আজি হতে কত বর্ষ আগে?
সার্ধশতবর্ষ তো অবশ্যই।
১৮৯৮ সালে বঙ্গীয় প্রাদেশিক সম্মেলনে যোগ দিতে এসেছিলেন তিনি। অবিভক্ত ভারতবর্ষের প্রেক্ষাপটে রচিত 'ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলন' নাট্যের একটি অঙ্কের পার্শ্বচরিত্র হিসেবে এসেছিলেন প্রথমবার।
দ্বিতীয়বার ১৯২৬ সালে।
নোবেল শান্তি পুরস্কারঃ প্রেক্ষিত এবং বিতর্ক (পর্ব ১)
প্রথম পর্বে আমরা দেখেছি নোবেল শান্তি পুরস্কারের প্রেক্ষাপট, আলফ্রেড নোবেল প্রদত্ত শর্তাবলী, এবং এর ব্যাখ্যা। নোবেল শান্তি পুরস্কার কমিটির গঠন, এবং এই পুরস্কারের রাজনীতিকিকরণ এবং বানিজ্যিকিকরণ নিয়ে Heffermehl-এর আলোচনার সারাংশ হবে এই পর্বের বিষয়বস্তু।
আরব সাগরের উষ্ণ নীল্ জলে ঝড় ঝঞ্ঝার দেখা মিলে না খুব সহজে । এই সাগরে প্রাণঘাতী বা আগ্রাসী সামুদ্রিক প্রাণীরও দেখা মিলে না তেমন (কোনো হাঙ্গর বা অক্টোপাসের আক্রমনের খবর আসেনি কোনদিন)।দুই-এ মিলে শান্ত, উষ্ণ এই সমুদ্রে তাই নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তুলেছিল নানা জাতের মাছ, কচ্ছপ, আর কোরাল। পশ্চিমে সোমালিয়া থেকে শুরু করে ইয়েমেন, ওমান, ইরান হয়ে ভারত পর্যন্ত এই বিশাল আরব সাগরীয় অঞ্চলে গড়ে উঠেছিল এসব প্রাণীর এক নিরা
১৯৭৫ স্বপরিবারে বঙ্গবন্ধু হত্যা পরবর্তী সময়ে সামরিক জান্তা, জাতীয়তাবাদী শক্তি, আধা সেকুলার আওয়ামিলীগ, মিলিত জামাতি-জাতীয়তাবাদী শক্তি এবং হালের সাচ্চা মুসলামানের দল আওয়ামিলীগ ইত্যাদি বিভিন্ন গোষ্ঠির হাতে হাত বদল হওয়া ইতিহাসের শিক্ষার উপর অনেক গুলো লেন্স পড়ে গেছে । গত চার দশকে এদের কেউ আরোপ করেছে ধর্মানুভুতির লেন্স, কেউবা আবার জাতীয় ঐক্যের লেন্স । এতো গুলো লেন্সের ভেতরে দিয়ে আসা গোলাম আজম পরিচয়টি ঝাপসা হতে হতে দেশের অনেকের কাছে এবং সমগ্র বিশ্বের কাছে গোলাম আজম পরিচিত হয় জামাত-এ-ইসলামের নেতা গোলাম আজম হিসেবে । শুভ্র দাড়ি-গোঁফ আর অশতীপর বৃদ্ধ চেহারার আড়ালে ঢেকে যায় খুনী রাজাকার গোলাম আজম পরিচয়
‘নাদ’।
সংস্কৃত ‘নাদ’ শব্দ থেকেই এসেছে নদী শব্দটি ।
‘নাদ’ অর্থাৎ ‘শব্দ’। যে জলপ্রবাহ শব্দ করে, ওরা নাদবতী। নাদবতী মানেই নদী।
মহর্ষি যাস্ক নিজেকে প্রশ্ন করলেন, ‘নদ্য কম্মাৎ?’ অর্থাৎ কেন ওরা নদী?
তিনি নিজেই জবাব দিলেন ‘নদনা ইমা ভবন্তি শব্দবত্যঃ’। অর্থাৎ শব্দ করে বলেই।
বাকাট্টা বাকাট্টা হৈহৈ হৈহৈ। প্রবল চিৎকার চ্যাঁচামেচির মাঝে একটা সপ্নের পতন। সাকরাইন। পুরান ঢাকার পৌষ সঙ্ক্রান্তির উৎসব। ঘুড়ির উৎসব। যখন সাকরাইনের কথা মনে পরে যায় মনে হয় আগের জন্মের কোন মধুর সপ্ন দেখে এই মুহূর্তে জেগে উঠলাম। পৌষের শেষদিন জানুয়ারির মাঝামাঝি ১৪ বা ১৫ তারিখ। চারদিকে শুধু ঘুড়ি,ঘুড়ি আর ঘুড়ি। সাদা, হলুদ, লাল,নীল, বেগুনি গোলাপি সবুজ কোন রঙ নেই তাই খুজে দেখার মত।
ভুমিকাঃ
এক.
১৯৮৪ ইং সালে আমি ঝিনাইদহ ক্যাডেট কলেজে সুযোগ পেয়ে ভর্তি হই।
পাঞ্জাবির পকেটের কাছে এক কোণা ছিঁড়ে যাওয়াতে কুদ্দুস মিয়া খুব দুঃখ পায় মনে। তার দু’টো শার্ট, একটা পাঞ্জাবি। কোনও বিশেষ উপলক্ষ থাকলেই সে পাঞ্জাবিটা পরে। আজকের এটাও একটা উপলক্ষ। তার গন্তব্য শরীফউদ্দীন ইমামের বাড়ি – ৬৪, মদীনাবাগ। অনেক কষ্ট করে সে এই ঠিকানাটা জোগাড় করেছে। শরীফউদ্দীন ইমাম তাদের গ্রামেরই মানুষ, ডগরীবাজার জামে মসজিদে ইমামতি করেছিলেন বহুদিন, কুদ্দুস মিয়া তাকে ছেলেবেলা থেকে দেখে এসেছে। বউ মরে যাওয়াতে আর ছেলের চাকরি হওয়াতে গ্রাম ছেড়ে শরীফউদ্দিন ইমাম ঢাকায় চলে এসেছিলেন।