জনাব কে এম আজম, আপনাকে নিয়ে আমি ভীষন চিন্তা করছি আজ অনেক দিন ধরে। অনেক গুলো নিউজ পেপার পড়ছি আজ ক'দিন ধরে। কি যে কষ্টে আমার দিন যাচ্ছে তা আপনাকে বুঝাতে পারবো না। চোখ বন্ধ হলেই আমার মনে হয়, সামিউল যেন আমাকে বলছে! আমার বাবা ভাল আছে তো?
ঠিক সামিউলের মতই আমার একটা ছেলে আছে। আজমাইন, ক্লাস ওয়ানে পড়ে। এমনি গোলগাল মখূবরন, টুকটুকে, সোনাচাঁদ মুখ! জানেন দিনের শেষে চাকুরী ছেড়ে যখন বাসায় য...
সেই থেকে ছুটছি। বিরাম নেই এতটুকু। আর পাওয়া? বিশাল এক শূণ্যতা। যে শূণ্যে আমি ভাসছি অবিরত। কোন ওজন নেই, ভার নেই, একেবারে হালকা। তাইতো কদর নেই। অনাদরে অবহেলায় ছুটে চলা, পথ বাঁকা, তবু চলা, কেবলই ছুটে চলা। পিছন ফিরতে মানা। বুকে সাহস নিয়ে আবার সামনে চলা। আবার হোঁচট খাওয়া। বার বার একই দৃশ্যপট। এক সময় আশেপাশে তাকিয়ে দেখি- কেউ নেই আমার পাশে। দূর দিগন্তে ছোট ছোট বিন্দুর মত মানুষগুলো আমাকে রে...
১.
রাতের যন্ত্রণাময় গভীর অংশটা শেষ হতে চললো। উদভ্রান্ত-যন্ত্রণাময় একটা সময় পার করে প্রায় বিধ্বস্ত অবস্থায় লিখতে বসেছি। কি যে লিখতে বসেছি ঠিক জানিনা। আমি শুধু জানি যে আমি যন্ত্রণাটাকে বলতে চাই- 'আর পারি না'। হয়ত 'আর পারি না'-টাকেই কাগজটাকে অথবা কলমটাকে বোঝাতে বসেছি; হয়তবা ট্র্যাশ-পেপার বাস্কেট টাকে- যে প্রতিরাতে আমার যন্ত্রণাকাতর সময়ের সাক্ষী দোমড়ানো কাগজগুলোকে বুকে ধ...
সুপ্রিয় সচলায়তন,
জন্মদিনের শুভেচ্ছা নিও।এতো দেরি দেখে অবাক হচ্ছো?জানোই তো,কখনই না পাওয়ার চাইতে দেরিতে পাওয়াও ভালো।
আসলে,সারাদিন-ই ভাবছিলাম তোমায় লিখবো।কিন্তু,কি লিখবো তা ভাবতে ভাবতে আর লিখাই হলো না!যাই হোক,এখন মনে হলো কে কি ভাববে তা ভেবে লাভ নেই।ইচ্ছে যখন হয়েইছে,লিখে ফেলাই ভালো।তাই,এই অসময়ে তোমায় লিখতে বসা!
জানো,প্রথম তোমার কথা শুনি আমার ভাইয়ার কাছে।ও মাঝেমাঝেই লিখতো,এখনো লি...
আমাদের হাতে একটি প্রমিত বাংলা বানানরীতি আছে। অথচ এত কষ্টের মাতৃভাষায় যে সুখ করে কিছু লিখব বা পড়ব! বানানের দৌরাত্ম্যে সে সুযোগ খুবই কম। সারা বিশ্বেই বানান উচ্চারণ-নির্ভর নয়। ব্যাকরণের ছাপ তাতে থাকবেই থাকবে। কিন্তু বাংলা বানানের বিশৃঙ্খলা যেন কিছুতেই কমবার নয়।
যা হোক আশার কথা হলো একটি গ্রহণযোগ্য বানানরীতি আমাদের হাতে আছে। বাংলা একাডেমীর বানানরীতিটি ভাষাবৈজ্ঞানিক এবং প্রগত...
আজ হতে শতবর্ষ পরে আমার এই লেখা কেউ পড়বে কিনা তা নিয়ে আমার কবিগুরুর মত তেমন টেনশন নেই। তবে ভাল হত যদি আমিই পড়তাম। তা আর হবে নারে। বয়স তো আর কম হল না। এই যে আজ আরেকটা বছর পার করলি। আমার নতুন বছর আমার কাছে একটু অন্যরকম। হয়ত সবার কাছেই। সব সময়ই চিন্তা করার চেষ্টা করি এই দিনেই একটা ধাপ উঠলাম। ব্যাপারটা এমন যে সারাটা বছর ধরে সিড়ির লেভেল বরাবর হাঁটি, এই দিনেই আমি ধাপটা অতিক্রম করি। অ...
গত পূর্ণিমাটা
পরিশ্রমে পরিশ্রমে গেছে চাঁদের,
এবারেরটায় তাই
বিশ্রাম চায় ও মেঘেদের।
মেঘ তাই ঢেকে দেয় ওঁকে;
জড়িয়ে নেয় চোখে, নাকে, মুখে।
বাতাসের প্রয়োজন হয় জ্যোৎস্না;
বাতাস তাই ক্ষণে ক্ষণে সরায় মেঘের ঢাকনা।
ঘোর লাগা মানুষ একবার দেখে চাঁদ;
পরক্ষণে দেখে মেঘের বোনা ফাঁদ।
যেন এক ট্রেন ঢোকে আঁধার সুরঙ্গে;
কিছু বাদে বেরোয় আবার তরঙ্গ-ভঙ্গে।
ঘোর কাটে অবিশ্রান্ত মেঘের পর্দা দ...
হেমন্তের শুভ্র ডানা ভরে এনে দাও সুখ
গোপনের বুক চিরে খুঁজি মুখ… স্বর্গসুখ
পতন নিঃশব্দ টেনে ধরে আঁখি… চিরন্তন
দূরে সরে যেতে শুভ্র আভায় লুটাবে মিলন
বৃষ্টি আর স্বর্গের দেবদূত হাসে মিটিমিটে
চোখে বুজে বৃষ্টির আবেশ; সুখটান খুঁটে
ইচ্ছা করে গায়ে জড়াই, মিশে যাক নিঃশ্বাস
স্বর্গ আর দেবদূত একই রকম বিশ্বাস
-------------------------------------
-হামিদা আখতার
প্রতিটি দিন-ই হোক, একটি সুন্দর দিন
শুনেছিলাম ইউ এস ভিসা পাবার পর নাকি একটা যুদ্ধ জয়ের আনন্দ পাওয়া যায়। কিন্তু বাচ্চা বাচ্চা ভিসা অফিসারটা যখন বলল " I have confirmed your visa. Please collect your passport on the 5th of July." তখন হঠাৎ করে মাথার ভেতরটা কেমন যেন ফাকা লাগতে লাগল। এতদিনের প্রতীক্ষা, কিছুদিনের অক্লান্ত পরিশ্রমের কেমন একটা নিরানন্দ পরিনতি বলে মনে হচ্ছিল এটাকে। কেন এমন মনে হচ্ছিল আমার জানা নেই। হয়তোবা মাথার ভেতর হাজারটা চিন্তা ঘুরপাক খাচ্ছিল বলে ন...
==নিশা==
কেউ কথা রাখেনি ।
সাড়ে সতের বছর কেটে গেলো কেউ কথা রাখে নি।
ক্লাস এইটে পড়াকালে বাবা মা বলেছিলেন, "শুধু সাধারণ গ্রেডেই বৃত্তি পাও মা-মণি, তোমাকে কিবোর্ড আর ক্যামেরা মোবাইল কিনে দিবো।"
পরীক্ষা দিলাম।
সাধারণ গ্রেডে নয়, ট্যালেন্টপুলে নয়, বৃত্তি পেলাম মেধাতালিকায়।
কিন্তু কিবোর্ড তো দূরের কথা, একটা স্লেট বোর্ডও পেলাম না।
আর ক্যামেরা মোবাইল?
বৃত্তির টাকা দিয়ে কিনলাম নোকিয়...