্ডামি ?
গত ২/৩ বছর ধরে দেশের ছেলেমেয়েদের কখনো নাস্তিক, কখনো ব্লগার, কখনো হিন্দু, কখনো খ্রিস্টান হবার অপরাধে দিনে দুপুরে রাস্তায় কুপিয়ে মারা হয়েছে । তখন আপনি নিশ্চুপ ছিলেন । তাদের রক্তমাখা নিথর দেহ, সহধর্মিনীর সাহায্যের আকুতি কিছুই আপনাদের নীরবতার দেয়াল ভাঙ্গতে পারেনি । অনলাইনে মৃত ব্যক্তির চরিত্র সনদ খুজেছেন । বিভিন্ন নোংরা আস্তাকুড় ঘেটে বের করেছিলেন একেকবার একেক রকম অজুহাত । সেই সস্তা অজুহাতের কাছে নিজের বিবেক বিক্রী করে শান্তিতে ঘুমিয়েছেন ।
ভাবনা বিলাস - ১ [ ব্রিটেনের ইউ রেফারেন্ডাম: ব্রিটিশ বাঙ্গালীদের ভাবনা ]
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২২/০৬/২০১৬ - ১২:৫৪অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
ইয়োরোপের অন্যান্য দেশগুলো সিরিয়া থেকে আসা লক্ষ লক্ষ শরনার্থীর দায়িত্ব নিলেও ব্রিটেন হাজার খানেকের বেশি নেয় নি । বাঙ্গালী প্যালেস্টাইন, সিরিয়ার রিফিউজিদের জন্য কাঁদিয়ে বুক ভাসিয়ে, ফেসবুকে হাজারে হাজারে পোস্ট, লাখো লাখো লাইক দেয় কিন্তু ব্রিটেনের রাস্তায় সিরিয়া থেকে আরো বেশি শরনার্থী নেয়ার ব্যপারে কোন আন্দোলন করতে নামে নি । ব্রিটেনের শেতাঙ্গ লোকজন কোটি কোটি টাকার ত্রান পাঠালেও, ব্রিটেনের বাঙ্গালীরা আইসিসের জন্য শ খানেক জিহাদী পাঠানো ছাড়া আর তেমন কিছুই দিতে পারেনি । বাঙ্গালী যেটা ভুল করছে তা হলো বর্নবাদের ভুত কেবল ইয়োরোপীয়ান খেদানোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না । এখন তারা নাইজেল ফারাজের মত লোক এবং তার বর্ণবাদী সমর্থক গোষ্ঠিকে সমর্থন নিয়ে তাদের পেশী শক্তিশালী করে তুলছে । ইয়োরোপীয়ান খেদানোর পর সেই বর্ণবাদী পেশী তাদের দিকে নজর ঘোরাবে ।
অবন্তীঃ প্রথম কিস্তির পর।
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৮/০৬/২০১৬ - ৯:২৬অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
আমার সমস্যা তো নামে নয়, নাহয় থাকলোই বিদঘুটে একটা নাম। তবে কিনা আনোয়ার খুব চালাক ছেলে। অবন্তীর প্রতি আমার দুর্বলতা তার নজর এড়ায়নি। ছেলেটার একমাত্র উদ্দেশ্য আমাকে খেলো করা। কলেজের দেয়াল পত্রিকায় বেনামে একটা লেখা লিখেছে, লেখার নাম - ঘাঘটের কুলে ধইঞ্চার সারি। পড়ে আমার ব্রহ্মতালু যেন দাউদাউ করে জ্বলে উঠলো। গল্পের প্রধান চরিত্র নদীর পারে উবু হয়ে বসে কাশের ডগা চিবোয় আর ঢেউ গোনে। শেষের বাক্যটি ব
জালালের গল্প কিংবা থ্রোয়িং শিট ইন দ্যা মিক্স
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১১/০৬/২০১৬ - ৪:৪৩অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
জালালের গল্প মুক্তি পেয়েছিল গত বছরের সেপ্টেম্বরে। যত দূর মনে পড়ে, প্রথম সপ্তাহেই দেখেছিলাম। তখনও সচলায়তনে লেখা শুরু করিনি, তাই জালালের গল্প নিয়ে কিছু লেখা হয়নি। গত মাস থেকে সিনেমাটির একটি হাই কোয়ালিটি প্রিন্ট ইন্টারনেটে পাওয়া যাচ্ছে যেটির লিঙ্ক সিনেমাটির ফেইসবুক পেইজেই শেয়ার করা হয়। ইদানীং কোন কাজ না থাকার সুবাদে এবং কিছু একটা লিখতে ইচ্ছে করছিল বলে, এছাড়াও, জালালের গল্প সাম্প্রতিক সময়ের অত্যন্ত গু
অবন্তী
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০৭/০৬/২০১৬ - ৫:৩৭অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
সানগ্লাসটার জন্যই যা একটু মন খারাপ হয়।
ভারি ফ্রেম আর বড় কাঁচ, এইধরনের সানগ্লাস ক'টাই বা চোখে পড়ে আজকাল? মানুষের রুচি বদলায়, সেই সাথে প্রযুক্তি। এখন সময় মিনিয়েচারের। টুথপিকের মতো ফিনফিনে ডাঁটি, তার সাথে কোনমতে আটকে থাকা দুফালি সরু কাঁচ - রিমলেস। ওতে কি আর চোখ ঢাকে? সানগ্লাস তো নয়, যেন নাকের বিকিনি।
হাইকিং, রসগোল্লা ও বিরিয়ানি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ৩০/০৫/২০১৬ - ১:০৯অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
বাঙালি মানে যে ভোজনরসিক সেটা তো বলাই বাহুল্য, আড্ডার মধ্যে বসে জামিল ভাবছিল। আর প্রবাসী বাঙালি যেন আরো এক কাঠি সরেষ। উইকেন্ডটা বরাদ্দ বন্ধুর বাসায় দাওয়াতের জন্য। কয়েক কোর্সের ভোজনবিলাস। এপেটায়িজার, মেন কোর্স এবং ডেসার্ট। শাব্বির এর বাসায় দাওয়াত সেদিন বেশ জমে উঠেছিল। সময়টা ছিল এপেটায়িজার এর পরে কিন্তু মেন কোর্স এর আগে। এরই মধ্যে মহসিন ভাই হঠাত ঘোষণা দিলেন। উনি একটা হাইকিং ট্রিপ এর ব্যবস্থা করবেন
সকালের দিনরাত্রি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ৩০/০৫/২০১৬ - ১১:৫০পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
সকালের বিয়ে।
পাত্রীর খোঁজ চলছে।
কিন্তু কেউই রাজী নয় সকালকে বিয়ে করতে।
শেষমেশ পাত্রী পাওয়া গেলো।
সন্ধ্যা।
সন্ধ্যা বিয়ে করবে সকালকে।
বিয়ে হলো।
কিন্তু বিয়েই সার!
সকালের কখনও দেখা হয়না সন্ধ্যার সাথে।
এদিকে,সূর্য ছিল সকালের মামা।
ভাগ্নের কষ্ট দেখে সূর্য্য মামার বড় কষ্ট হলো। গোটা একটা দিন সে দিলো না কোন আলো।
ব্যস! সেদিন সকাল আর সন্ধ্যা এক হয়ে গেলো। পুরো একটা দিন তারা একসাথে থাকলো।