নিউইয়র্ক টাইমসে পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী সাংবাদিক সিডনি শনবার্গ লিখেছিলেন: হিন্দুদের মধ্যে কেউ কেউ জীবন বাঁচানোর জন্য ধর্মান্তরিত হতে চেয়েছিল। লাভ হয়নি, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গুলিতে ওদের মৃত্যু হয়েছে। শুনতে পেলাম এপ্রিল মাসে ফরিদপুরে দুজনের গলা কাটার পর তাদের শরীর কেরোসিন তেলে ডুবিয়ে আগুনে পোড়ানো হয়। দুইজনই হিন্দু সম্প্রদায়ের।...১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল পাকিস্তানি সেনারা ফরিদপুরের বদিডাঙ্গিতে ৩০০
অনেক দিনই হলো রিকশার ছবি আঁকা ছেড়ে দিয়েছেন রোবু। রোবু আর্টের রোবু যার পুরো নাম রবিউল ইসলাম। রোবু বানানটাও অবশ্য রোবু নিজে লিখতেন রবু, উচ্চারনের ধরন অনুসরন করেই রোবু লিখছি। রোবুর কথা প্রথম জেনেছিলাম জোয়ানা কার্কপ্যাট্রিকের লেখা থেকেই। অথচ আমার শহরেই ছিল রোবুর ছবি আঁকার দোকান রোবু আর্ট। এক সময় নাকি লাইন দিয়ে রিকশায় ছবি আঁকাতে লোক দাঁড়িয়ে থাকতো। সে সময় রিকশার ছবি নিয়ে অনুসন্ধানে বিশেষ মন ছিলনা বলেই হ
১।
ঃ তর পুতেরে দিয়ালা। হুদাই জিদ করতাসস। একখান গ্যালে আরও তিনখান অইব, এইলায় আমার টাইন থাওক।
ঃ আফনে কেলা? আমারে রান্দা কারতাসুইন ক্যান?
ঃ আমি কেলা জাইন্যা তর কাম নাই। লইতাম আইসি, দিয়ালা। জামাইরে কইস হিয়ালে লইসে।
ঃ দিতাম না। আমারে ছাইরা দেন।
ঃ আইজ তাইলে উডিরে কইন্যা। কাইল আবার আইবাম, তর পুতেরে দিয়ালাইস। ও কইন্যা, পুতের কফালো এইতান কী লাগাইসোস?
বেশ ভাল হত যদি বাকী জীবনটা একটা ঘরে বসে কাটিয়ে দিতে পারতাম।
কেউ যদি প্রতিদিন সামান্য খাবার দিয়ে যেত। আর বই। বই পড়ে পড়ে কাটিয়ে দিতাম। টু হেল উইথ হিউম্যানকাইন্ড এন্ড অল দেয়ার শিট! মানবজাতি থাকতো পড়ে তাদের আটারলি ইনকম্প্রিহেনসিব্ল এন্ড . . . এন্ড ইনেভিটেব্ল কাপ-ঝাপ নিয়ে। ওসব আর গায়ে লাগানো লাগতো না। কেবল পড়তাম আর পড়তাম। এটারনাল সন্তুষ্টির ইনফিনিট ভাণ্ডার। কিন্তু-
সাপ্তাহিক ছুটির সকালে একরকম নিয়ম করেই দেশের চ্যানেলগুলো দেখি। দুনিয়ার অন্যপ্রান্তে থাকায় ঐ সময়টাতে সব চ্যানেলেই খালি খবর আর খবর। তাই দেখি বসে বসে। রাজনীতির খবর, খেলার খবর, খারাপ খবর, সবই দেখি। খারাপ খবর দেখতে দেখতে হার্ট শক্ত হয়ে গেছে। টিভির রিপোর্টাররাও বোধহয় বুঝতে পারে কতটুকু 'নিতে' পারবে এই শক্ত হার্টের দর্শকেরা। তাই অবলীলায় তারা খুনের লাশের ছবি ঝাপসা করে দেখায়। ঝাপসা ছবির প্রান্ত দিয়ে লাল রক্ত
সবুজ পাতার নাম ধরে ডাকতেই
একটা ঘন অরণ্য চুপচাপ সামনে এসে দাঁড়ালো,
তার কাছেই চেয়ে নিয়েছি আকন্দের বীজ
শিকড় কুড়িয়ে নেয়ার সময়
করতলে উঠে এসেছিলো বিষাদের মতিচূর
তখনও আমার নয়ের ঘরের নামতা পাঠের কৈশোর
জেনেছিলাম, এ ঘন অরণ্য আমার মা হারানো দুধভাই
এ অরণ্য বিষাদের ডাকনাম
এই যে ঝাপুরঝুপুর গহন অরণ্য
চাঁদের আলোয় অমরাবতী এক রাত্রিপুর,
এখানে দলবেধে শেয়ালের ডাক
এখানে হাওয়ায় হাততালি
আমার ঠাকুদা একাত্তরে শহীদ হয়েছিলেন। সাদা শাড়ির ঠাকুমার বাকি জীবনটা কেটেছে গাছের সাথে। প্রতিটা গাছ ছিল তাঁর ভালোবাসা!
১৫ই বৈশাখ সন্ধ্যা। আগের বছরের মত এবারও বেশীরভাগ মেয়ে শাড়ি পরে এসেছে। সারাদিন কাজ করে সবাই অল্প স্বল্প ক্লান্ত। এসি রুমও টানা কাজ করার ক্লান্তি কমাতে পারে না। জানালা দিয়ে ঠিকই দেখা যায়, বাইরে ঢাকা শহর পুড়ছে।
তীরটা ছুঁড়েই চন্দ্রনাথ বুঝলেন এটা একেবারে জায়গামত যাবে।হলও তাই, ত্রিশ গজ সামনে থাকা হরিণটার বুকে বিঁধে গেল,হরিণটাও ধপ করে মুখ থুবড়ে পড়ে গেল। জীবনে শিকার তো আর কম করেননি, কিন্তু এবারের মত তৃপ্তি চন্দ্রনাথ আগে পান নি। এরকম বাতাসের মাঝখানে এতদুর থেকে একটা ছুটন্ত হরিণ শিকার কেউ প্রতিদিন করেনা,তারিফের আশায় তিনি তার পারিষদদের দিকে চাইলেন।