ক’দিন আগে একখানা বই পড়তে পড়তে চমকে গেলাম আমাদের মস্তিষ্কের এক অপারগতা সম্পর্কে প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখিত একটি গল্প দেখে। আপাতদৃষ্টিতে সহজ এক গাণিতিক ফাঙ্কশন অনুধাবন করতে গিয়ে আমাদের মনে যে কেমন ধন্ধ লেগে যেতে পারে, তা বলতে গিয়ে লেখক উদাহরণ টেনেছেন দাবা খেলার আবিস্কার-কাহিনীর।
ক্যাসান্ড্রা- গ্রীক মিথলজির এক বিয়োগান্তক চরিত্র। তিনি ছিলেন ট্রয়ের রাজা প্রায়াম এবং রানী হেকুবার কন্যা। ছিলেন অসম্ভব সুন্দরী আর বলতে পারতেন ভবিষ্যতের কথাও। কিন্তু দুর্ভাগ্যটা ছিলো- তার ভবিষ্যতবাণী কেউ বিশ্বাস করতেন না! কিভাবে তিনি ভবিষ্যৎ বলার ক্ষমতা পেয়েছিলেন আর কেনোইবা তার কথা কেউ বিশ্বাস করতেন না- সেটার পিছনের কারণ ছিলেন দেবতা এপোলো।
ক্যামেরা নিয়ে চলা আমার তা তো আর কম দিন হলো না। ছবি তোলা আমার নেশা। যদিও আমি মানুষ হিসেবে অনেক বেশী অলস। অলস মানুষদের ফটোগ্রাফী করা অনেক মুশকিলের ব্যাপার। আগে অনেক বেশী ছবি তুলতাম, এখন যেন যত দিন যাচ্ছে তত আমার ছবি তোলার পরিমান কমে যাচ্ছে, কিন্তু নেশা বেড়ে যাচ্ছে। সমস্যা হলো, আলসেমীর সাথে যুদ্ধ করে পেরে উঠছি না। যতবার ভাবি অনেক হয়েছে আলসেমী, আর না, এবার ক্যামেরা নিয়ে ঝাপায়ে পড়বো। কিন্তু কই আর
সচলায়তনের প্রেমে পড়ার ইতিহাস আমার আজকের নয়। বলতে গেলে অনেকদিন আগেই এই ব্লগের প্রেমে পড়েছি। তবে বুঝে উঠতে যেহেতু সে সময় পারিনি তাই আমার প্রেমপত্রগুলো সচলায়তনের আর্কাইভের কোন এক চিপায় এখনও হয়ত লুকিয়ে আছে। এবারের যাত্রায় সচলায়তনের দৃষ্টি আকর্ষণে সমর্থ হলাম। তবে আমি যতটুকু বুঝেছি সচলায়তনে লেখতে চান অনেকেই কিন্তু সহসাই বুঝে উঠতে পারেন না কিভাবে আপনার লেখাটি সচলায়তনে আসবে?
রকমারীর সোহাগ/লিটন ভাইয়া,
আপনাদের সাথে পরিচয় অনেকদিনের । আমার মত অনেকের কাছেই আপনাদের প্রাথমিক পরিচয় অবশ্যই রকমারীর কর্ণধার হিসেবে নয় । আমাদের একটা বড় অংশের পড়ালেখার প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টে দেবার পেছনে আছেন আপনারা । দেশের সেরা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েও আপনারাই এপর্যন্ত আমার দেখা সবসময়ের সেরা শিক্ষক । আপনারা প্রথম শিক্ষাগুরু যারা শিখিয়েছেন সবকিছুকে প্রশ্ন করতে । "মুখস্ত বিদ্যা প্রতিভাকে ধ্বংস করে" - এই বুলি এখন সবার মুখে, কিন্তু একমাত্র আপনাদেরই একে সত্যিকার অর্থে একটি সংস্কৃতি হিসেবে লালন করতে দেখেছি ।
রাত সাড়ে নয়টা বাজে। আমি খালিশপুরের কোন এক কানাগলিতে চায়ের দোকানের চিপায় লুকিয়ে আছি। এই জায়গাটা রাতের বেলা এমনিতেই খুব নির্জন এবং বিপজ্জনক। আমি লুকিয়ে আছি রাফসানের আব্বাকে ধরতে। মাসের ২০ তারিখ; বেতন পাইনি। খুব খারাপ অবস্থা। চায়ের দোকানী লিটন ভাই খুব কাছের মানুষ। কাছের মানুষ গুরুত্বপুর্ণ কথা সবার সামনে বলেন না। উনিও বাঁকির খাতায় অংক বেড়ে যাবার কথা সবার সামনে বলেন না। তবে যেহেতু সবার সামনে বলেন না তা
“দেবতার এই কথার পরে আমি আর কি চাইতে পারি? আর কিইবা দেবার জন্য তোমাকে প্রতিশ্রুতি দিতে পারি? তবুও এটি যেহেতু প্রবল ভালোবাসার নারীর ব্যাপার, একেবারে চুপ থাকার চেয়ে কিছু কথা বলাই যেতে পারে। আমি তোমাকে ভালোবাসি- শুধুমাত্র তোমার শরীরে পৃথিবীর সব মিষ্ট গন্ধের ঘ্রাণ পাই বলে নয়, যাতে মনে হয় রক্তবসনা ঘড়া থেকে গ্লাসে শরাব নিয়ে উদ্বেলভাবে পান করছি। কিংবা এই জন্য নয় যে, তোমাকে দেবতা প্রেমিক তন্দ্রাচ্ছন্নের মতো ঘিরে আছে, অথবা তোমার মোহনীয় কেশরাজির জন্যও নয়। আমি তোমাকে ভালোবাসি- তোমার সেই চন্দ্রমুখের জন্য নয়, যে চন্দ্রমুখের জন্য আমি কোনো শহরও আক্রমণ করে বসতে পারি, কিংবা যা দেখে আমি এক অদ্ভুত তন্দ্রায় আবিষ্ট হয়ে পড়ি। আমি তোমাকে ভালোবাসি- তোমার সেই অসাধারণ সুমিষ্ট কন্ঠের জন্য নয়, যেটা শুনে আমি মাতাল হাওয়ায় উদ্বেলিত হয়ে পড়ি, গভীর সাগরের অতলে তলিয়ে যেতে পারি। কারণ আমি জানি –তোমার এই মিষ্ট গন্ধের শরীর, মোহনীয় কেশরাজি, চন্দ্রমুখ কিংবা সুমিষ্ট কন্ঠ- কিছুই আজীবন থাকবে না, এক সময় তা ক্ষয়ে যাবে, নষ্ট হয়ে যাবে এই নশ্বর পৃথিবীর মতোই। তবুও আমি তোমাকে ভালোবাসি- সেই দিনের জন্য, যেদিন তোমার পাশে তোমার হাত ধরে চুপ করে বসে থেকে নিজেকে আর তোমাকে অনুভব করতে পারবো, বুঝতে পারবো ভালোবাসা মানে শুধু শরীর নয়, ভালোবাসা মানে শুধু বাহ্যিক সৌন্দর্য্য নয়, ভালোবাসা মানে দুটি মনের, দুটি আত্মার আত্মিক মিলন!”
“দোস্ত আমাকে বাঁচা। খুব বিপদের ভিতর পড়েছি।” হঠাৎ একদিন ফোনে বাল্যবন্ধু আফানুর রহমান আদনানের এই আর্জি শুনে নিজেকে সামলাতে পারলাম না।
“কেন কি হয়েছে? কোন ফৌজদারি ঝামেলায় পড়েছিস নাকি?” জিজ্ঞাসা করলাম।
আমি তখন নবম শ্রেণীতে পড়ি; আমাদের গ্রামে ৫-৭ জনের একটা দল ছিল যারা প্রায় প্রতি সপ্তাহে হলে গিয়ে ছবি দেখত। কোন কোন সময় একই ছবি দুই-তিনবারও দেখা হত। তারা বাংলা ছবিই দেখত এবং অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী সম্পর্কে তাদের বেশ কিছু মজার মন্তব্যও ছিল। এরকম একটি মন্তব্য হল, “সে (কোন একজন অভিনেতা) পেটে-ভাতে অভিনয় করে।” এরকম আরো বেশ কিছু মন্তব্য চালু ছিল তখন। অর্থাৎ এরা ছবি দেখত এবং নিজেদের মধ্যে সমলোচনাও করত তবে ব
পাণ্ডা বলতেই আমাদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে সাদা কালোর মিশেলে প্রকৃতির এক অপূর্ব সৃষ্টিকে। ভালুক গোত্রের এই নির্বিবাদী শান্তশিষ্ট প্রাণীটি কিন্তু নিজ গোত্রের অন্য প্রাণীদের মতই শক্তিধর, কিন্তু অহিংস নিরামিষাশী (বাঁশখেকো) পাণ্ডাদের শক্তির প্রকাশ দেখা যায় না বললেই চলে। এহেন এক নাদুস-নুদুস প্রাণীকে নিয়ে একটি তুমুল এ্যকশন ভিত্তিক ‘কুংফু’ চরিত্রে উপস্থাপনের আইডিয়াতে চোখ কপালে উঠেছিলো তাই অনেকের। শেষ পর্যন