অতিথি লেখক এর ব্লগ

অতৃপ্ত জীবন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০২/০৪/২০১৪ - ১:২৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বাবুলের হাত এবং মাথা দুটোই সমগতিতে চলছে। বুঝতে পারছিনা এটা কি অভ্যাস বসত নিজের অজান্তেই হচ্ছে, নাকি এটাই স্বাভাবিক। হাত চলছে ডানে-বামে কিন্তু মাথা উপরে- নিচে। ব্যাডমিন্টন খেলায় যারা দর্শক সারিতে থাকেন তাঁরা নিজেরাও অনেক সময় বুঝতে পারেননা কর্কের মুভমেন্টের সাথে সাথে তাঁদের চোখ নয়, পুরো মাথাটাই ডানে বামে মুভ করে! এটাও সেরকম নাকি?


ফেসবুক এবং প্রোপাগান্ডা!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ০২/০৪/২০১৪ - ১২:১৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.
রিমন ঘুম জড়ানো চোখে মোবাইল ফোনে সময় টা দেখে নিলো। ৭ টা ১৫ বাজে, আরো মিনিট পনেরো গড়িয়ে নেয়া যাবে। এই সুযোগে সে ফোন থেকেই ফেসবুকে ঢুকল। হোম পেজে এক গাদা নতুন পোষ্ট। সবগুলোর মূল বক্তব্য একই, সরকার কেন কোটি কোটি টাকা সরাসরি গরীব মানুষেকে না খাইয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মত ফালতু কাজে ব্যয় করতে হবে? প্রায় প্রতিটি পোষ্টের সাথেই গরীব মানুষের কষ্ট করে জীবন যাপনের ছবি। রিমন ফেসবুক থেকে বেড়িয়ে এল। চোখ কচলে বাথরুমের দিকে গেল ফ্রেশ হবার জন্য।


দ্বিতীয় ইশ্বর!

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৪/২০১৪ - ৯:২৯অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ইদানীং ঢাকা শহরে চলাফেরা করা শুধু সময়সাপেক্ষ ব্যাপার নয়, একটা ধৈর্য্যেরও বিষয় বটে। সন্ধ্যা সাতটার দিকে প্রায় একই জায়গায় আধা ঘন্টা ধরে বাসটি নিশ্চল দাঁড়িয়ে আছে, জানালার পাশে বসে উদাস দৃষ্টিতে বাইরে তাকিয়ে থাকা দিপুকে দেখে অবশ্য মনে হচ্ছিলো না হাসপাতালে পৌঁছাতে তার কোনো তাড়া আছে অথবা ক্রমশ ভিতরে ভিতরে অসহিষ্ণু হয়ে উঠছে। দেশের একটি বড় নামকরা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কাজ করে সে। খুব বেশিদিন হয় নি নামের আগে ডাক্তার শব্দ বসিয়েছে। ইনফ্যাক্ট এক বছরের ইন্টার্ণশীপ শেষ করে এই রকম একটি বড় হাসপাতালে চাকরী পেয়ে যাবে, সেটা সহজে ভাবেওনি দিপু। এই অর্জনের পিছনে দিপুর জাঁদরেল বাবার, যিনি কিনা সরকারের একজন হাই অফিসিয়াল, ভুমিকা অবশ্য কম নয়!


বাংলাদেশ ক্রিকেটের স্থায়ী উন্নতির জন্য করণীয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ০১/০৪/২০১৪ - ৬:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

খেলোয়াড়দের জন্যঃ

১। সরকারি চাকুরীজীবিদের মতো দলের প্রত্যেক সদস্যের স্থান স্থায়ী করতে হবে। কোন অবস্থায় দল থেকে বাদ দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে পেনশানের ব্যবস্থাও করতে হবে।
২। সবসময় দেশের বাইরে খেলতে দিতে হবে। কোন অবস্থায় দেশে খেলা হতে পারবে না।


বানশি

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ৩০/০৩/২০১৪ - ৬:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

“ সামনে আর পাকা রাস্তা নেই। এখান থেকে পায়ে হেটে যেতে হবে। ” মেজর ফয়সল কবির বলল।
গাড়ি থেকে বের হলাম আমি। তার আগে অস্ত্রভর্তি ব্যাগটা পরীক্ষা করে নিলাম।
“ মেজর সুরঞ্জন। ” ফয়সলের কণ্ঠ শুনে তাকালাম ওর দিকে। একটা সিগারেট অফার করছে ও। “ এখনই টেনে নাও। রাতে আর ধরাতে পারবে না। বানশিগুলো দেখে ফেলবে। ”
পিছন থেকে গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল মেজর ইশতিয়াক,“কোন বানশি আসলে জাস্ট উড়াইয়া দিব। আমাকে চিনে না।”


মধ্যবিত্ত প্রথম পর্ব

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: রবি, ৩০/০৩/২০১৪ - ২:৪৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১.


কালোদিঘীর স্বপ্নবাজী ০৩ - যে শহরে আমি থাকি (০১)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ২৬/০৩/২০১৪ - ৯:৫৩অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আমি তেমন ঘুরাঘুরি টাইপ পাব্লিক না। তাই বলে ঘুরতে যে আমার ভাল লাগে না তা না। কিন্তু একবার বাসায় ঢুকলে আমাকে হাতি দিয়েও টেনে বের করা যায় না। সবাইকেই দেখি বেশ ঘোরাঘুরি করে, অনেক যায়গায় যায়। আমিও মনে মনে ভাবি, এই শেষ, আর বাসায় বসে থাকবোনা। কিন্তু এই শেষ আর শেষ হয় না। প্রতি সপ্তাহেই নতুন করে সংকল্প করি যে এরপর থেকে সপ্তাহে একদিন হলেও নতুন নতুন যায়গায় ঘুরতে যাবো। কিন্তু খোদা মনে হয় দুনিয়ায়


মোহমেঘে তোমারে দেখিতে দেয়না ( প্রথম পর্ব)

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: মঙ্গল, ২৫/০৩/২০১৪ - ২:১৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

বনগাঁ এখনও জেগে উঠেনি পুরোপুরি। ভোর বেলা মুষলধারে বৃষ্টি হয়েছে। সেই বৃষ্টিতে লতা পাতা, পাখির গা আর ঘরের চাল ধুয়ে চকচক করছে। রাতের বৃষ্টি দুঃস্বপ্ন, বিকেলের বৃষ্টি মন খারাপের বার্তা আর সকালে বৃষ্টি আনন্দ বয়ে আনে। বৃষ্টির পানিতে গোসল করে জবা, কুমড়ো ফুল আর ধানের সবুজ পাতায় সোনালী রোদের চিকচিকে হাসি খেলছে। মৃদু বাতাসে ঋষি মুণিদের মত ধানের ছটা গুলো এদিক ওদিক মাথা দোলাচ্ছে। ভারতের এই অংশটি বাংলাদেশের স


জার্মানিতে এক রাতে

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৪/০৩/২০১৪ - ৮:১৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এটা ঠিক ভ্রমন কাহিনী না। তবু অজানা এক দেশে অদ্ভুত এক নির্ঘুম রাতের ঘটনা বলতে ইচ্ছে করছে।


সামাজিক গল্প ১

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: সোম, ২৪/০৩/২০১৪ - ৫:০৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

আহসান সাহেব হুঁকার নলে চুম্বন করিয়া গম্ভীর কণ্ঠে কহিলেন, "আমার পুত্রটি সম্প্রতি ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা দিয়াছে। এই বয়সে ছেলেপিলে একটু আধটু দুষ্টামি করিয়াই থাকে। মেট্রিক পরীক্ষার পূর্বে তুমি অভিযোগ আনিলে শাস্তি বাবদ উহাকে বেতপিটা করিতে পারিতাম। কিন্তু এখন ত সে নওজোয়ান। তাহাকে বড় শাসন করিতে গেলে সে যদি অভিমানে ঘরছাড়া হয়?"