ভালোবেসেছি তোমায় বহুবার, দেখার আগেই,
মনে পড়েনি তবু একবারও, চিনিনি তো চাহনি তোমার,
কে বা খোঁজে নীলকণ্ঠ ফুল ঝাঁ ঝাঁ দুপুরের রোদে?
গমের সুগন্ধের মত অধরা প্রেম ছিলে তাই।
অথবা আবছায়া ছিলে যেন জুনের ভরা জোছনায়
সুদূর আঙ্গলে, ধরে ছিলে পানপাত্র ঠোঁটের কোনায়,
সেদিনটি ছিল বসন্তের শুরুর দিকের কোন একটি দিন। বাড়ি ফিরেছিলাম অন্য দিনের চেয়ে বেশ আগে। এখানে দীর্ঘ শীত কাটাতে হয় অন্তঃপুরে, তাই শীত চলে যাওয়ার ভাব হলেই বাইরে বেরিয়ে পড়বার ইচ্ছেটাকে আকাশে উড়িয়ে দেই। প্রতিদিন বাইরে ঘুরে ঘুরে শুকনো বাদামী পাতা আর ঘাসের আড়াল থেকে বেরিয়ে আসা নতুন সবুজ লতা পাতা, কাণ্ড এবং কুঁড়িদের দেখি আমি এসময়। চোখের সামনে শীতের ধুসর আর ছাই রঙা প্রকৃতি একটু একটু করে পেলব সবুজে ঢেকে যেতে দেখে আমার ক্লান্তি আসেনা কখনও। এই শীতের দেশে পত্রহীন চেরী, ফোরসাইথিয়া, ম্যাগনোলিয়া গাছের ডালপালা ফুলে ফুলে ছেয়ে যাওয়ার ঐশিক সৌন্দর্যের কথা বাদ-ই দিলাম, সারা শীত ছাই, সাদা আর বাদামী দেখবার পর, আগাছার কচি সবুজ পাতা দেখলেও মন ভরে যায়।
এই নিয়ে একে একে চারবার পত্রিকা অফিস থেকে গল্পের পান্ডুলিপি ফেরত আসলো। গল্পটি ছাপানোর জন্য "মনোনীত" হয়নি। তবে সম্পাদক মহোদয় আশা ব্যক্ত করেন, ভবিষ্যতে "মানসম্মত" ও "ভাল" লেখা দিলে, তা তিনি নিশ্চই ছাপানোর জন্য বিবেচনা করবেন। যাই হোক, আবারও হতাশার তীরে বিদ্ধ হল আমার হৃদয়ের তরুন লেখক সত্ত্বা। আমার ধারনা, সম্পাদক মহোদয় কোনবারই পান্ডুলিপিখানা খুলে দেখার প্রযোজন বোধ করেননি। খুব সম্ভবত গল্পটিতে আহামরি কোন
ছোট বেলায় আব্বু আর আমি মিলে বাসার ছাদে ছোট্ট একটা সবজি বাগান করেছিলাম। তারপর আব্বু প্রবাসী হয়ে গেল তাই আমারও আর বাগান করা হল না। অনেক বছর পর আবার বাবা মেয়ে মিলে সুদূর প্রবাসে ছোট একটা সবজি বাগান করলাম।
১
রাহিল,এখনও ফোনে কথা বলছিস? কখন বলে গেলাম গোসল করে আয়,ভাত খাবো একসাথে!
দাঁড়াও আপু, এক মিনিট।ফোনের স্পিকারে হাত রেখে বলল রাহিল।
সেই একঘন্টা ধরেই ত এক মিনিট একমিনিট শুনে আসছি। তা তোদের এক মিনিট হতে কয়ঘন্টা লাগে?জার্নি করে এসেছে,গোসল করবে ,খাবে ,আমার সাথে গল্প করবে, আম্মু কী দিলো দেখাবে......
আমি এক রকম বিপাকে পরেই শেষ পর্যন্ত এখানে লিখতে আসলাম। জানি না আর কয়টা দিন টিকে থাকতে পারবো, মাথার উপরে যেভাবে করে একটু একটু করে আকাশ ভেঙ্গে পরার অবস্থা হচ্ছে বুঝতে পারছি আর বেশি দিন আয়ু নেই।
আমার দাদা ৯০ বছর বয়সে আবার বিয়ে করার পাঁয়তারা করছেন।
মানবতার হ্যাশট্যাগের জোরে মানবতা ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে । আমরা সবাই আজ মানবতার অপরুপ নিদর্শন দেখাচ্ছি । 'যদি, কিন্তু, তবে' মুক্ত আনকন্ডিশনাল মানবতা । মানবতার এই বিশাল পর্বতের দিকে আমি অবাক হয়ে চেয়ে রই আর মাথায় কেবল একটা প্রশ্নই ঘুরপাক খায় । হামাসের রকেট, চোরাগোপ্তা হামলার টানেল কিংবা আত্মঘাতী বোমা হামলা তো পারলো না মানবতার হ্যাশট্যাগের শেষে 'যদি, কিন্তু, তবে' যোগ করে দিতে । ৩০ লক্ষ বাঙালী, নিহত ব্লগার রাজীব কিংবা ধর্ষিত সংখ্যালঘু কেন বারে বারে 'যদি, কিন্তু, তবে'র জালে পড়ে যায় ?
আমার কি তাতে? তাতে আমার কি আসে যায়? এ দুইটা লাইন মনে রাখেন। লেখাটা পড়তে সুবিধা হবে।
-আপনি লিখলে, আমার কি তাতে? এরকম করে প্রতিবার আমার এই লেখার প্রায় প্রতিটি লাইনকে উড়িয়ে দেয়া সম্ভব।
ছোটকালে নিরপেক্ষতার ভূত আমার ও ছিলো। তারপর দেখলাম ছাত্রলীগ খুন করে দেখে ওরা শিবিরের রাজাকার রক্ষার হিংস্র তান্ডবকে নিরপেক্ষতার মুখোশ পরায়; শাহবাগ ৩০ লক্ষ হত্যার বিচার চায় দেখে ওরা হেফাজতের মত সুবিধাবাদী ধর্মান্ধদের জন্য চোখের জল ফেলে; আমি ২ লক্ষ মা বোনের সম্ভ্রমের বিচার এক্ষুনি চাই দেখে, স্বচ্ছ নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক গ্রহনযোগ্য সংস্থার দাবি তুলে।
১
হাটখোলা বাজার থেকে উত্তর দিকের মাটির সড়ক ধরে আধা ক্রোশ দূরে মন্ডল বাড়ি। সড়ক এখানে অনেকটা ইংরেজী বর্ণ 'এস' এর মতন এঁকে বেঁকে ছিলিমপুরের দিকে চলে গেছে। সড়কের বাঁকে বাঁশ ঝাড়। তার পাশেই বিশাল এক কড়ই গাছ। কড়ই গাছের পাতায় বাতাসের বাড়ি লেগে যখন ছর ছর শব্দ উঠে তখন মনে হয় এক জায়গায় দাঁড়িয়ে উদ্দাম নৃত্য করছে অজানা কোন দানব। দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে জোড়ে বাতাস বইছে। মেঘে ঢাকা অন্ধকার আকাশে এক ফোঁটা চাঁদও নেই। কড়ই গাছের মাথা থেকে কিছু একটা ঝুলে ছিল। দূরে মন্ডল বাড়ির লাইটের আলোয় আবছা দেখা গেল এক জোড়া অস্বাভাবিক লম্বা পা ফেলে বসে আছে কেউ।