[justify]আমি প্রায়ই ভাবি, একটা ভাল কিছু লিখবো। খুব বড়, উন্নত মানের একটা লেখা। আমার লেখা পড়ে কেউ হাসবে, কেউ কাঁদবে। আমার বই শেষ না করে ঘুমোতে যেতে পারবে না। কিন্তু শেষমেশ আর কিছুই লেখা হয়ে ওঠে না। খুব সাধারণ একটা ঘটনা নিয়ে লিখতে চাই, কয়েকটি মানুষকে নিয়ে লিখতে চাই, কিছু সুখ-দুঃখের গল্প বুনতে চাই- কিন্তু এত ঘটনার ভিড়ে কোন একটা ঘটনাই মুখ্য হয়ে ওঠে না আমার। একটা সময় টুকরো টুকরো লিখতে পারতাম বোধহয়, সেই লেখা দেখলে আজ নিজের উপর প্রচন্ড হাসি পায় । কিসব ছাতামাথা লিখে নিজেকে বড় লেখক ভাবতাম! কিন্তু এখন হয়ত সেই ধ্রুব সত্যটাকে আর এড়াতে পাচ্ছি না। হয়ত নিজের অজান্তেই আমি মেনে নিয়েছি, আমি এখন আসলেই পারি না কিছু লিখতে।
“তুমি কারও সাথে ছবি তুলতে যাবে না, সবাই তোমার সাথে ছবি তুলতে আসবে।“২০০৭ সালে প্রথম বিশ্বকাপ খেলতে গিয়ে সদ্য কৈশোরউত্তীর্ণ তামিম ইকবাল যখন সচিন, সৌরভ, দ্রাবিড়দের সাথে ছবি তুলতে ছুটে গিয়েছিল কোচ ডেভ হোয়াটমোর তাকে নিবৃত্ত করেছিলেন।
পাশে চায়ের কাপটা নিয়ে বসে আছি বেশ কিছুক্ষণ। নানা ভাবনা চিন্তার মাঝে গরম ধোঁয়া ওঠা চা কখন যেন ঠান্ডা হয়ে গেছে। ইদানিং চা এর নেশাটা খুব পেয়ে বসেছে, অফিসে, ক্যাম্পাসে বাসায় একা ঘরে সব সময় চায়ের কাপটাকেই সবচেয়ে বেশি আপন মনে হয়। একবার কোলকাতার একটা বই এর দোকানে লেখা দেখেছিলাম, “Royalty, liberty, sensuality… you will find tea in all good things of life!” কথাটা বেশ মনে ধরেছিল। বেশ ছোট ছিলাম তখন, কিন্তু ও
আমরা জাতি হিসেবে বড় দুর্ভাগা। স্বাধীনতার মাত্র ৩০ বছরের মাথায় স্বাধীনতাবিরোধীরাই রাষ্ট্রের ক্ষমতায় আসীন হয়েছে। এবং আজও তারা এদেশে বিশাল রাজনৈতিক শক্তি।
স্বাধীনতার পর এই শক্তির উত্থান সবাই প্রথম অনুভব করে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময়, যখন স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে জামায়াতও যোগ দেয় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও অন্যান্য দলের সাথে।
সভ্য সমাজে বসবাসের কিছু বাই ডিফল্ট হ্যাপা আছে- সার্টের হাতায় সর্দি মোছা যাবেনা, জায়গামত চুলকানো যাবে নাহ, ফেসবুকে মানুষের আহ্লাদিতে বিরক্ত হয়ে গালি গালাজ করা যাবেনা।
আজ সারাদিন ও বাড়িতে কাজ করতে করতে হাতে প্রায় ব্যথা হয়ে গেছে। এখন এই শেষবেলায় বাটিতে একটু সর্ষের তেল নিয়ে মালিশ করতে বসে চিনু। ফাঁকা বাড়ি, বিকেলটা কেমন যেন অলস লাগে। এই মুহূর্তে হাতে কাজ নেই তেমন, রান্না-বাড়া শেষ। একটু পরে যতীন ফিরবে, তারপর ছেলেটাও-তখন হয়ত আবার খাওয়া দাওয়া মাজা ঘষা, দু’একটা আলাপ আর তারপর ঘুম।আপাতত ছোট্ট উঠানটায় বসে এক হাতে বাটির তেল মেখে আরেক হাতে ঘষে ঘষে লাগাতে থাকে চিনু। পাশের বা
মূল - জর্জ ওরওয়েল
অনুবাদ - পদব্রজী
ফ্ল্যাশব্যাকঃ কেষ্টা ব্যাটা
================
৬ মার্চ ১৯৯৯ঃ উদীচীর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণ, যশোর (নিহত ১০, আহত ১০৫)
- ও ভাই, এইটা কে করছে?
- কে আবার আম্লীগ। দেশটারে শেষ করে দিল!
-------------
১৪ এপ্রিল ২০০১ঃ পহেলা বৈশাখ উদযাপন অনুষ্ঠানে বোমা বিস্ফোরণ, ঢাকা (নিহত ১১, আহত ১২০)
অসময়ের ঘুম, ভাংতেই সব কেমন লাগতে শুরু করল। পাশের স্টুডিওটাতে একটা ইন্ডিয়ান ছেলে থাকে। বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে হাটতে চলতে। ছেলেটা নতুন বিয়ে করেই চলে এসেছে পিএইচডির জন্য। ভাবেসাবে মনে হয় বেশ ধার্মিক গোছের। ঘুম ভেঙ্গেছিল পাশের রুমের পুজার মন্ত্র শুনে, কেমন যেন গা ছমছম করছিল। বিছানা নাই, নিজের ম্যাট্রেসটার উপর গুম হয়ে বসে ছিলাম বেশ কিছুক্ষন! শীতের বিকেলে গরম কফির কাপ হাতে নিয়ে বসে থাকতে খুব ইচ্ছা করছিল। সন্ধ্যা হতে খুব দেরী নেই। ঘরে খাবারও তেমন কিছু নেই। নাহ, বের না হলে হচ্ছে না!