লিস্ট থেকে আরেকটি নাম খসে গেছে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেল – নীলয় নীল (নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়)। এ খবরের রেশ এর মধ্যে কেটে গেছে এবং আমরা আমাদের সাদামাটা দৈনন্দিন কাজে মনোনিবেশ করেছি। সেলফি কিংবা নামী রেস্টুরেন্টে দ্বিপ্রহরের কিংবা সান্ধ্য ভোজের ছবি আপ্লোড দিচ্ছি। প্রত্যেক এক্টিভিস্ট ব্লগারের হত্যাকাণ্ডের পর এরিমধ্যে অনেক লিখালিখি হয়েছে। দুঃখজনকভাবে এ ধরণের অপরাধ দমন প্রক্রিয়া কিংবা সামাজিক এ দূর্যোগ পরিস্থ
কবি চন্দ্রাবতীর নাম শুনি সেই ছোটবেলাতেই। আমাদের কিশোরগঞ্জে “শুরূক” নামে একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা চালু ছিল (এখন বন্ধ)। আমার জীবনের প্রথম লেখা এই পত্রিকাতেই ছাপা হয়েছিল। যেই সংখ্যায় আমার লেখাটি ছাপা হয় সেই সংখ্যাতেই চন্দ্রাবতীর উপর একটা প্রবন্ধও ছাপা হয়েছিল। চন্দ্রাবতীর সাথে সেই আমার প্রথম পরিচয়।
প্রেম এসে ফিরে ফিরে যাচ্ছে, বিষাদও
শোনাতে চাইছে তার সকরুন সুর
আর আমি বসে দুর-বহুদুর
যা কিছু সব টের পাচ্ছি
তবু রোজকার মতো খাচ্ছি-দাচ্ছি-ঘুমাচ্ছি।
প্রেম জানে,
আমার আছে নিজস্ব একটা ঘর
তবু সে সামলাইতে কয় পর
আমারে আকৃষ্ট করতে চায় ভোগে
সে জানে, আমি বি-বাহিত রোগে
আক্রান্ত হয়ে আছি,
বিষাদের কাছাকাছি।
প্রেমরে বলি, আমি কিন্তু ভোগবাদি নই
(যদিও সে সুযোগ এখন আর কই?)
ডিভিডি প্লেয়ার এ মৃদু সুরে বেজে উঠল রবীন্দ্রসঙ্গীত। তুমি কি কেবলই ছবি ----। আসাদের জন্য । নাপিত আসাদের চুলে কাঁচি ছোঁয়ানোর সাথে সাথে শুরু হল গানটা । তার পছন্দের দাম আছে । আগে এমনটা হত না। আসাদকে দেখলেই সে মোবাইল ফোনে ডাকত,” নিতাই দা, তোমার কাস্টমর।“
[justify]
২০০৬ বিশ্বকাপ আসন্ন। আতাতুর্ক স্কুল হোস্টেল।
সময়টাই অসহিষ্ণুতা, নিষ্ঠুরতা আর সহিংসতার। অবশ্য আমার জানাশোনা ততটা বেশি নয় যতটা বেশি হলে নির্দ্বিধায় বলা যেতে পারত এ সময়টাই ইতিহাসের সবচেয়ে বেশি অসহিষ্ণু কি না। তুলনার বিচারে তাই যাচ্ছি না আর এই লেখাটা অসহিষ্ণুতা আর সহিংসতার বিশদ বিবরণও নয় বরং মানুষের নিত্যদিনের আচরণ, অসহিষ্ণুতা, নিষ্ঠুরতার প্রকাশের সাথে শিশুমনের সম্পর্ক নিয়ে। শিশুমন বা শিশুর বেড়ে ওঠা নিয়ে আমার পড়ালেখা নেই, এ লেখাটি বস্তুত লিখছি ন
সত্যব্রত মাঝি। মাঝির পুরো নাম। সবার কাছে ও মাঝি বা মাঝিদা এসব নামেই পরিচিত। আজ উইক এন্ড। ও দেরী করে ঘুম থেকে ওঠেনা। জীবন টা শুরু করেছিল চাটারড ফার্মে কাজ দিয়ে। অনেক জাগায় ঘুরতে হয়েছে। ধরতে হয়েছে ভোরের ট্রেন। তাই সকালে ওঠা ওর বরাবরের অভ্যেস। আজ ও সকাল সকাল উঠে পড়েছে। আট টার মধ্যে স্নান ও সারা। কিন্তু সকাল থেকেই ওর কাল রাতের অভিজ্ঞতা টা মন থেকে যাচ্ছে না। মনে হচ্ছে ও কি কাল স্বপ্ন দেখেছিল। নাহঃ। ব
এমআইটিতে পড়ার সময় মানুষজনের সাথে বিভিন্ন রকম মজা করতাম। মেকানিক্যাল ড্রয়িং ক্লাসে আমাদের ফ্রেঞ্চ কার্ভ নামে একটা জিনিস ব্যবহার করতে হতো। জিনিসটা প্লাস্টিকের তৈরি, অনেকটা রুলারের মতো, ওটা দিয়ে কাগজে মসৃণ বক্ররেখা আঁকা যেত। একদিন একজন ক্লাসে একটা ফ্রেঞ্চ কার্ভ হাতে নিয়ে বলল, “আচ্ছা এই জিনিসটা কি কোনো বিশেষ সূত্র মেনে তৈরি করা হয়?”
এক মুহূর্ত ভেবে বললাম, “নিশ্চয়ই! সব ফ্রেঞ্চ কার্ভই একটা বিশেষ সূত্র মেনে চলে। এই দেখো”, বলে আমার ফ্রেঞ্চ কার্ভটা হাতে নিয়ে বললাম, “এই কার্ভগুলো এমনভাবে তৈরি যে এটাকে যেভাবেই ধরা হোক না কেন, এর সবচেয়ে নিচের বিন্দু দিয়ে একটা স্পর্শক আঁকলে সেটা সবসময় অনুভূমিক হবে।”
প্রসঙ্গ কথাঃ
সবাই এসো দাঁড়াও হাতে হাত
মরছে দেখো মানুষ দিন রাত
কিশোরী মার দুচোখ ভেসে যায়
শিশুটি তার ধুঁকছে অসহায়
বৃষ্টি আর ভীষণ কলেরায়…………………………
( মূলঃ জোয়ান বায়েজ
অনুবাদঃ মাহমুদুজ্জামান বাবু)