অতিথি লেখক এর ব্লগ

বিচ্ছু ভাগনের কাণ্ড

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৩/০৪/২০১৪ - ১০:৩৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমার ভাগনের মতো এমন বিচ্ছু ছেলে আর আছে কিনা সন্দেহ। তের মাস বয়সে ও যখন মাত্র অল্প অল্প হাঁটতে শিখলো তখনি ও ঘরের সবকিছু ফেলতে শুরু করলো। আর যখন ও দৌড়াতে শিখলো তখন ঘরের সব বয়সের লোকজনও ওর পিছু পিছু দৌড়াতে শুরু করলো। ঘরের কারো কোন নিস্তার নেই। চায়ের কাপ, গ্লাস, বাবার চশমা এমন কোন জিনিস নেই যে ও ভাংগে নি। কেউ আদর করে কোলে নিলে হয় নাকে বা গালে রাম খামচি দেবে বা যদি দাঁড়ি গোফ থাকে তো তা ধরেই জোরে টান দ


কিছু স্মৃতি-বিভোরতা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৩/০৪/২০১৪ - ১০:২৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শরতের ভোরে আমি চুপি চুপি পায়ে হেঁটে গিয়ে দাঁড়াতাম সবুজ ঘাসের মাঠে। স্যান্ডেল খুলে নগ্নপায়ে হাঁটতাম শ্যামল কোমল শীতল ঘাসের উপর। প্রকাণ্ড সোনার থালার মতন চাঁদ উদিত হতো পূর্ব দিগন্তে। ঝোপের ভেতর ছোট ছোট বেলীফুলগুলিতে, ঘাসে ও গাছের পাতায় বিন্দু বিন্দু শিশির লেগে থাকতো অশ্রুবিন্দুর মতন। নবারুণের সোনালি আভায় শিশিরবিন্দুগুলি হীরের কুচি হয়ে উঠতো। মনে হতো, বুনোফুল ঘাস আর পাতাগুলি সেজেছে হীরের আভরণে। ঘাস পা


পুলিশ জীবন কেমন?

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৩/০৪/২০১৪ - ১২:৩৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[i](ইমেজ ক্রাইসিসে ভোগা পুলিশ বাহিনীর নানারকম খারাপ খবরই আমাদের চোখে পড়ে, খবরের পাতা খুললেই নীল ইউনিফর্ম পরা লোকগুলোর কোন না কোন অপকর্ম দেখতে পাই। কোন বিক্ষোভ সামলাতে গিয়ে হতাহতের খবর লেখা হয় এভাবেঃ "২ জন পুলিশ এবং ৪ জন মানুষ হতাহত"। এর মানে দাঁড়ায় পুলিশ আর মানুষ যেন দুটো আলাদা প্রানী!


মজিদ এবং তার বিশ্বাস (শেষ অংশ)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ১৩/০৪/২০১৪ - ১২:৩৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেলোয়ার ভাইয়ের ক্রিকেট তত্ত্ব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শনি, ১২/০৪/২০১৪ - ১২:৪৬অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাংলাদেশের শেষ ওভারে হয়তোবা একশ এর উপরে রান দরকার, আমি বলছি হতে পারে। বোলারের এমন কুফা লাগল যে, নো বল থেকে বেরোতেই পারছে না। শেষ বল, অথবা খেলার পরেও বলি এই দিনেরে নিব আমি সেই দিনেরও কাছে। এগার জন খেলোয়াড়দের হয়ে ফাইট করতে হয় বাকী সাপোর্টারসদের সাথে প্রতিনিয়ত। এই কারণে নিজেকে একজন খাঁটি বাংলাদেশী সাপোর্টার হিসেবে ভাবার মত ভ্রান্ত ধারনা ছিল।


তুরুত

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১১/০৪/২০১৪ - ৯:০৮অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

"ও ভাই, দেখসেন নি? মালটা কি জোস না? গাড়িটা থামান না এরে একটু লিফট দেই।"
তুহিন ভাইয়ের বিদেশী রমণী দেখলে এরকম কথা মুখ দিয়ে বের না হলে হয়না, এটা এতদিনে সবাই জানে। সকলে তাকাল সেই রমণীর দিকে, সন্ধ্যায় জগিং এর জন্য বের হয়েছে, এতক্ষণ দৌড়ে ক্লান্ত হয়ে বাসার দিকে হেঁটে যাচ্ছে। তুহিন ভাই রসিক মানুষ।
"অই দ্যাখেন তো প্যান্ট পড়ছে নি?"

- ও ভাই কি কন? সামনে নাকি আপনার বিয়া?


বেচুবাবুর রোজনামচা্-- বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব ধাপে গেলে বৈশ্বিক হওয়া যায়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: শুক্র, ১১/০৪/২০১৪ - ৯:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বি.দ্রঃ এই পোস্ট শুধুমাত্র মারাত্মকভাবে কনফিউজডদের জন্য প্রযোজ্য।
==========

পেপারে প্রায় একটা বিজ্ঞাপণ দেখি।
" অস্ট্রেলিয়া যেতে চান? এক পা এখানে রাখুন, পরের পা মেলবোর্নে "
হাসি... কিন্তু আবার এইটাও ভাবি, নিশ্চয় বাজারে অমন ডিমান্ড আছে বলেই এই ধরণের বিজ্ঞাপণ প্রকাশিত হয়।


গুচ্ছ কবিতার ঈশ্বর

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৯/০৪/২০১৪ - ৯:০৫অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মুছে ফেলা
----------
সমস্ত রাত জুতোর ফিতেয় বাঁধা নির্জন
বারান্দাটা আজীবন কুড়োয় অন্ধের পান্থপথ,

আমার হাড়ের ছাড়পত্র জানে
যে চোখে পাথর চোখ নামিয়ে হয় নারী,
নিরবতার দুরত্ব কমিয়ে তুমিই আমার
মুছে ফেলা কল্পনার বংশধর
বানকুড়ালি পুতুল।

স্বপ্নের শেষটুকু নিভে গেলে পরিত্রাণহীন
একটি শরীর ঠিক পাহাড়ের মাঝখানে
নেমে নেমে এখন হাওয়ার পুকুর।

মহাপুরুষ
-----------


মজিদ এবং তার বিশ্বাস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৯/০৪/২০১৪ - ৯:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]মজিদ ঠিক বুঝে উঠতে পারেনা উহু্‌ শব্দটা সে কি দুঃস্বপ্নের ঘোরে নিজে করেছে? স্বপ্নের অংশ ছিলো? নাকি তার পাশে শুয়ে থাকা বউটি করলো। কিন্তু হঠাৎ এই ঘুম ভেঙে যাওয়ায় সে মনে মনে খুব বিরক্ত হয়। পৌষের হাড়কাপানো ঠাণ্ডায় আধো ছেঁড়া কাঁথার ভেতর থেকে মাথা বের করে শব্দের উৎস খোঁজারও প্রয়োজন বোধ করলোনা সে। পেপার মোড়ানোর পরও বেড়ার ফাঁক চিরে ঠিকই বাতাস ঢুকছে মজিদের বস্তির ঘরটিতে। এ যেন এক হিমঘর!


তানপুরা

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০৯/০৪/২০১৪ - ১:৫৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১।
মনসুর সাহেবের সাথে আমার পরিচয় পর্বটা ছিল বেশ অদ্ভুত।সে প্রায় বছর পনের আগের কথা।মাস্টার্স শেষ করে বেসরকারি একটা কোম্পানিতে ঢুকেছি।মোটা অংকের বেতন পাচ্ছি।মেস ছেড়ে কলাবাগানে ছিমছাম একটা দুইরুমের ফ্ল্যাট নিয়ে উঠে পড়লাম।শুধু সংসারটাই যা শুরু করা বাকি।