অতিথি লেখক এর ব্লগ

কোম

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১৯/০৬/২০১৪ - ৬:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মাঘ মাসের মাঝামাঝি। বেজায় শীত পড়েছে। জয়নাল ঘড়ির দিকে তাকাল। সকাল ১০ টা বাজে, কিন্তু মনে হচ্ছে শেষ রাত এখনও পোহায়নি। ঘড়িটা জয়নালের শ্বশুর বিয়েতে উপহার হিসেবে দিয়েছিল। ক্যাসিও ডিজিটাল ঘড়ি। জয়নালের লেখা পড়া ক্লাস সিক্স পর্যন্ত। ঘড়িতে সময় দেখতে তাঁর অসুবিধা হয় না। শ্বশুরের দেয়া ঘড়ি আর ৬ আনার একটা সোনার আংটি জয়নালের সর্ব সময়ের সঙ্গী। পানিতে ভিজলেও কিছু হয়না বলে ঘড়ি আর আংটি পড়েই খাওয়া গোসল সারে সে। হাসিনার সাথে বিয়ের পর তাঁর ভাগ্য খুলে গেছে। তাত বুনে দিন চালায় জয়নাল। হাসিনার সাথে বিয়ের পর পর তাঁর বিক্রি বেড়ে গেছে। মহাজনরা দামও দিচ্ছে ভাল। ঘড়ি আর আংটি সে ভাগ্যের প্রতীক হিসাবে পড়ে।


ছুটি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১৪/০৬/২০১৪ - ৬:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

স্বাদহীন, অসহ্য, একঘেয়ে দিন শেষে
আমার আকাশে, ছুটি আসে।

সকালে সাদা-বেগুনি ফুল ফুটে
কচুরিপানার সবুজ বুকের কাছে।

আকাশের ওপারে, একটা আকাশ
শান্ত জলের স্নিগ্ধতায় ছবি আঁকে।

কাশফুলের নরম সাদা ঢেউয়ে
মেঘে মেঘে, মেঘ বালিকা হাসে।

বহুদূর অরণ্যের ঠিকানায় যেতে
প্ল্যাটফর্মে অপেক্ষায় থাকে ট্রেন।

এই ছুটিতে, কোথাও না যাওয়ার সুখ
লেগে থাকে দিগন্তের হালকা নীলে।


স্বাধীনতার ঘোষণা ও একজন এম.এ. হান্নান

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৩/০৬/২০১৪ - ৯:৫১অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২৫ মার্চ ১৯৭১, হঠাৎই বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনা বন্ধ করে সন্ধ্যায় পাকিস্তানের কসাই প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ঢাকা ত্যাগ করে পশ্চিম-পাকিস্তান চলে যায়।

এই পাকি কসাইয়ের আদেশে ওই রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী পূর্ব-পাকিস্তানে শুরু করে 'অপারেশান সার্চলাইট' আর এর সাথেই শুরু হয় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ-উত্তর সর্ববৃহৎ গণহত্যা ও জাতিগত ধোলাই।


এক একদিন প্রতিদিন-৪

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৩/০৬/২০১৪ - ৯:৫০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

আজ গাড়িটা অনেক দূরে পার্ক করেছি, ইচ্ছে করেই। সাইড ওয়াকের পাশে প্রবল সবুজ ঘাসের মধ্যে মধ্যে বিচিত্র রঙের সব ঘাস-ফুল ফুটে থাকে এসময়, হেঁটে যাবার সময় ওদের দেখবো বলে। এখানে দেশী সব ঘাস ফুল গুলো নেই। থাকলেও অবশ্য ওদের নাম বলতে পারতাম না। তবে এখানে যে সব বিদেশী ফুলগুলো ফুটেছে, নিজেকে অবাক করে দিয়েই তাদের অনেকের নাম জানি। খুব বেশী দেখা যায় উজ্জ্বল হলুদ রঙা ড্যান্ডিলায়ন, সাথে আছে ম্লান সাদা আর হালকা গোলাপী রঙের ক্লোভার, আরো দেখা যায় ম্যাজেন্টা এবং গোলাপী রঙা ভেচ। এদের দেখে দেখেই হাঁটছিলাম আস্তে ধীরে। আজ কাজে অতো তাড়া নেই। হঠাত-ই একটা খুব পরিচিত ছোট্ট নীলচে বেগুনী রঙা ফুল নজরে এলো, আমি কাছে গিয়ে ভালো করে দেখবার চেষ্টা করবো কিনা, ভাবছি। কিন্তু পাশে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিলেন পরিচিত সহকর্মী দের একজন, সে আবার কি না কি ভাববে! সেকারণে ঠিক হোয়ে উঠল না। ওকে এড়াতেই দ্রুত পথটা পেরিয়ে হাসপাতালে ঢুঁকে পড়লাম। ভেবেছিলাম যাবার পথে আবার খুঁজে দেখব। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকার পর হঠাত করেই সব কেমন জানি ব্যস্ত হোয়ে গেল। ফিরবার পথে ফুলটি খুঁজবার কথা মনে থাকলেও ঠিক কোন জায়গায় দেখেছিলাম মনে করতে পারিনি, হাতে সময়ও ছিলনা। আমি নিজেকেই নিজে তাড়া দিচ্ছিলাম, তোমার কথা খুব মনে পড়ছিল।


বিদেশী পতাকা, আমাদের জাতীয় পতাকা নীতিমালা এবং সচেতনতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১৩/০৬/২০১৪ - ১:০৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশের মাটিতে বিদেশী পতাকা ওড়ানোর বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একটা নীতিমালা আছে। বাংলাদেশে আরো দশটা আইনের মত এই নীতিমালাকে-ও আগে তেমন একটা গুরুত্ব দেয়া হয় নি। এই নীতিমালা না মানার অর্থ এই নয় যে তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। আগে কখনো অনুসরণ করা হয়নি বলে ভবিষ্যতেও করা হবে না, এটা ভেবে নেওয়ার কোন অর্থ নেই। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে সাধারণ মানুষ এখন এই সব নীতি নিয়ে সোচ্চার হচ্ছে। গণদাবীর মুখে প্রশাসনকে সে


শিক্ষা মেধাবিকাশের হাতিয়ার, নাকি বৈষম্য সৃষ্টির কারখানা?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৬/২০১৪ - ৩:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড”---এরকম ভাবসম্প্রসারণই মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ানো হয় আমাদের স্কুল-কলেজগুলোতে। আমি নিজেও পড়েছি, শিখেছি এবং পরীক্ষার খাতায় লিখে ভালো নাম্বারও পেয়েছি। আফসোসের বিষয় হলো আমাদের যাবতীয় পড়াশোনা শুধু পরীক্ষা পাশের জন্যই করা হয়। আমরা যা পড়ি তা কখনই অন্তরে ধারণ বা বিশ্বাস করি না। তাইতো আজও আমরা শিক্ষাকে জাতির মেরুদন্ডতো বানাতেই পারিনি বরং একে মেরুদন্ড ভাঙার হাতিয়ার হিসেবে তৈরি করেছি।


বাঙালীর শেকড়(ধর্ম-১)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বিষ্যুদ, ১২/০৬/২০১৪ - ৩:২৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাঙালীদের নিয়ে গবেষনা খুব একটা হয়নি।আমাদের ইতিহাস লিখেছে বিদেশীরা। আর ঘরের খবর পরের কাছ থেকে জানলে যা হয় আমাদেরও তাই হয়েছে।নিজেদের শেকড়ের সন্ধান না পেয়ে লতাগুল্ম যেভাবে অন্য গাছের উপর ভর করে বেড়ে উঠে আমরাও তেমন অন্যের গর্বে নিজেদের গর্বিত করার চেষ্টা করছি। এই সিরিজে আমি বাঙালীর রাজনৈতিক,সামাজিক,সাংস্কৃতিক,নৃতাত্ত্বিক এবং ধর্মীয় ইতিহাস নিয়ে কিছুটা আলোচনা করার চেষ্টা করব।শুরুটা ধর্ম দিয়েই করাটা উপযু


এক একদিন প্রতিদিন-৩

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১১/০৬/২০১৪ - ৪:১৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।

''মন হারিয়ে গেছে' কথাটি গেল বছর দেশে গিয়ে শুনেছিলাম। খুব পুরাতন এবং বহুল ব্যবহৃত একটি কথাই অন্য রকম করে বলা। বড়দির বাসার গৃহকর্মী মেয়েটি গারো পাহাড় থেকে আসা। এদের হতদরিদ্র পরিবারটিতে তিন বা চারটি বোন, বাবা নেই। মা একাই মেয়েদের দেখাশোনা করেছেন এতদিন। মেয়েরা বড় হোয়ে উঠায় আর পেরে উঠছেন না বলেই বড়দির কাছে দিয়েছেন ওকে। প্রথম দিকে বেশ মন খারাপ করে থাকত শুনেছি, তবে এখন বেশ মানিয়ে নিয়েছে বলেই মনে হোল। টিভির নেশাটা ধরেছে ওকে ভীষণ রকম করে, সেটাও মানিয়ে নিতে সাহায্য করেছে বলে মনে হয়। মেয়েটি এমনিতে বেশ চুপচাপ, ওর ভাষা বাংলা নয়। ওকে নিয়মিত বাংলা শেখায় আমার বড় ভাগ্নি। ওর উচ্চারণে সমস্যা তেমন নেই, কিন্তু বাক্য গঠন এবং শব্দ চয়ন বেশ অদ্ভুত। আমার সামান্য সময়ে 'সব করবার প্রজেক্ট' ওর সাথে খুব একটা গল্প-কথা হয়নি। শুধু এই কথাটা খুব মনে গেঁথে আছে, কিছু ভুলে গেলে 'আমি ভুলে গেছি' না বলে ও বলে, 'আমার মন হারিয়ে গেছে'। কথাটাইয় কেমন একটা আদুরে ভাব আছে, মিষ্টি লেগেছিল শুনতে আমার।


মায়দানেক কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প, পোল্যান্ড

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০৬/২০১৪ - ৪:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

উইলো আর বার্চ বনকে পাশে রেখে, পোলিশ ছোট ছোট খামার বাড়ি গুলোকে পেছনে ফেলে আমাদের ট্রেন ছুটে চলেছে লুব্লিনের পানে। "লুব্লিন", পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশর দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এক-রত্তি বিন্দুর মত এক শহর। ইউরোপে এসেছি দু' সপ্তাহের জন্যে, মূলত দ্বিতীয় বিশ্ব-যুদ্ধ আর সেই সময়ে নাৎসিদের তৈরি কনসেন্ট্রেশন ক্যাম্প গুলোর প্রতি আমার আগ্রহ আমাকে টেন


পাবলো নেরুদার প্রেমের সনেট -- ৪৩

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ১০/০৬/২০১৪ - ৪:১৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


তোমারই ইঙ্গিত খুঁজি আমি নারীদের ভীড়ে,
আন্দোলিত রমণীর দুরন্ত প্রবাহ, চুলের খোঁপায়,
আধবোঁজা পলক, ফেনীল ঢেউয়ে ভেসে যাওয়া
হালকা পায়ের ভেতর।

হঠাৎ যেন খুঁজে পাই তোমার আয়তাকার নখ,
টুকটুকে চেরির মত, গতিময়
তোমারই মত এলোমেলো মোহনীয় চুল
সমুদ্রের জলে জ্বলতে থাকা তোমার গনগনে অবয়ব