যুক্তির পিঠে অস্ত্র দিয়ে আঘাত চালায় যারা
ভালোই জানে, যুক্তি তাদের কতোটাই নড়বড়া।
তবু তাদেরই গুণ গায় যারা, সংখ্যায় বেশি তারাই
মানবতা শুনে, মুখ বুঁজে কাঁদে, পিশাচ-প্রেমীর বড়াই।
আর ঢাকে যারা ঘাতকের গ্লানি, কপোট অজুহাতে,
দার্শনিক আর মানবতাবাদি নেতা তারা বাংলাতে।
বাকি যারা আছি, চিৎকার করি বিচার চাইতে গিয়ে
আশেপাশে সবে, বিদ্রূপ করে, সেই আমাদের নিয়ে।
আইফোনের এলার্মের কর্কশ কন্ঠে ধড়ফড় করে লেপ ছেড়ে উঠে বসে শাহেদ। লাল ঘুম জড়ানো চোখ, উস্কোখুস্কো চুল, একটু সময় লাগে ধাতস্ত হতে। জানালা দিয়ে বাইরে তাকায়, সাদা তুলার মত তুষারে ঢেকে আছে গাছ, পার্কিং লট, গাড়ি সব কিছু। গজগজ করতে করতে ভাবে, আজকেও অফিস যাওয়ার আগে গাড়ির বরফ সাফ করার হ্যাপা। টলমল পায়ে, আইফোনটা হাতে নিয়ে শাহেদ পা বাড়ায় বাথরুমের দিকে, আর আনমনে নিজের কোমর চুলকাতে থেকে ঘ্যাঁস ঘ্যাঁস করে।
তিন বৎসর পর ওদের ভর্তির টাকা জমা হলো। ওরা ভর্তি পরিক্ষায় উৎরে গেল। শুরু হলো নতুন যুদ্ধ। আমার বাসায় কখনো গৃহ শিক্ষক রাখা হয়নি, কখনো ওদেরকে কোচিং করাই নি। তবুও ওরা মেধা স্থান দখল করতো, বৃত্তি পেতো। আমি রাত জেগে ওদের জন্য নোট করতাম, তার পর যখন নোটে চোখ বুলাতাম সব ক্লান্তি দূর হয়ে যেত। পাবলিক পরীক্ষায়ও ওরা সব চেয়ে ভাল রেজাল্ট করেছে। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, ওদেরকে আনন্দময় শৈশব দিতে পারি নি। একটা গল্পের বই বা খেলনা পাবার জন্য ওদেরকে মেধা স্থান দখল করতে হতো। পছন্দের টিফিন খাবার জন্য এক সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হতো। কারন সপ্তাহে একবারই ওরা টিফিনে টাকা পেতো।
সেদিন বিকাল ৫টা হবে অথবা এর একটু পর। এখন আর মনে পড়ছে না ঠিক ঠাক সময় বা মুহূর্ত। আমি পান্থপথে, ওই যে আসবাবের দোকানগুলো ছিল না, সে পাশ দিয়ে হেঁটে মোড়ের দিকে আসছিলাম অফিসে সেরে রিকশা নেব বলে। দুপুরের কিছু পরে বৃষ্টি হয়েছিল তাই এক পাশে পানি জমেছিল বলে রাস্তার কিছুটা মাঝে দিয়ে হাটছিলাম। একটু পরে উলটো দিক থেকে এক মোটর সাইকেল আসছিল। তো, মোটর সাইকেল পুরো গাঁ ঘেষে গেল, আমি সরতে গিয়ে সরতে পারিনি। সরে কোথায়
শিরোনামটা বলে দিচ্ছে আমি একজন পুরুষ, অন্তত: নিরানব্বুই ক্ষেত্রে। বাংলায় লিখছি, কাজেই এবার অনুমিতি নিরানব্বুই দশমিক নয় নয়ে অথবা একশতে গিয়ে ঠেকা উচিত। নিপীড়নে বাঙালি পুরুষের জুড়ি মেলা ভার। সেটা যৌন হলে তো কথাই নেই। আমি ব্যক্তিগত কিছু ঘটনা বলব, পাঠক প্রতিক্রিয়া নিয়ে আপাতত: মাথা ঘামাচ্ছি না। ব্যক্তি আমাকে নিয়ে কে কি ভাবলো সেটাতে আসলে আমি ছাড়া ম্যাস পপুলেশনের কিছু যায় আসে না। ঘটনাগুলো বাস্
স্তব্ধ চারিদিক,ঘন কুয়াশা
পীচ ঢালা রাজপথ ধরে আমি হেঁটে চলেছি একা একা ।
খোলা চুলগুলো উড়ছে, হিম শীতল ঠাণ্ডা হাওয়া
অদ্ভুত সুন্দর কিছু মুহূর্ত,অস্পষ্ট কিছু ভাল লাগা ।
ধোঁয়া ধোঁয়া কুয়াশা আধো আলো আধো ছায়া ;
গন্তব্যহীন পথ ধরে আমার এ হেঁটে চলা ।
ঐ শিশির ভেজা নরম ঘাসের চাদরে ,
আমার কত স্মৃতি পরে রয়েছে অনাদরে ।
মনের পর্দায় উঠল ভেসে, আমার শৈশব ;
কিশোরী মনের লাজুক স্বপ্নে ঘেরা আমার কৈশোর ।
বাসায় নারী জাগরণের ভুতটা প্রথম আনলো মা।
বাবা-মার ভীষণ আদরে বড় হয়েছি আমরা দুই বোন। আমি বড়। বৃহত্তর পরিবারের সব বোনদের মধ্যেও আমি বড়। ছোটবেলায় অসম্ভব চুপচাপ ছিলাম। আমার তিন বছরের ছোট বোন ছিল ঠিক তার উল্টো। মার কাছে আমাকে প্রায় ঘেঁষতেই দিত না। ভীষণ জেদ ছিল ওর। খাওয়া, পড়া কোনো কিছু নিয়েই সে কথা শুনতে চাইতো না। ওর আবদার নিয়ে আমার কর্মজীবি মাকে হয়রান হতে দেখে আমার খারাপ লাগত। তাই ৪-৫ বছর বয়স থেকেই সবসময় চেষ্টা করতাম, যেন আমার কারণে মা-বাবাকে
ধন্যবাদ সচলায়তন কে। কত অজানা কথা, অজানা গল্প, অজানা ক্ষোভ জানতে পারছি। নারী হিসেবে আমি নিজেও যে বৈষম্যের শিকার একেবারে হইনি, তা ও না। কিন্তু সে গল্প আজ থাক।আজ বরং অন্য এক নারীর গল্প বলি।এক সাধারণ নারীর গল্প।অথবা..... অসাধারণ।
প্রচন্ড গরম। হাতে নোটখাতা, প্রশ্নতালিকা অনবরত হাতড়াচ্ছি। সামনে উতসুক চেহারা নিয়ে বসে আট-দশজন মহিলা। অভিভাবকের ভঙ্গি নিয়ে বসে আছেন একজন পুরুষ, মহিলাদের কারো স্বামী হবেন। ইন্টার্ভিউ যদিও শুধুমাত্র মহিলাদেরই নেবার কথা ছিল, বেশিরভাগ উত্তর দেবার দায় স্বপ্রণোদিত হয়ে তিনিই নিচ্ছিলেন।