এতক্ষণে একটু দম ফেলবার সময় পেল শাঁওলী। মা গো! কাল সেই সকাল থেকে শুরু করে আজ এই ঘণ্টাখানেক আগে অব্দি যা ঝড়টা গেল! প্রথমে তো হলুদ, তারপর এক এক করে আশির্বাদ, বিয়ে থেকে আজ সকালে বাসি বিয়ে। ইস! বিয়ে করে নাকি কেউ?
ওভারব্রিজের অন্ধকার একটা জায়গায় দাঁড়িয়ে আলো দেখছিল পলাশ। অন্ধকার থেকে আলো দেখার আলাদা একটা মজা আছে। এখনো বেশ ভিড় ব্রিজের উপরে। অনেক লোকজন এপাশ ওপাশ দিয়ে খালি নামে আর উঠে, হনহন করে হাঁটে। ‘প্রতিদিন এরা কই যায় এতো?’ পলাশের মনে হয়। পলাশ তার এখনকার নাম। আগে নাম ছিল সয়ফল। তেমন জুতের নাম ছিল না। সয়ফল বা পলাশ, অথবা পলাশ বা সয়ফল আদতে একটা বেজন্মা। তার আলাভোলা মুখ দেখে তা বোঝার উপায় নেই। আগে কেবল জন্মসূত্র
অনেক অনেক দিন আগের কথা। এক যে ছিল গাঁ, সেই গাঁয়ে ছিল দা-রু-ণ মিষ্টি এক বাবা, আর ভী-ষ-ণ মিষ্টি এক মা। আর তাদের ছিল দা-রু-ণ মিষ্টি এক সংসার। এমন মিষ্টি সংসার নাকি ত্রিভুবনে কেউ দেখেনি। সেই সংসারে সুখ, শান্তি আর ভালোবাসার কমতি ছিল না কোনো, ছোট্ট বাড়িটার চারপাশে ছিল ভালোবাসার ছড়াছড়ি।
সৃষ্টির মাহাত্ম্য কখনও কখনও কি সৃষ্টিকর্তাকেও আড়াল করে দাঁড়ায় না?
স্বীয় ঔজ্জ্বল্যে কি ঢেকে দেয় না সৃষ্টির দিনক্ষণ, বিবরণ?
টিকাটুলী থেকে রিকশা নিয়ে প্রেসক্লাব অতিক্রম করতে করতে ভাবতে থাকি আমরা। ভাবতে ভাবতে হাইকোর্ট পার হই। দোয়েল চত্বর অতিক্রম করে একসময় পৌঁছে যাই বাঙালির প্রাণের মিনার শহীদ মিনারে।
ভাষা আন্দোলনে (১৯৫২—১৯৫৬ ) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের মিলিত সংগ্রাম ছিল এ’কথা কারো অজানা নয়। কিন্তু সে সময় ছাত্রীদের গ্রেফতার ও তাদের কারাবাস বিষয়ক ঘটনাটি প্রায় নেপথ্যে রয়ে গেছে। সে বিষয়টির প্রতি আলোকপাত করে সে সময়কার ভাষা সংগ্রামীদের ও ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি। সে আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারি ড.
এই যে আমাদের কথা হচ্ছে না। তুমি ভেবে নিও না, তুমি নেই!
রিকশার উপরে সরু সিটটার উপরে উঠে বসেছো কখনো? কিংবা এক কাত হয়ে অনেকক্ষন ঘুমানোর পরে অবশ হাতটা?
রাজীব
“স্যার , চা খাবেন ?” ধাতব, কিন্তু মিষ্টি কণ্ঠে একটা প্রশ্ন ভেসে আসে।
“চা নিয়ে আমার মাথায় ঢাল , যত্তসব। রোবটের হাতে বানানো চা । চা তো না, যেন ফর্মুলা ।“
বর্ণালীর ওপর প্রচণ্ড একটা ক্ষোভ হঠাৎ দানা বাধতে শুরু করে রাজীবের মনে।