এত ছুটলে; হারিয়ে ফেলবে নিজেকে।
বুঝতে পারবে না- তুমি এখন কোথায়;
ভুলে যাবে- কোথা থেকে এসেছিলে;
খুঁজে পাবে না
কোথায় যাচ্ছো;
তাই নিজের কাছে এসে
একটু স্থির হযে বসো।
এবার বলো,
কে তুমি?
তিনি আবার কহিলেন;
“বলো, তুমি কে ?”
এই অসীম নীল আকাশ,
রাতের অন্ধকারের ভেতর জ্বলে থাকা ঐ তারাদল,
তার নীচে এই পৃথিবী, সেখানে— এই যে আমি
জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরিভ্রমণ করছি
কে সে?
সবচেয়ে অসত্য ভাবনা কী?
‘অবশেষে জানিলাম- মানুষ একা।”
কেন অসত্য?
কারণ, প্রত্যেকটি মানুষ বহু মানুষের হাতে তৈরি।
বহু মানুষের সাথে যুক্ত।
সে একলা একা হতেই পারে না।
বহু যুগের বহু কোটি মানুষের দেহ মন মিলিয়ে মানুষের সত্তা।
সেই বৃহৎ সত্তার সঙ্গে সম্পর্ক
একজন ব্যক্তি মানুষ যতটুকু দেখতে পারে
সে ততটুকু যথার্থ মানুষ হয়ে ওঠে।
সেই সত্তাকে নাম দেয়া যেতে পারে
মহামানুষ।
এই বৃহৎ সত্তার মধ্যে
সতর্ক থেকো, শক্ত থেকো
ভয় পেলে চলবে না
লজ্জা পাওয়া উচিত হবে না
কারণ এতে অশ্লীল কথা থাকবে অনেক।
তুমি তৈরিতো?
মুনীর চৌধুরী
আমাদের তৈরি হয়ে নিতে বলেন।
আমাকে সত্য কথা লিখতে হবে।
সত্য না হলে শিল্প সৃষ্টি হয় না।
সত্যটা সুন্দর হওয়া চাই
অশ্লীলতার স্থান নেই আর্টে।
সত্যটাকে সুন্দর করে তোলা চাই
দেখতে হবে যাতে
মিথ্যাতে পরিণত না হয়ে যায় আবার।
কী মুশকিলেই না পড়া গেল!
Its good... Be back home again'
গানটা বাজছে।
শিমুলকে টের পাচ্ছি। ও এসেছে।
ওর ডাকাতদলের বারো জনের সবার মুখ মনে পড়ে গেল।
long long lost friends!
মনে পড়লো সুন্দরবনের নৌকার জীবন,
চিঙড়ি ঘেরের মাচাঙ, জঙ্গলের মাঝখানে গোলপাতার ডেরা।
প্রায় চল্লিশ দিন আমি শিমুলের ডাকাত দলটার সাথে ছিলাম।
মানুষ কত কারণে ভালবাসে।
আমাকে ওরা ভালবেসেছিল,
ভদ্র সমাজের একজন হয়েও আমি ওদের ঘৃণা করিনি দেখে।
মুহম্মদ জাফর ইকবালকে নিয়ে
অপরাধ ও অপরাধের দায় বিষয়ক
দুটো ঘটনা-
আমরা কেমন, আমাদের সমাজটা কেমন,
তা দেখিয়ে দেয়।
কিছুদিন আগে
মুহম্মদ জাফর ইকবালকে হত্যা করার জন্য
ছুরি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল এক তরুণ।
রক্তাক্ত জাফর ইকবালকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে
তিনি নিজের জন্য নন,
যে তাকে হত্যা করতে এসেছিল তাকে নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে
বারবার বলছেন-
“ওকে কিছু করো না
ওর কোন দোষ নেই
চিন্তা হচ্ছে
হেঁটে যাওয়া। চলতে থাকা;
সামনে- খোলা। উন্মুক্ত। অবারিত।
চিন্তার জন্ম জীবনে
জীবনও চলা, কিন্তু সেখানে দেয়াল আছে। বাঁধা আছে।
চিন্তা এই দেয়ালকে পাড়ি দিতে চায়।
কল্পনাও সেটা চায়। তবে-
কল্পনা আর চিন্তার একটা পার্থক্য আছে।
কল্পনায় আমরা এই দেয়ালগুলো এড়িয়ে যাই
যেন দেয়ালগুলো নেই।
কিন্তু চিন্তা এই দেয়ালগুলোকে স্বীকার করে
তাকে অতিক্রম করার পথ খোঁজে।
এজন্য চিন্তা বাস্তব।
আমরা কি নিজের চোখে
নিজের মুখটা দেখেছি কখনও?
দেখিনি। আমরা আমাদের দেখি আয়নায়।
চোখ মেললে তুমি দেখবে আমাকে; আমি তোমাকে।
তাহলে; আমি আমাকে কীভাবে দেখবো?
তুমি তোমাকে?
তিনি বললেন।।
পূর্বকথা
মোর আপনার চেয়ে আপন যে জন
খুঁজি তারে আপনায়...
নিজের চেয়েও যে আপন-
সে কেমন আসলে?
মানবজীবন যখন পাঠশালা
সেই পাঠশালায় পড়াশোনা কেমন হয়-
তা বোঝাতে সাধু কাজী নজরুলকে ডেকে এনেছেন।
কাজী নজরুল সেখানে পড়েছেন।
নিজের ভেতরকে জেনেছেন।
ভেতরের আমিকে খুঁজেছেন।
খুঁজতে খুঁজতে
মহাবিশ্বের মহাকাশ ফাড়ি’
চন্দ্র সূর্য গ্রহ তারা ছাড়ি’
ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া
০ (শূন্য)
।।।।।।।।।
কে আমি?
বিস্তৃত মহাকাশে ছুটে চলা সহস্র লক্ষ কোটি গ্রহ তারার মধ্যে
পৃথিবী নামের একটি গ্রহে- এই যে আমি;
কে এই আমি?
কী আমার পরিচয়?
৮৭ লক্ষ প্রজাতির জীব পৃথিবীতে আছে
বিজ্ঞানীরা অনুমান করেন।
এই এত জীবের মধ্যে মানুষই একমাত্র জীব
যে নিজের আত্মপরিচয় খুঁজে বেড়ায়-
আর কেউ নয়-
আড়াই হাজার বছর আগে
মানুষের লিখিত ইতিহাসের প্রথম যুগে
আদি শিক্ষক সক্রেটিসকে
অভিবাদন, আমার প্রেসিডেন্ট কেন ইউলিয়ামসন।
তোমাকে কেন আমার প্রেসিডেন্ট বলছি, অনেকে অবাক হলেও তুমি জানো
কেন তোমাকে আমার প্রেসিডেন্ট বলছি।
২০১৯ সালের ১৪ জুলাই,
লর্ডসে বিশ্বকাপ ফাইনালে
ইংল্যান্ডের কাছে পরাজয়ের পর
তুমি পৃথিবীকে দেখিয়েছিলে, সত্যিকারের মানুষ কেমন হয়।
তোমার মধ্যে এই এই মানুষের রূপ দেখে
সারা পৃথিবীই সেদিন তোমাকে ভালবেসেছিল।
সে সময় রাহুল দেশাই নামে একজন টুইট করেছিলেন