মাত্র সন্ধ্যা নামছে তখন, মির্জাকে ডাক দিলো হারুন, “কি মির্জা ভাই, আজকে আসবেন নাকি তাসের আসরে?”। মির্জা তখন গ্রামের শেষ মাথায় জঙ্গলের পিছে সূর্যের ডুবে যাওয়া দেখছে। মীরহাটা ঠিক গ্রাম না এখন আর, গ্রামের সবাই নন্দিতাল টাউনে থাকে। সেটা এখান থেকে এক দিনের হাটা পথের দূরত্ব প্রায়। বছরে একটা মৌসুম একটা বিশেষ ধরনের আনারস ফলে মীরহাটায়, অন্য কোথাও এটা পাওয়া যায় না। অনেক আগে যাদের গ্রামে জমি ছিলো, তারা বছরের
[justify]“অনেক দিন আগের কথা, তেইশ বছর পার হয়ে গেছে। ১৯৭৩ সালে আমি খুলনা গেছি। দৌলতপুর কলেজে আমার কয়েকজন ছাত্র ছিল। ইচ্ছা ছিল ওদের একটু খোঁজ খবর নেওয়া, কে কেমন আছে, দেশের খবর নেয়া ইত্যাদি। দেখলাম এক মহিলা কলেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জিজ্ঞেস করলাম, কি চাও তুমি? রক্তচোখ মেলে বললো, কলেজে পড়বো। বুঝলাম মেয়েটি স্বাভাবিক নয়। বললাম, তোমার নাম কি? নাম?
আকাশটাকে আরেকটু উঠতে বললাম উঠলো
নদীটাকে আরেকটু নামতে বললাম নামলো
নিখোঁজ আমাকে খুঁজে বের করে
আকাশের সব'কটা বিস্ফোরণ
বুক ভিজিয়ে নিভিয়ে দিলো জীবিত অসুখ -
চেয়েছিও তাই একসময়
এক প্রস্তাবিত নিঁখুত পরিকল্পনায়
মিথ্যে আগুন আর হাসপাতালের করিডোর।
মর্জিনা সঙ্গে করে খাবার এনেছে। ইলিশ মাছ, রুই মাছ, মুরগি আর গরুর মাংস। মর্জিনা তার স্বামী মিরাজ আলীকে ভাত বেড়ে দেয়। মিরাজ আলী খেতে খেতে বলে, তর আফায় এত কিছু দিলো? কছ কি! মিরাজ আলীর গলায় খুশি, সন্দেহ, বিস্ময়।
মর্জিনা চোখ-মুখ কুঁচকে একটুক্ষণ চেয়ে দেখে মিরাজ আলীকে। তারপর ঝাঁঝের সঙ্গে বলে, তয় কি আমি চুরি কইরা আনছি?
এই আমার মত করে ধরো। এই দেখ আমি কিভাবে ধরেছি। এই বলে গুরুপদ দা নিজে বাঁশীটা ঠোটে ঠেকিয়ে বাজাতে শুরু করল। আর বাঁশীটা কি সুন্দর বাজতে লাগল। নাও চেষ্টা কর। তা তো অবশ্যই। ব্যাপারটা তো বেশ সহজ দেখছি। কিন্তু বাঁশীটা আমি নিজের ঠোটে ঠেকিয়ে যেই ফু দিলাম প্রথমে কোন সুরই বের হলনা। বেশ খানিক্ষন চেষ্টার পর যা বার হল সেটা মোটেই শ্রুতিমধুর কোন শব্দ নয়। আর বের হতে না হতেই আমার দম ফুরিয়ে হাঁফাতে শুরু করলাম। গুরুপদ
দিনটি ছিল আর দশটা ছুটির দিনের মতই ,পার্থক্য এবার ছুটিটি একটু লম্বা। মজার বিষয় বাংলাদেশে এই ছুটি পালিত হয মে মাসের প্রথম দিন যার উত্পত্তি স্থল আমেরিকার শিকাগো শহর। শ্রমিকদের আন্দোলনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এই দিনটি আমেরিকাতে পালিত হয় সেপ্টেম্বরের প্রথম সোমবার। লং উইকেন্ড এ পুরো সপ্তাহের জমিয়ে রাখা কাজগুলা শেষ করব ভাবতে ভাবতে মধ্যাহ্ন ভোজ সারছিলাম ,হটাত ভাবলাম কোনো গন্তব্য স্থির না করে কোথাও চলে গে
১।
অনেক দিন আগে এক বন্ধুর কাছে শুনেছিলাম ভারতের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি আর ক্রিকেট মূল নিয়ন্ত্রক হচ্ছে আন্ডারওয়ার্ল্ডের মাফিয়ারা। তাদের মর্জিমাফিক তুমুল জনপ্রিয় আর অর্থের অবারিত এই দুই সাম্রাজ্যের গতিপ্রকৃতি নিয়ন্ত্রিত হয়।
সুপারম্যান আমার প্রিয় সুপারহিরো। কিছু হবার সুযোগ থাকলে সুপারম্যানই হতাম। নো ডাউট।
আজ একটা এনিমেশন মুভি দেখছিলাম, সুপারম্যান ভার্সাস দ্য এলিট। দেখতে দেখতে মাঝপথে গিয়ে এক জায়গায় আটকালাম। সুপারম্যান এবং এলিটদের লিডার ম্যানচেষ্টার এর মাঝে তর্ক চলছে। ম্যানচেস্টার আইন নিজের হাতে তুলে নেবার পক্ষে, কারন হিসেবে তার বক্তব্য, সুপারম্যান অনেক বেশি রেসট্রিক্ট মানুষ, সে আইনও মেনে চলার চেষ্টা করে লাইন বাই লাইন। আর তাই বিভিন্ন সময়ে সে অসহায়। চোখের সামনে অনেক কিছু হতে দেখেও তাকে চুপ করে থাকতে হয়।
আবার বিভিণ্ন সময়ে সুপারম্যান সাংঘাতিক সব সুপারভিলেনকে থামিয়েছে, তারাও রেগুলার বেসিসে জেলখানা থেকে পালিয়ে ঝামেলা করেই যাচ্ছে। সবার প্রশ্ন, কেন তুমি তাদের মেরে ফেলছ না? সুপারম্যান বলছে, আমি আইন হাতে তুলে নেব না। আই ওন্ট বি দ্য জাজ।
সবাই আবার প্রশ্ন তুলছে, ওরা তো বার কার পালাচ্ছে, মানুষ মারছে শয়ে শয়ে... কি করবে তুমি এই বিষয়ে? কেন তাদের পারমানেন্ট ভাবে চুপ করিয়ে দেয়া হচ্ছে না?
রাত তিনটা বেজে গেছে, কিন্তু জাকির তখনো পাচ তলার ছাদে দাঁড়িয়ে আছে, চিন্তা করছে গত সন্ধ্যার কথা। অন্যান্য দিনের মত গত কালও সন্ধ্যার পরে সে জগদীশ রোডের কোণায় বাইক নিয়ে দাড়িয়ে ছিলো। চিন্তা করছিলো জুলহাসের কাছে বাকি পড়া টাকার কথা। গত কয়েক দিনে ছিনতাই করতে পারে নি সে, কিন্তু নেশা তো আর থেমে থাকেনি। বাকি টাকা দিতে না পারলে জুলহাস আর হেরোইন দিবে না বলে দিয়েছে, কিভাবে কি করা যায় চিন্তার সুতো ছিড়ে গিয়েছিল স
‘সোয়ান’ নদীর পার। মাত্র সন্ধ্যা হব হব ভাব। আকাশে সন্ধ্যা-রঙ্গের খেলা চলছে। সেই খেলা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে ‘সোয়ান’ নদীর স্বচ্ছ জলের টেলিভিশনে। এরমধ্যে আমি আর আদুভাই দুই প্যাকেট চিপস্ কিনে নিয়ে আড্ডা দেয়ার জন্য জাঁকিয়ে বসেছি। ভয়াবহ গরম পড়েছে। আশে পাশে অনেকগুলো বিদেশি পরিবার বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে নদীর পারে পিক্নিক্ করতে এসেছে। বাচ্চা-কাচ্চার হইচই আর আমাদের আড্ডা চলছে।