রাহির ভক্সি নোয়া মাইক্রোবাসটা গায়ের ইটের উচু নীচু ভাংগা রাস্তায় ৩০ কিঃমি/ঘন্টা বেগে এগিয়ে যাচ্ছে মদনপুরের দিকে। ঢাকা থেকে মাত্র৪০ কিলোমিটার রাস্তা কিন্ত আসতে সময় লাগে প্রায় ২ঘন্টার বেশী। মদনপুরের শেষ মাথায় গাছ গাছালিতে ঘেরা এক আদর্শ গ্রাম্য আবহে চতুর দিকে দেয়ালে ঘেরা সিরাজুল হক সাহেবের বাড়ি। গ্রামের শান্ত শ্যামল ছায়া ঘেরা অপরুপা পরিবেশটা এই বাড়িতে সম্পূর্ন বিরাজমান। সির...
পর্দা
সৈয়দ আফসার
পর্দার আড়ালে মুখ লুকাতে নেই
পাই-পাই করে চোখের সৌন্দর্য কমে
জানালার পাশে কক্ষনো যাবে না
হোক সে চেনা কিম্বা অচেনা
অচেনা থেকে গেলে পরিচয় পাবে
মুখঢাকা
যদি পর্দা সরে গিয়ে বাতাস ঢুকে আড়ালে
চোখ ফাঁকি দিতে পারবে না কেউ ছোঁয়ালে
ভদ্রলোক গালের আঁচিলটা একবার চুলকাইয়া আবারো ভাবনায় মন দিলেন। এ স্থানের নাম ‘ধামরাই’ না হইয়া ‘কামড়াই’ বা ‘চামড়াই’ হইলো না কেন? নিদেনপক্ষে ‘বিলাই’ও হইতে পারতো। এতসব থাকিতে ধামরাই কেন? ইত্যাদি সাতপাঁচ কষিয়া ভাবিয়া তিনি সিদ্ধান্তে পৌছিলেন, “ধুচ্ছাই, নামে কিবা আসে যায়?” অতঃপর ম্যারাথন ভাবনার পরবর্তী অংশে অগ্রসর হইলেন...
বহুক্ষণ ধরিয়া রাস্তার মোড়ে গাড়ী লইয়া বেকায়দায় আটকা পড়িয়াছেন...
হাজারো সমস্যায় জর্জরিত ঢাকা শহরে শব্দ দূষণ অন্যতম একটি সমস্যায় পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশের অনান্য জেলায় এই সমস্যা থাকলেও ঢাকা শহরের মত এত মারাত্মক অবস্থা কোথাও ধারণ করেনি। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, শব্দ দূষনের মত একটি গুরুত্বপূর্ণ নাগরিক সমস্যা ঢাকা সহ সারাদেশেই উপেক্ষিত। শব্দ দূষণ রোধে সরকারী সামান্য নীতিমালা থাকলেও বাস্তবে সে আইনের গ্রয়োগ নেই বললেই চলে।
প্রতিদিনই বাড়ছ...
সকালে যে সূর্যটা কোমল আলোর স্ফীত হাসি ছড়িয়ে প্রকৃতিকে অপরুপা করে পৃথিবীর বুকে আবির্ভূত হয়, সেই সূর্যটাই ভর দুপুরে তীর্যক আলো দিয়ে এই পৃথিবীটাকে উত্তপ্ত করে, মাঝে মাঝে অসহনীয় করে তুলে। আবার সময়ের ঘূর্ণিপাকে ঘুরতে ঘুরতে সাঝের বেলা আধারে হারিয়ে যায় কোন প্রকার বিয়োগ ব্যাথ্যা ছাড়া। এরপরও আমরা প্রতিদিন মুখিয়ে থাকি সকালের নতুন সূর্যের আশায়। সূর্যের অনপুস্থিতি আমাদের কাছে এক সেক...
আগামী আঁধারে
সব কিছু শেষ হলে
দাবি বা অনুতাপ।
উৎসের দিকে বিভ্রান্তি আর দ্বিধা
ঠেলে দিয়ে
মানুষেরা একে অন্যের নাম চিবিয়ে
ক্লান্ত হতে থাকে।
ভিন্নতা আজীবন বাইরের
চৌকাঠ রাঙ্গায় উচ্ছাসে।
কৌশলী হাত অবিরাম মূল্য গুণে নিলে
মানুষ অথবা শ্রেষ্ঠকুল
বিনীত এবং সংযত উচ্চারণে
সন্তুষ্টির ভাষা শিখে।
নবীণ লেখকের গল্প থেকে
ঝাঁপাঝাঁপি করে কিছু ইঙ্গিত।
মৃত্যূকে ছন্দে আর ছন্দকে আগুনে
...
আভা নিজের রুমে বসে সাজসজ্জা করছিলো বের হয়ার জন্য। আকাশের সাথে আজ তার প্রথম সাক্ষাত হবে। অনেক দিন ধরে ফোনে আভা-আকাশে মন দেয়া নেয়া চলছে। কাল রাতে তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছে আর ফোনে প্রেম নয়, এখন থেকে সরাসরি দেখা সাক্ষাত করবে। বিকাল পাচঁটায় ধানমন্ডি লেকের পশিম পাশে দেখা হবে। এরি মধ্যে তথ্য প্রযুক্তির আধুনিক মাধ্যম ব্যবহার করে নিজেদের কে চেনার মাধ্যমটা সেরে নিয়েছে। তারপর হাতের মুঠোয় ম...
বন্ধু তুমি একটু দাঁড়াও
কিছুটা সময় পেছন ফিরে তাকাও
কিছু কি দেখতে পাও ?
দেখতে কি পাও সেই পথ ?
যেপথ তুমি অতিক্রম করলে
দেখতে কি পাও সেই ভুল
যে ভুলে তুমি আজ এখানে এলে
দেখতে কি পাও সেই মুখ
যে মুখ তুমি সবসময় খুঁজেছিলে
বন্ধু তুমি একটু দাঁড়াও
আয়নায় নিজেকে একটিবার দেখ
চোখে পড়ে কোনও পার্থক্য ?
সময় নিয়ে আকাশের দিকে তাকাও
দেখতে কি পাও বিশালতা ?
একটিবার মায়ের আঁচলের নিচে আবার ঘুমোও
খুঁ...
যারা আমার আগের পোস্টটি পড়েছেন তারা হয় তো জানেন আমি একটি এনজিওর জেন্ডার সেকশনে ইন্টার্নশিপ করছি। অনেক নিত্-নতুন অভিজ্ঞতার সম্মুখীণ হয়েছি। আজকে আরেকটা নিয়ে লেখা হবে।
আপনারা আড়ং এর বিশাল বিশাল বিলবোর্ডগুলা খেয়াল করেছেন? ঢাকার নানা জায়গায় আসেঃ play Punjabi….ওই যে হুডিওলা পাঙ্গাবি পরা ২টা ছেলে। এই একই সিরিসের আরেকটা বিলবোর্ড হল check it out। ওইযে চেক শাড়ি পরা ২ মেয়ে গালে গ...
১৯৭১ সালের ৩০শে জুন, রাত ১১টা, গ্রামের সবাই তখন উৎকন্ঠা আর উদ্বেগ নিয়ে ঘুমের ঘোরে। ১৯ বছরের টগবগে তরুন সাত্তার যুদ্ধে যাবার জন্য নিজেকে তৈরী করে নিলো। আস্তে আস্তে মায়ের ঘরের কাছে এসে দড়জায় টোকা দিলো। মা তামান্না বেগম প্রথম টোকাতেই ভয়ে লাফ দিয়ে উঠলেন। পাশে ঘুমিয়ে পড়া স্বামীকে ধাক্কা দিয়ে তুললেন। সাত্তার বিলম্ব দেখে আবার টোকা দিলো, আর সাথে বললো-"মা আমি, দড়জাটা খুলো।" তামান্না বেগম ...