অতিথি লেখক এর ব্লগ
বরবটি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৯/০৭/২০১৫ - ১১:০৬অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
একবার গরমের সময়ে আমি একটা হোটেলে কাজ করেছিলাম, বয়স তখন সতেরো কি আঠারো হবে। হোটেলটা চালাতেন আমার এক খালা। ওখানে কাজ করে কত পেতাম এখন আর মনে নেই - হবে হয়তো মাসে বিশ-বাইশ ডলার। ওখানে আমি একদিন এগারো ঘণ্টা আরেকদিন তেরো ঘণ্টা করে কাজ করতাম। আমি ছিলাম একই সাথে ডেস্ক ক্লার্ক আর বাসবয়। বিকালে যখন আমি ডেস্ক ক্লার্ক হিসেবে বসতাম, তখন আমার কাজ ছিলো একজন পঙ্গু মহিলার কাছে দুধ নিয়ে যাওয়া। ঐ মহিলার কাছ থেকে একটা পয়সাও বখশিশ পাইনি কোনোদিন। আসলে পৃথিবীটা এমনই, সারাদিন খেটেও কিছুই পাওয়া যায় না, কিন্তু সেটাই করে যেতে হয় দিনের পর দিন।
বিদেশে চাকুরী
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৭/২০১৫ - ৯:১২অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
শ্রমিক হিসাবে বিদেশ যাত্রার চেষ্টা কালে তুচ্ছাতিতুচ্ছ কারনে মেডিকেল টেষ্টে আনফিট হলে কেউ কেউ পরামর্শের জন্য আসে। আমি চিকিৎসা প্রসঙ্গের বাইরে একথা ওকথা আলাপ করি। অনেকের বেতন বাংলাদেশী টাকায় পনের-বিশ হাজার টাকা মাত্র। বলি, বউ বাচ্চা ফেলে বছরের পর বছর বাইরে পড়ে থাকবেন। এ টাকাতো দেশেও কামানো যায়। সে বলে কেমনে? কি কইরা? আমার কাছে অবশ্য জবাব নাই।
দাম
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৭/২০১৫ - ৯:১১অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
ধুর! তখন থেকে ওই বুড়োর দিকে নজর রেখেছে জলিল, বিরক্তি ধরে গেল প্রায়। কিন্তু বুড়োর চালচলনে কোনো পরিবর্তনের আভাস দেখতে পায় না ও। মাছটুকু কি বেচার ইচ্ছে নেই নাকি বুড়োর? মনে মনে বুড়োর উদ্দেশ্যে একটা গালি ছোড়ে জলিল। বাজারের এক পাশে এই টঙের উপর কি অল্প সময় বসে আছে ও? শুধু বসে থাকলেও হতো, বুড়োর মাছটুকুর দিকেও নজর রাখতে হচ্ছে না? অন্য সব মাছের যা দাম রে, ভাই!
মিডওয়ের যুদ্ধ (শেষ পর্ব)
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৭/০৭/২০১৫ - ৯:১১অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
মিডওয়ের যুদ্ধ (শেষ পর্ব)
প্রথম পর্বের লিংকঃ http://www.sachalayatan.com/guest_writer/54694
এখনও জাপানিদের পক্ষে যুদ্ধ জয় করা সম্ভব।
একমাত্র টিকে থাকা জাপানি ক্যারিয়ার হিরিয়ুর ডেক থেকে জঙ্গিবিমানের বহর উড়ে গেল।
‘চিন্তা’ করে রেডিও মেরামত!
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১৫/০৭/২০১৫ - ২:২৩পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
আমার বয়স যখন বারো, তখন আমার বাড়িতে একটা ছোটখাটো ল্যাব বানিয়েছিলাম। জিনিসপত্র রাখার জন্য ছিলো একটা পুরনো কাঠের প্যাকিং বাক্স। একটা হিটার ছিলো (সেটাতে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই বানানোর কাজেই লাগতো সবসময়)। আরও ছিলো একটা স্টোরেজ ব্যাটারি, আর একটা ল্যাম্প ব্যাঙ্ক (সিরিজ/প্যারালেল সমন্বয়ে সাজানো কতগুলো বাল্ব)।
আপনার সন্তান কি “Global Developmentel Delay “ নিয়ে জন্মেছে ?- সময় থাকতে সতর্কতা অবলম্বন করুন।
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৩/০৭/২০১৫ - ১০:৫৭অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
জন্মগ্রহনের পর থেকে একটি শিশুর পূর্ণবয়স্ক হয়ে বেড়ে ওঠা একটি সম্পূর্ণ এবং সুবিন্যস্ত পদ্ধতির মধ্য দিয়ে হয়ে থাকে। তারপর শিশুটি সময়ের সাথে সাথে বয়স অনুযায়ী আলাদা ভাবে প্রয়োজনীয় এক একটি জিনিস শিখতে থাকে এবং নির্দিষ্ট একটা সময় পরে সবগুলি একত্রিত হয়ে একটি পরিপূর্ণ ব্যক্তি সত্ত্বার বিকাশ ঘটে। এগুলিকে বই এর ভাষায় “Individual Skill” বলা হয়, যেমনঃ কথা বলতে শেখা, হাঁটতে শেখা, খেলাধুলা, নিজের মত করে চিন্তা কর
বাংলাদেশ ক্রিকেটদল, আমার প্রজেক্ট ও তদসম্পর্কীয়
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ১৩/০৭/২০১৫ - ৯:৩৫অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
[justify]আমি যে প্রজেক্টে কাজ করছি সেখানের ক্লায়েন্ট সাইড প্যাকেজ ইঞ্জিনিয়ার অজি। বিশ্বকাপের আগে কইল, কি মিয়া খেলা আছে ত তোমাগ লগে, ঠেলা সাম্লাইতে পারবা, (I think we’ve got a game in the world cup with you guys, do you think you will be able to handle us mate?)
মন-খারাপের গল্প
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ০৯/০৭/২০১৫ - ১:১২পূর্বাহ্ন)ক্যাটেগরি:
আমাদের প্রিয় ছিল ছাদটা, মেয়েদের পাঁচটি হলের মধ্যে একমাত্র আমাদের হলেই ছিল তালা চাবি বিহীন খোলা ছাদ। অন্য মেয়েদের সকরুণ ঈর্ষাকে অবলীলায় তুড়ি মেরে আমরা কী দিন, কী রাত সেই ছাদে হুল্লোড় করতাম, আড্ডা দিতাম, ফোন কানে হাঁটতে হাঁটতে প্রেম করতাম, ক্লাস প্রেজেন্টেশনের মহড়া করতাম। হল খোলা থাকার বিকেল ১ম ব্লকের বিচ্ছিন্ন একলা একা ছাদ বা অন্য তিনটা ব্লকের সংযুক্ত ছাদ বসে, দাঁড়িয়ে, ঝুঁকে কিংবা চিলেকোঠায় শুয়ে থা
আধুনিক বালাই
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ০৪/০৭/২০১৫ - ৮:৫২অপরাহ্ন)ক্যাটেগরি:
মূমূর্ষূ রোগীটিকে চারদিকে পরিবেষ্টন করে আছে তার স্বজনেরা । কবিরাজ বলিলেন, লক্ষণ ভাল নহে । তাহাকে বাঁচানোর পথ একটাই । এমন এক লোকের একটা স্মার্ট ফোন এনে রোগীর কপালে ঘষা দিতে হবে- যে লোকটির চোখ ও কানে কোন সমস্যা নাই, ঘাড় বা মাথায় কোন ব্যাথা বেদনা নাই এবং মনমেজাজে কোন তিরিক্ষি ভাব নাই । রোগীর লোকেরা বলিল, এইটা কোন ব্যাপার ? আপনাকে গন্ডায় গন্ডায় সেই রকম ফোন আনিয়া দিতেছি ।