আমার এক গুটি পোকা ভাগ্নের কাছে জানলাম এই ব্লগটির কথা। বাংলায় আমি সবসময় খুবই গাধা। কখনও বেশি নাম্বার পাইনি ক্লাসে। ক্লাস সেভেন বা এইট এ একবার বাংলায় ফেল করায় আমার বাংলার প্রফেসর ফুফু বললেন " হায় হায় বাংলায় কেউ ফেল করে !! বাংলার প্রফেসরের বাড়িতে যদি বাংলায় ফেলু হয় তহলে ত লজ্জার কথা !! কি হবে এই মেয়ে কে নিয়ে "
মন বড়ই খারাপ হলো !! মন খারাপ ক্লাস টেনে উঠে যে বাংলার অবস্থা ভাল হলো তা কিন্তু ন...
উপর থেকে আদেশ- সকাল নটা থেকে বিকাল পাচটা, এই সময়ে অফিসে থাকতে হবে, কাজ থাকুক আর না থাকুক, ছুটি নেয়া বন্ধ। রাফিও বাধ্য ছেলের মত যায়-আসে। প্রতিদিন অফিস থেকে এসে তার ছোট্ট বাবুটার সাথে কিছুক্ষণ বিছানায় খেলাধুলা করে । তারপর একটু বিকেল-ঘুম দিয়ে সন্ধ্যা শুরু করে রাতের অপেক্ষায়। এটাই রাফির গত দু মাসের রুটিন।
যেমন এই সন্ধ্যাটা। ক্লান্ত রাফি আজ অফিসের কাপড় না খুলেই ঘুমিয়ে পরেছি...
ঝনননননননন............................................ যাহ!আবার ও কিছু একটা ভাঙলো!প্রতিদিন কোন না কোন অঘটন আর মিরার চিলচিৎকার এভাবেই রোজ ভোর হয় আমার ৪ কামরার এই ফ্ল্যাট এ।ব্যাংকার আমার ব্যস্ত জীবনে চাকরি যেখানে প্রায় নটা-আটটা ভোরবেলার এই আলসেমির সময়টুকু একান্ত আমার মনে হয়।চায়ের উষ্ণ ধোঁয়ার ফাঁকে বহুতল ফ্ল্যাটে আমার এক চিলতে আকাশ দেখা,ভোরটা কখনো ঠিক তুলতুলে পাখির মত অথবা হয়ত কখনো চকলে...
সকালে বিলম্বে ঘুম থেকে উঠে রুটিন কাজ গুলি সম্পাদন করে বেড় হতে দেরি হয়ে যায় সোহানের। রাস্তার যে মোড়ে অফিসের গাড়ি ঠিক আটটা ত্রিশ মিনেটে এসে দাঁড়ায় সেখানে পৌছে ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখে ৮:৩৫মিনিট। নিজের উপর নিজেই বিরক্ত হয়। ভাবে কেন যে প্রথম এলার্ম বাজার সাথে সাথে ঘুম থেকে উঠলাম না। অগত্যা কি আর করা সিএনজি স্কুটার বা ক্যাব ড্রাইভারের মন জয়ের জন্য সাত-সকালে আঁকুতি-মিনতি খেলা শুরু করে। ...
কারে যেন খুজে ফেরে
উদাসী চোখের নদী।
জানি, সে তুমি।
পৌনঃপুনিক ফিরে আসে বিশ্বাসঘাতক রাত্রির মায়া-
আলেয়ার পিদিম জেলে ডাক দিয়ে যায়
সেইসব রাত্রির কোলাহল!
শুধু তুমি আসনা!
তুমি ডাকনা!
অথচ তোমার তরে কী নিদারুন আর্তি আমার
চোখে,হৃদয়ে,মনে ও মননে;
মস্তিস্কের প্রতি নিউরনে।
১৯/১১/০৯ইং
##আকাশলীনা##
যন্তরপাতি জিনিষটাকে আমি সত্যি সত্যি ডরাই..মিনি সাইজের ক্যালকুলেটারেও ঠিক সুবিধা করে পারিনা কিনা, 2004..সেকেন্ড ইয়ার,এক সখী জুটেছিলো নেটখোর,ঐ বালিকার সুবাদেই অর্ন্তজালে হাতখড়ি.. আজকের হাবিজাবি অনলাইনে খুঁজে পাওয়া এক বন্ধুকে নিয়ে!
আমাদের দোস্তির বয়স বছর পাঁচেক..সরাসরি দেখা হয়নি কখনোই,নাহ..আমি প্রবাসিনী নই,শহর আলাদা হলেও তিনিও বাংলাদেশেরই বাসিন্দা,আসলে মুখোমুখি হওয়াটা খুব বেশি ...
সকালে উঠে দাঁত ব্রাশের পর প্রতিদিনকার মতো কম্পু চালু করে পাঁচটা ট্যাবে খবরের কাগজখুলে পড়া শুরু করলাম। হেডলাইন পছন্দ হইলে বিস্তারিত, না হইলে হেডলাইনেই খতম। ত্রিতীয় ট্যাবের সাইটে প্রথম পাতার হেডলাইনগুলো দেখতে দেখতে চোখে পড়লো পরপর তিনটা লনচডুবি সংক্রান্ত হেডলাইন। তিন নাম্বারটার হেডলাইন্টা একটু খাপছাড়া মনে হওয়ায় মারলাম ক্লিক।
বিস্তারিত পড়ে আমি...
সোহোরার্দী পার্কের ল্যাম্প পোস্টের আলোতে রুপালী ছেলেটাকে অন্ধকারের দিকে এগিয়ে আসতে দেখলো...
রুপালী তার সাথের সবাইকে বলে রেখেছে এই ছেলেটা এলে সে ছাড়া আর কেউ যাবেনা তার কাছে..
লুলা সামসুর বউ আসিয়া রুপালীকে মুখ ভেংচে বলে-এ্যা ঢং কত! ঐ ছ্যাড়া বিয়া করবো তরে?এত পিরিত কিসের?ল্যাহা পড়া করা পুলাপান মাতা গরম হইলে এইহানে আসে। তর মুক দেখছে ঐ ছ্যাড়া কহনো?জীবনেও দেখতনা,তুমি খালি তারে নিয়া খোয়া...
অদ্ভুত এক রোগের কবলে আমি
মিঠুন কুমার সমাদ্দার
“তোর তো মামা ওষুধ ফুরায় গেছে” হাসতে হাসতে একদিন একথাটা বলেছিলেন সুবর্ন আর্য্য( ছোটোকাগজ কর্মী, ছড়াকার) এই কথাটা আমাকে মাঝে মাঝে ভাবায় আসলেই কি আমার ওষুধ ফুরাইছে? কোনো কিছুই ভাল লাগছে না ইদানিং, ভাল করে কথা বলতে পারছি না সবার সংগে। যেমন ধর কোনো মিটিং এ কথা বলতে গেছি কথার মাঝ খানে আটকে গেছি.... “তারপর কি হবে, ঔ বলিস না ক্যানরে” এই হল অবস্...
হাতের মুঠোয় আঁকড়ে ধরে আছি
একরাশ রঙিন কাগজ। ফেস্টুন।
কাগজ? শুধু কাগজ নয় ওগুলো;
অন্তত আমার কাছে তো নয়ই।
তাহলে কি ওগুলো? আমি বলি,
‘ওগুলো স্মৃতি’। হাসলে? হাসির কথা নয় মোটেও!
মনে আছে? সেই যে সেদিন?
মনমরা হয়ে বসে ছিলাম আমি।
কিচ্ছু ভাল্লাগছিল না। এই যে, এখানে,
এই কাগজটিতেই তুমি এঁকেছিলে! দেখ, দেখ!
মনে পড়ে না বুঝি? অমন কৌতুকময় কার্টুন
শুধু তুমিই আঁকতে আমাদের ক্লাসে।
এই ময়লা আধ-ছেঁড়া কাগজটু...