বিদেশে এসেও পাকিদের একেকটা কান্ড কারখানা শুনি, দেখি আর মনটা বিমলানন্দে ভরা যায়। বিজয়ের মাস শেষ হবার আগেই এক জোড়া + একটি পাকি-রস। এগুলোর কোনটাই কল্প-গল্প বা সৃজনশীল লেখা না, সবগুলোই ’জীবন থেকে নেয়া’।
১। উপমহাদেশের সবচেয়ে সভ্য জাতি
[justify]
সারচু টু লেহ'র পর থেকে.....
[The Magic of Reality by Richard Dawkins এর তৃতীয় অধ্যায় Why are there are so many animals? এর প্রথম অংশের অনুবাদ]
শাহবাগের পাবলিক লাইব্রেরীর মুল ফটকের ব্যানার হেডিং এ বড় করে লেখা আছে- ''পড়িলে বই আলোকিত হই, না পড়িলে বই অন্ধকারে রই৷''
কথাটা কি আদৌ সত্য? আমারতো মনে হয় বাজারে প্রচলিত বেশীর ভাগ বই আমাদেরকে বিপথগামী করে- অন্ধকারে ঠেলে দেয় । মলাটবদ্ধ পাতার পর পাতা । তাতে যা কিছু লেখা তাই আলোকের বার্তা নয় । এমনকি তা হতে পারে অন্ধকারের গোডাউন।
চিন্তা গুলো মাথার ভিতর ঘুরপাক খাচ্ছিল, তাই ভাবলাম লিখেই ফেলি। কথাগুলো নতুন না, শুধু উপলব্ধিটা নতুন হতে পারে। ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি চাচারা লন্ডনে থেকে গেছেন, আমার বাবা থাকতে না পেরে ফিরে এসেছিলেন নিজের দেশে। সেই থেকে আমার বাবাকে কেউ কেউ "বঙ্গবন্ধু" ডাকা শুরু করেছিল!
[b]স্বপ্নের জোনাকিপোকা[/b]
১০ ডিসেম্বর
আমার মনে হচ্ছে আমি একটু একটু করে বড় হয়ে যাচ্ছি। আমার আম্মুর ভাষায় আমার জ্ঞান-বুদ্ধি হচ্ছে। কিন্তু এই বড় হয়ে যাওয়াটা কেন যেন আমার ভালো লাগছে না। আমার ইদানিং খুব ইচ্ছে করে আম্মুকে একটা কথা জিজ্ঞেস করতে কিন্তু পারছি না। সেদিন অনেক বুদ্ধি করে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে আম্মুর পাশে শুয়ে শুয়ে বলেছিলাম -
শীতকাল আসি আসি করছে। দুপুরের দিকে এটা বেশ টের পাওয়া যায়। ছোট ছেলেটাকে খাইয়ে বিছানায় দিয়ে এসে পারুল রান্না ঘরের সাফসুতরো করতে করতে শাড়ির আঁচলটা একটু ভালো মতো জড়িয়ে নেয় পিঠের কাছটায়। ঠাণ্ডা বাতাসটা সবার আগে সে তার পিঠেই টের পায়। এই বাসাটার সমস্যা হলো কলঘরটা মূল বাড়ির বাইরে। এই একগাদা বাসন, হাড়ি পাতিল এখন সেখানে গিয়ে ধুতে হবে। এখন কি আর ইচ্ছে করে এগুলি ধুতে!
লেখার জন্য কেউ অপেক্ষা করছে ভাবতে ভালোলাগে, সেই একজনটা না’হয় হোক আমার অবচেতন মন কিংবা দু’একজন সত্য বন্ধু।
রবিবার গুলো কেটে যায় আলসেমি না করে, রাজকন্যা কঙ্কাবতীর মতো কফিতে আয়েশি চুমুক দেয়া হয় না আজ ক’মাস। তবে মাথার ভেতর লেখা চলে, অবিরাম নতুন ভাবনা উঁকি দেয়।
[justify]ইউরোপের অনেক প্রাচীন নগরকে যেমন আষ্টে-পৃষ্টে বেঁধে রাখে এক টুকরো নীল সুতোর মতো নদী, ঠিক তেমনি পোল্যান্ডের ক্র্যাকও শহরটিকেও তেমনিভাবে বেঁধে রেখেছে প্রশান্ত ভিস্তুলা নদী। আর এই শান্ত নদীর নীল জলের মতোই সারা শহরময় আজ দাপিয়ে বেড়ায় সেই সোভিয়েত আমলের নীলরঙা ট্রামগুলো, যার কোন একটিতে টুক করে চেপে বসে শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে মাইল দুয়েক
প্রায় পাঁচ বছর পর ডিসেম্বর মাসটা ঢাকা শহরে কাটাচ্ছি। ৩০ বছরের জীবনের ২৫টা বছরই কেটেছে ঢাকায়। গত পাঁচ বছরের প্রবাস জীবনে এক-দু’বার যা দেশে আসা হয়েছে তা হয় বছরের মাঝামাঝি, অথবা যীশুখ্রীষ্টের জন্মদিনের পরে। বিজয় দিবসে নগরীর সাজ সাজ রবের ব্যাপারটাই প্রায় ভুলতে বসেছিলাম। এবার তাই সদ্য কেনা স্মার্টফোন হাতে বেশ তৈরি হয়েই বেড়িয়েছি প্রতিদিন, স্মৃতির খাতা ঝালাই করব বলে। কত কিছু যে পাল্টেছে, কত কিছু আবার ঠিক