শুরুর আগে
অন্ধকার রাত। কিশোরী মেয়েটার চোখে ঘুম নেই। আর সবাই ঘুমিয়ে গেছে। তবু আরও খানিকক্ষন অপেক্ষা করলো সে। তারপর নিঃশব্দে ঘর ছেড়ে সে বের হয়ে গেল। কেউ টের পেল না।
রোদটা একেবারে ঝলসে দিচ্ছে। এতবড় আকাশ। কিন্তু একফোঁটা ছেঁড়া খোড়া মেঘও নেই। কোথাও।
ঘুমটা আসি আসি করছে - এই মুহূর্তটা আমার সবচেয়ে ভাল লাগে। শরীরটা আইসক্রীমের মত গলে যেতে শুরু করে। চারপাশটা মনে হয় মেঘের মত। নরম নরম। তুলো তুলো। চিন্তাগুলো - যেগুলো মাথার মধ্যে জট পাকিয়ে একটা গোলমাল পাকানোর তালে থাকে সেগুলো পর্যন্ত স্বপ্ন স্বপ্ন লাগে। একটা কুয়াঁশা এসে সবকিছু ডুবিয়ে দিয়ে যায়।
মার্চের ২৫। মধ্যরাত।
: তুমি সীমানা লঙ্ঘন করছো। Simply।
: ভালবাসার কোন সীমানা থাকে না Mayabee।
: ভুল চিন্তা। Totally একটা wrong conception।
: বল তুমি আমাকে ভালবাসো না। আসলে আমি যে একা এটা বুঝে গেছি।
: তুমি বাসো?
: হ্যা বাসি।
: আবার মিথ্যে কথা।
: বাসি।
: কেন বারবার মিথ্যে কথা বলছো?
: মিথ্যে - বলছো কেন?
: ভালবাসলে এই ভাষায় কথা বলতে না।
: আমি কোন ভাষায় কথা বললাম?
: যে ভালবাসে সে কখনও নিজেকে ফাঁকি দেয় না।
Mayabee!!! তুমি!! এটা করতে পারলে?
: আমার ইচ্ছে ।
: মানলাম - এটা তোমার Liberty। স্বাধীনতা। কিন্তু একজন মানুষ হিসেবে আরেকজন মানুষের কাছে জানতে তো চাইতে পারি - WHY? ? তুমি এটা করলে - কেন?
: না পারো না।
:তুমি এটাও বলতে পারো. কোন অসুবিধাে নই `I will not talk anymore with you.’ বলো। সমস্যা নেই। আমি শূধূ একটা কথাই বলবো -WHY?
: ...তারপরে?
: ঐ বৃদ্ধলোকটা জীবনের শেষ সায়াহ্নে এসে বলে ওঠে, নারে- কিছু একটা করতে হবে।
: তখন কি আর সময় আছে।
: সময়! কখনই ফুরোয় না সে।
: তা ফুরোয় না।
: কিন্তু সে যে বুঝতে পারলো না রসের কাছে জীবনের তাড়া মূল্যহীন। কেউ যখন কোন কিছুতে মজেছে - তখন কি আর সময়ের জ্ঞান আছে! না মজলে তো সময়ই ভার মনে হয়।
: তুমি কি সে মজলে?
: দেখা। দেখা জিনিষ দেখা।
: কি রকম বুঝলে?
: সে যে কি এক কেলেঙ্কারী।
আমার একটা পৃথিবী আছে। কিছু মানুষ, কিছু অতীত, কিছু ভবিষ্যতের সাথে আমার একটা যোগ আছে। এই যোগগুলো নিয়েই আমার এই পৃথিবী আমি কোথায় আছি- সেই মানুষ , স্মৃতি, ভবিষ্যত থেকে কত দূরে কিংবা কত দিনের ব্যবধান - এই যোগসূত্রে এটা কোন প্রভাব ফেলে না। দেনা পাওনার হিসেবের বাইরের এই যোগসূত্রগুলোর অস্তিত্ব আমাকে আমার পৃথিবীতে নিঃশ্বাস নিতে সাহায্য করে।
আর সবকিছুর সাথে - তুমিও আমাকে বাঁচিয়ে রাখো।