সন্ধ্যের আকাশটা আজ বেশ শ্যাওলা ; ঘনীভূত হয়ে থাকা বায়বীয় ফ্রাইপ্যানে লাল টুকটুকে আগুন
আর
পোড়া পোড়া গন্ধে নিম নিম ডিম - দূরের আকাশ যতটা না কছে তার চেয়ে
বেশি নমনীয় হয়ে আছে উড়তে থাকা ছেড়া ব্যানার -
তবুও একজন রিক্সা আরোহী আর অন্যজন মধ্য বয়সী শাদা আঁচল
আজলে তুলে নেয়া নরম পানির মতো দুজনে বেশ ভাবাতুর হতে পারে অথচ আনমনে অস্বীকার করে গেল যে কোন একজন গতকাল যে ছিল ভিন্ন - ভিন্ন বাসরীয়,
আজকাল ...
খন্ড চিত্র - ১
১৯৯৯ সালে একদিন বাবার কাছে শুনলাম বাংলাদেশ এ নাকি একজন অর্থনীতিবিদ আছেন যিনি পৃথিবী জয় (!) করে এসেছেন কি জানি এক থিওরী দিয়ে (তখন micro-credit কি জিনিস বুঝতাম না) । তিনি বাংলাদেশ নাকি এমন একটা ব্যাংক খুলেছেন যেখানে নাকি শুধু গরীবরা হিসাব খুলতে পারে। আমি তখন বোকার মতো বাবাকে বলেছিলাম তাহলে তো বাংলাদেশ এ কোন গরীব থাকবে না। বাবা শুধু মুচকি হেসেছিলো। তারমানে তখন বুঝি নি। অনেক পর...
ধারাপাতের গুনগুন মনে নেই
ক্যলকুলেটারের বোতাম টিপে
দেদারছে বাড়ছে হিসাবের মেদবহুল দেহ।
দুয়ে দুয়ে চার, এই বিশ্বাসও আজ
সমসাময়িক বিশ্বাস থেকে উধাও
আত্মার অবমূল্যায়ন সম্পুরক বাজেটের মতো
বরাবরই তথাগত সমীকরণসিদ্ধ।
প্রতিশ্রুতি প্রায়শ্চিত্তের যাত্রায়
অনবরত ঘূর্ণায়মান
প্রথম সূর্যের কাছে
মৃত্যুর প্রার্থনা করে না কেউ।
সূর্যাস্তের কাছ থেকেও
জীবনের নতুন স্বপ্নই প্রকৃত চা...
মুকুন্দ ভদ্র এসেছিল এমন এক রাতে:
আশ্বিনের ঝঞ্জা-বজ্র বায়ু,
সরিসৃপের উত্কট শি-শি শব্দে।
কৃতদাসের পিঠের উদার জমিন
লাল থেকে নীল হয়ে যায় চাবুকে চাবুকে,
তেমনি বিজলী-মুখর করাল দন্তে
ক্ষনে ক্ষনে হেসে উঠা নিশী-রাতে,
আজ থেকে ঠিক একটি বছর আগে
এসেছিল মকুন্দ ভদ্র:
সম্ভাবনাময় এক প্রৌঢ় বিপ্লবী।
অন্ধকারে জ্বলে, জ্বলে সিংহ চক্ষু
দ্রোহ-হুংকারে, মূক্তির আশ্বাসে
তার অন্তরাত্তা বিশ্বাসে বিস্ফ...
যাক,বাড়িটা হচ্ছে শেষপর্যন্ত... রায়হানসাহেব খুব তৃপ্তমনে ভাবেন, একটা সন্তুষ্টির আভা তাঁর চোখেমুখে ছড়িয়ে পড়ে!সারাজীবনের কষ্টের ধন এই বাড়ি,নিজে সরকারী চাকরি করেছেন মাঝারি গোছের.. কখনো বাম হাতে রোজগারের কথা ভাবেননি, আয়েশা খাতুনও সেটা নিয়ে অনুযোগ করেননি...জীবনে তাঁর ইচ্ছে ছিলো একটাই,একদিন না একদিন নিজেদের মাথা গোঁজার একটুখানি ঠাঁই হবে.. তা প্র/ফান্ডের টাকা কড়িগুলোই তো...
মন খারাপের মাথায় বাড়ি,
রাগের সাথেও নিলাম আড়ি।
কি আর হবে গাল ফুলিয়ে
চোখ,মুখ আর ঠোঁট ঝুলিয়ে,
অযথা এই কষ্ট করে
সময়গুলো নষ্ট করে,
সব ভুলে তাই
মন ভালো চাই,
চোখটা খুলে ফোনটা নিয়ে
চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে,
ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি
'আমরা তো বেশ ভালই আছি',
এই যে শুনেন রাণীর পতি
বলছি রানী কঙ্কাবতী,
তোর নাকি আর "ভাল্লাগেনা"
মরিচ খেলেও ঝাল লাগে না,
করতে পারিছ শুধুই প্যাঁচাল
'পড়াশুনা ?সে তো ক্যাচাল'
...
এই যে শুনেন,ঘুরতে যাবেন?
শর্মা নাকি ফুচকা খাবেন?
রাজি হলে জলদি করেন,
টি শার্ট গায়ে বেড়িয়ে পড়েন।
তোমার দেয়া সেই জামাটা,
ভাবছি আজই পরব সেটা,
মনে পড়ে নীল চুড়িটা?
গত ঈদেই দিলে যেটা,
আরেক হাতে থাকবে ঘড়ি,
মাঝে মাঝেই সময় পড়ি।
দাঁড়াব সেই গলির মাথায়
রিক্সা নিয়ে আসবে সেথায়
ঝড় বাদলের এমন দিনে
ভিজতে হবেএসব জেনে,
আসার আগে মেসেজ দিব
ছাতা দুটো সঙ্গে নিব,
এবার বল কোথায় যাবে?
আইস্ক্রীম না কফি খা...
সেতু গ্লাভসের মত লাল নকশার এক জোড়া আল্পনা পরেছে দুই হাতে, সঙ্গে এক থোকা মানানসই লাল চুড়ি। মেহেদীর রঙ-সর্বস্ব প্রলেপের নিচে তার চামড়া কতোখানি মসৃণ ভাবতে থাকেন রেদওয়ান সাহেব। সেতুর চুলগুলো বাতাসে এদিক সেদিক উড়ছে, টানটান বাতাসে নৌকার পালের মত। রিক্সায় বসেও রেদওয়ান সাহেব সেই ছৈয়ের দোল খেতে থাকেন। রেদওয়ান সাহেবের চোখ, সেতুর চুলের লতাগুলো বেয়ে নিচে নামতে থাকে। অনেকটা নেমে কানের লম...
ইচ্ছার দূর্নিবার স্রোতে ভেসে ভেসে
মাঝির যাত্রা দিগচিহ্নহীন নিরুদ্দেশে ;
আবার বিরুদ্ধস্রোত ভেঙে তারা
তীরে ফেরা নিশ্চিত করে
কারণ ঘরে ফেরার আনন্দ অন্যরকম।
ছেঁড়া বালিশকাঁথা, স্যাঁতসেঁতে বিছানা
ভাতের শূন্যহাঁড়ি, রুগ্নরুটি কিংবা শাকপাতা
ছেঁড়াশাড়ি তেলচিটচিটে চুল কিংবা বিষণ্ন হাসি
সবকিছু জীবনের তাকে বেশ মানিয়ে যায়
কারণ ঘরে ফেরার আনন্দ অন্যরকম।
যে ঘরে থাকে বধূর চোখে বোশেখে...
২য় পর্ব এবং শেষ
আজকে আড়ং যাবই যাব
আশা করি খোলাই পাব,
খেয়ে দেয়ে পেট পুরিয়ে,
দু চোখ থেকে ঘুম উড়িয়ে
ভর দুপুরে ছাতা মাথায়
যাচ্ছি আমি আড়ং যেথায়,
যাওয়ার পথে খানিক থেমে
রিকশা থেকে একটূ নেমে
কিনে নিলাম ওয়ারিদ সিম,
জিপিটা ছিল ঘোড়ার ডিম।
আবার শুরু রিকশা ভ্রমন,
উদ্দেশ্য আড়ং গমন।
অনেক খানি পথ পেরিয়ে
সিগনাল আর জ্যাম এড়িয়ে ,
রিকশা এসে থামল যখন
আড়ং টা আজ খোলাই তখন ।
উত্তল দর্পণ
...