গতবছর এরকম এক দিনে অনিকেতদারএই লেখাটা হৃদয় ছুয়ে গিয়েছিল। আমরা তো সচলে সবসময় সচলদের জন্মদিন পালন করি। তাই আমি ভাবলাম, আজকে আমরা সবাই মিলে অনিকেতদার মার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানালে কেমন হয়?
মা, শুভ জন্মদিন!!!
দ্বিতীয় স্বত্তা
সকালটা রোজকার মতই সদামাটা, দেরিতে ঘুম থেকে উঠে কোনমতে গোসলটা সেরে জোরকদমে মার্চপাষ্ট, প্রায় দৌঁড়েই রাস্তার মোড়ে। তার পরে টুক করে হোটেলে ঢুকে পড়া, রোজকার পরিচিত বেয়ারার সালাম নেওয়া গম্ভীর মুখে, যেনো আমি কোনো বিশিষ্ট হোমরা চোমরা আরকি।
না বলতেই এসে দাঁড়ায় এক কাপ কম চিনি দেওয়া চা হাতে, দিনের প্রথম সিগারেট, চায়ের সাথে, এক চুমুক আগুন গরম চা আর এক বুক ধোঁয়া। আহ!
চা শেষ হতে না হতেই সামনে ...
আগের সামান্য অংশ
[আকাশটা একটু আগেও রৌদ্রোজ্জ্বল ছিলো। ঝুপ করে আলোটা সাতসকালেই মিইয়ে গেলো,নীল আকাশটা এখন দেখাচ্ছে ঠিক
সাদাটে মোমের মতো............
যন্ত্রণাটা বাড়ছে আবার টের পাচ্ছি। তির তির করে ছড়িয়ে পড়ছে পায়ের গোড়ালী অব্দি। আজকাল হাঁটতে বড় কষ্ট হয়। আমি কি ফুরিয়ে যাচ্ছি দিন দিন! ভাবলেই কষ্টরা কুন্ডলী পাকিয়ে মেঘের আকার নেয়। ভাবলেই ঝাপসা হয়ে ওঠে চারপাশ। সচলায়তন, তারিখ: শুক্র, ২০০৯-০৩-২০]
...
দীর্ণ দিন ভেসে যায় ময়ূরাক্ষীজলে,
ভেসে যায় তালপাতা দিন,
শাঁখসাদা দিন, লালশাক দিন-
রুপোলী মাছের দিন,
কখনও কাঞ্চনমালা দিন.....
কোথাও নিরুত্সব ভেজা-ভেজা
ধোঁয়ামাখা কাঠবুড়ো দিন-
কাঁচপোকা-রোদে নাছোড় ফড়িং.....
বিষাদ-বিলাপী এসরাজে টান,
ঘোলা জলে ভেসে যায় দিন।
কোথাও সূর্যরেখা ঘিরে দাঁড়িয়েছে
স্তোকনম্রা মেঘেরা-
ওরা ভুলে গেছে সব,
সব কথা, পুরানো নতুন-
এদিক-ওদিক চেয়ে ভয়ে ভয়ে
স্বর্ণসুতার পাশে ...
তখন রাত দুইটা হইবে। এক হাতে মাথা চুলকাইয়া, নিচের দুই হাতে কলা ছিলিতে ছিলিতে ডালে বসিয়া লিখিতেছিলাম। দাদু ব্যাটা দেখি পাশের ডালখানাতেই বেশ ফোররর-ফোৎ জুড়িয়া দিয়াছে। যেইভাবে ডাল টাল কাঁপাইয়া পাশ ফিরে, ভাবি বুড়ো পড়িয়া না মরে আবার! একবার ঘুমের ঘোরেই বলিয়া উঠিল, 'না না! .. ইউরিয়া কলা খাব না!' .. কি ছাইপাশ স্বপ্ন দেখে কে জানে..। ঘুম বোধ করি ছুটিয়া গিয়াছিল। আড়মোড়া ভাঙ্গিয়া দেখি উঠিয়া বসিল। একখ...
আকাশটা একটু আগেও রৌদ্রোজ্জ্বল ছিলো। ঝুপ করে আলোটা সাতসকালেই মিইয়ে গেলো,নীল আকাশটা এখন দেখাচ্ছে ঠিক সাদাটে মোমের মতো। একটা পাইপের উপর একটা কাক এসে বসছে কিছুক্ষণ, আবার উড়ে উড়ে যাচ্ছে। জানলা থেকে দেখতে পাচ্ছি, সামনের আট তলা বাড়ির ছ'তলার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে তেড়েফুঁড়ে মাথা বের করেছে টবে রাখা তিনটে গাছ যেন গলা বাড়িয়ে ওরা আকাশ দেখছে। খুব সামান্য একটু হাওয়া দিলো আর তাতে দুলে গেলো তারে মে...
আকাশে আজ নীল বসন্ত
স্বপ্নে মেঘের গান
থমকে যাওয়া দিনগুলোতে
আসুক ফিরে প্রাণ ।
প্রাণের মেলায়, গানে ভেলায়
দুঃখ ভাসাই, সারা বেলায়
সুখ পানশীর পালে লাগুক
আজকে নতুন টান ...
বন্ধু চলো আমার সাথে
কেউ র'বো না অতীত পথে
কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে যাবো
নতুন পথের পা'ন
থমকে যাওয়া দিনগুলোতে
আসুক ফিরে প্রাণ।
-
শিরোনামহীন
'ওরে! সে তো অতি পুরাতন কথা!' কিচিমিচি করিয়া দাদু যখন তাহার বগল চুলকাইয়া আগাইয়া আসিলো, ভাবিলাম, 'হইল!
এই বুড়োকে কিছু প্রশ্ন করাই ঝামেলার ব্যাপার। কিছু হইলেই একদম কিষ্কিন্ধ্যা হইতে শুরু করিবে! যেন হনুমান সুগ্রীব কথা না বলিলেই নয়! তবে বুড়ো জানে অনেক, তা না হইলে এইরূপে গুল মারাও বোধ করি সম্ভব হয় না!
আমি শুধু জিজ্ঞাসা করিয়াছিলাম, 'দাদু মিসিং লিঙ্ক কি?' দাদু যেইভাবে 'ওরে!' করিয়া উঠিল, বুঝিলাম...
নীল
----------------------------------------------------------------------
জীবন থেকে অতীত হয়ে গেছি সেই কবে। পাখির শিসে ধর্ষিত নিঃশ্বাসের বাতাস। কেবল মেঘের চোখের জলে ভাসতে দেখেছি একটি পরিচিত যন্ত্রণা। আমি তাকে কখনও বোন বলি; বলি শোনে যাও দিদি আমার, তুমি কী দেখেছো কোথাও সেইসব রঙ্গিন প্রজাপতিদের? যাদের ভীড়ে নিজেকে হারিয়ে ফেলবো ভেবেছি অনেক সময়? কিম্বা উড়ে যাবো তাদের সম্প্রদায়ে? দেখেছো কী তুমি? কোনো উত্তর না দিয়ে তুমি...
শিলাইদহ কুঠিবাড়ি ঘুরে আসার পর থেকেই শাহজাদপুর যাবার তীব্র ইচ্ছায় ভেতর ভেতর অস্থির হয়ে উঠেছিলাম। অবশেষে সিদ্ধান্ত নিয়েই ফেললাম যাবো। শাহজাদপুর সিরাজগঞ্জ জেলার অধীনে একটি উপজেলা যেখানে জোড়াসাঁকো ঠাকুরদের একটি কুঠিবাড়ি আছে। শাহজাদপুরের বাস ছাড়ে কল্যাণপুর থেকে।শাহজাদপুর ট্রাভেলসএর টিকেটও কাটলাম।পরদিন সকাল আটটায় বাস। বাস ছাড়লো আটটা কুড়ি তে,সাড়ে এগারটা নাগাদ শাহজাদপুর পৌছ...