একজন বালক আর তার শিক্ষক বন্ধু হলে সেই বন্ধুত্বটা কেমন হবে?
‘যারে আমি চাই তারে আমি দিই ধরা
সে আমার না হইতে আমি তাহার হই
পেয়েছি বলে মিছে অভিমান করা
অন্যরে বাঁধিতে গিয়া বন্ধন মোর।’
বাসনা বুঝি এমনই। যা আমার নয়, অথচ আমার বলে ভাবি।
বাসনা আর লোভ কি একই?
একই না হলেও ওরা জোড়া। জমজ। হাত ধরে হাঁটে। কান টানলে যেমন মাথা আসে, বাসনা জন্মালেই লোভ জেগে ওঠে।
১০ জানুয়ারি, ১৯৭২। প্রিয়ংকা গান্ধি অপেক্ষা করছে। তখনও তার নাম প্রিয়ংকা হয় নি। সে যে কে, তা তখনও কেউ জানে না। এমনকী তার মা সোনিয়া গান্ধিও। তিনি শুধু অস্তিত্বের মধ্যে টের পাচ্ছেন কেউ আছে। বড় হচ্ছে। আর এখন তার সময় হয়েছে।
২০০১ সালের এক রাত। খুব কুয়াশা ছিল সেদিন। আকাশে চাঁদ উঠেছে। কিন্তু দুধ সাদা চাঁদরে তার মুখ পাওয়াই ভার। সমস্ত চরাচর একটা হিম ঠান্ডার ভেতরে ডুবে আছে। হুমায়ূন রোডের বাসার ছাদে দাড়িয়ে আছেন সুমিতা দেবী, অভিনেত্রী- ব্যক্তিগত জীবনে জহির রায়হানের স্ত্রী। কুয়াশার সেই হিম সাদা চাদর ফুড়ে সুমিতা দেবীর কণ্ঠ ভেসে আসে-
১
প্রাক দর্শন-----------------------
একজনের শৈশবকে বোঝা গেলে, মানুষটির মনের ভেতর বাহির ধরা যায়। কেননা বলা হয়ে থাকে, মানুষ মৃত্যু পর্যন্ত শৈশবকে বহন করে চলে। তাই নভেরাকে আমরা বুঝতে গেলে, তার শৈশবের ছবি সম্পর্কে একটা ধারণা থাকা প্রয়োজন। নভেরা আহমেদকে নিয়ে আলোচনার এটি একটি সীমাবদ্ধতা, আমরা তার কাছ থেকে কোন কথা শুনিনি। অন্যদের কাছ থেকে তার সম্পর্কে যতটুকু পাওয়া যায় তা খুবই খন্ডিত এবং সীমাবদ্ধ ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতাজাত ধারণা প্রসূত। সমস্ত কিছ
তিনি কহিলেন, ‘যখন সমাজের একটা অংশ এমন কিছু order করতে থাকে যা সে নিজেই জানে না এবং সমাজের বাকী অংশ যখন সেই order মানার জন্য নিজেকে supply করে তখন গোটা systemটাই একটা supply এর ফেরে পড়ে। একটা society তখন তার developing গুণাবলী হারিয়ে developing জাতি থেকে supplier বা supply জাতিতে পরিণত হয়।’
একলা। কিছুক্ষনের জন্য কেউ তাকে খুঁজে পাবে না। শুধু একলা। ভাবতেই খুব ভাল লাগে তার। সবার চোখকে ফাঁকি দিয়ে এটুকু সময় বের করতে কম ঝক্কি পোহাতে হয়নি। শেষ পরযন্ত অবশ্য সব ভালোয় ভালোয় মিটেছে। এখন- এখানে এই নির্জনে এসে তার মনে হলো, অনেক বছর পর একটু নিঃশ্বাস নিতে পারছে।
খন্দকার মোশতাক আহমেদের চোখে ঘুম নেই।