ইভানের ঘরের জানালাটা বেশ বড় । বাড়ীটা ওর দাদার আমলের, বর্তমানে এরকম জানালাওয়ালা বাড়ি কোথাও দেখাই যায় না । জানালা টা খুললেই দূরের পাহাড় আর বড় বড় গাছের সারি দেখা যায় । যে কারোরই এমন সুন্দর দৃশ্য দেখতে ভাল লাগবে । তবে ইভান সব সময় জানালাটা বন্ধ করে রাখে এবং পর্দাও নামিয়ে রাখে । এর পেছনে জটিল কোন কারণ নেই, এইসব সৌন্দর্য তার কাছে পুরোপুরি অর্থহীন, এই যা । তবে আজ জানালা খোলা এবং সে জানালার সামনে দাঁড়িয়ে আ
১
ঘণ্টা বাজছে। ভোরের নিস্তব্ধতা খান খান করে বেজে চলেছে একটানা……বারো………একুশ……আঠাশ...............উনচল্লিশ......তেতাল্লিশ...... । স্টিভ হার্মিসন স্বপ্নে নিমগ্ন, দারুন একটা স্বপ্নের একেবারে শেষ পর্যায়। তার সামনে টেবিল ভর্তি খাবার। ঝলসানো হাঁস, আস্ত ভেড়ার রোস্ট, সেদ্ধ বিট, তেল মাখানো জলপাই…….। হার্মিসন গুনে শেষ করতে পারেনা। রোস্টের দিকে কেবল হাতটা বাড়িয়েছে - ঘুম ভেঙ্গে গেল তার। প্রথম প্রথম খুব খারাপ লাগত, আজকাল সয়ে গিয়েছে। কতদিন ধরে এই একটা স্বপ্ন দেখে চলেছে সে! আহা একবার, শুধু একবার যদি স্বপ্নটা শেষ হত! চোখ বুঁজে শুয়ে থাকে হার্মিসন | কিছুক্ষণই, তারপর সদ্য ঘুম ভাঙ্গা চোখে পিট পিট করে তাকায়। চোখে পড়ে খোলা আকাশ। আকাশের কোল ঘেষে দাড়িয়ে থাকা কালো গ্রানাইটের চূড়ায় অস্পষ্ট দেখা যায় - একটি রুপোলি ঘন্টা। রুপোলি ঘন্টা দুলছে অবিরাম, ডান থেকে বাঁয়ে আর বাম থেকে ডানে। ঘন্টা বাজছে, ভোরের নিস্তব্ধতা খান খান করে বেজে চলেছে একটানা......তেষট্টি........সাতাত্তর......উনআশি.........নব্বই...... তিরানব্বই। অবরোধের আজ তিরানব্বই তম দিন।
যারা বলছে বিভেদ তৈরির দায়ভার প্রগতিশীলদের উপরে তারা মূলত বামাতী। এই বামাতীরা প্রতিটা হত্যাকাণ্ডের পরে প্রথম যে প্রশ্নটি প্রচার করে "মুসলিম জঙ্গিরা যে খুন করেছে তা আপনি কিভাবে বুঝলেন?
আমাদের জানামতে, সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ। অন্তত মানুষ তাই ভাবে। অন্যকোনো প্রানীর মধ্যে এ ভাবনা আছে কিনা তা জানা নেই, আর থাকলেও তার সাথে মানুষের মিথস্ক্রিয়ার প্রক্রিয়া হয়ত এখনও সম্ভব হয় নাই। মানুষ অবশ্যই শ্রেষ্ঠত্বের দাবীদার তার চিন্তাশক্তি, সৃজনশীলতা এবং তা বাস্তবে রূপান্তরের সামর্থ্যের কারনে। অন্ততঃ পৃথিবী নামক এই ক্ষুদ্র গন্ডীর মধ্যে সমগ্র জীবের উপর সে তার আধিপত্য কায়েম করতে পেরেছে। মানুষ তার শ্রে
এভারেস্ট যাত্রা মোটেও সহজ কোনো ব্যাপার নয় কঠিন পরীক্ষার মখোমুখি হতে হয় পর্বতারোহীদের, মৃত্যুমুখে পতিত সহপর্বতারোহীদের বরফে জমে যাওয়া মৃতদেহ পাড়িয়ে উঠে যায় একে একে পর্বতশৃঙ্গের দিকে। আমরা যারা সমতলের মানুষ, অনেকেই ভাবি এসব পর্বতে চড়ে কি লাভ? কি জন্য এসব দুঃসাহস দেখানো?
প্রগতিশীলদের মধ্যে আমরা যারা সক্রিয়ভাবে রাজনীতির সাথে যুক্ত নই, বা কখনও মাঠ পর্যায়ের রাজনীতি করিনি তাদেরও কিন্তু একটা রাজনৈতিক চেতনা আছে। এই চেতনা কখনও আওয়ামী লীগের অনেক উদ্যোগকে সমর্থন করে, কখনও বাম উদ্যোগকে সমর্থন করে। আবার এই দুই পক্ষেরই নানা কাজের সমালোচনাও করে। কিন্তু একটা ব্যাপারে আমাদের সবার মিল এখানে যে, আমরা ধর্মান্ধতা, অন্ধকারের বিরুদ্ধে কথা বলি, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারও চাই। পার্টিজান অবস্
কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের একটা গল্প আছে ‘সাড়ে সাতাশ’। সেখানে তিনি নতুন গল্পের খোজে পুরোনো সাতাশটি গল্পের চরিত্রগুলোকে ডেকে পাঠান। চরিত্রগুলো নিয়ে উনি নদীর পাড়ে গোল-টেবিল বৈঠকে বসেন। ভুলে যাওয়া, ছায়ার মত নিত্য সঙ্গী হয়ে যাওয়া চরিত্র থেকে শুরু করে ডোডো পাখি, কাঁঠাল পাতা কিংবা মাটির ঢেলা, কেউ বাদ যায় না। একটু একটু করে নষ্টালজিয়া নেমে আসে নদীর ঢেউয়ে ঢেউয়ে। তেমনি, সঙ্গীতাঙ্গনে আমারও প্রিয় কিছু চরিত্
“মোহনা কাকে বলে জানিস?”
“স্যার, আমার খালাত বোনের নাম মোহনা। খুব ভাল ছাত্রী। সারা রাত জেগে পড়াশোনা করে দেখে আম্মা আমাকে ঝাড়ি দেয় কেন তাঁর মত রাত জেগে পড়াশোনা করি না।“
“চুপ থাক ফাজিল কোথাকার। আমি কি এই মোহনার কথা জানতে চেয়েছি?”
কাল রাতে অদ্ভুত একটি স্বপ্ন দেখেছি।
...............................................................
দেখলাম আমরা নতুন বাড়ি কিনেছি, আমরা মানে আমি আর আমার স্ত্রী। বাড়িটা দারুণ, অনেকগুলো ঘর একতলা দোতলা মিলিয়ে। তিনপাশ জুড়ে সবুজ ঘাসের ঘন লন, লনের প্রান্ত ঘেঁষে বেশ কয়েকটি ফলের গাছ, বাড়ির সামনের দিকে পরিপাটি ফুলের বাগান। ভূতপূর্ব গৃহস্বামীর রুচিতে আমি মুগ্ধ। নতুন বাড়িতে আমি একাই এসেছি। নিচতলার যে ঘরটায় থাকবো বলে ঠিক করেছি তার দুই দিকে বড় বড় দু’টি জানালা, জানালায় সাদা রঙের টানা ব্লাইন্ড। ব্লাইন্ড সরাতেই চোখে পড়ল মূর্তি দুটো। দুটো শ্বেত পাথরের পরী, দেখতে হুবুহু একই রকম মনে হলেও কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকলেই তফাৎ টা চোখে পড়ে। পশ্চিমের পরীটা লক্ষ্মীট্যারা।