আমিতো জানিই আমার পরিণতি
তোমার লাস্য চোখের লবণ জলে
ইচ্ছের নৌকো ভাসানোর শেষ ইচ্ছে
পূরনেও ব্যর্থ ; এক করূণ নিয়তি।*১
ভুলে থাকার চেষ্টা করছি কিন্তু পারছি না। একটু পরপরই মনে হচ্ছে - অসম্ভবভাবে কোথাও হারিয়ে যাই। যেখানে গেলে আর কেউ কখনও খুঁজে পাবে না। প্রসুনের ডায়াগ্রামটার কথা মনে হয়।
কি বলিষ্ঠ আর আশ্চর্য টান টান ভঙ্গিমা। ঠিক যেন অর্কেস্ট্র্রার কোন জাদুকর বাজিয়ে। চঞ্চল হাতের তর্জনীর ইশারায় যে সঙ্গীত বেজে উঠেছে, সাড়ে সাত কোটি বাঙ্গালীর হৃদয় তাতে নাচতে থাকে। গুনগুন রিনিঝিনি তাক ধিনাধিন ঝনক ঝনক ধুন ওঠে - ছয় দফা, এগারো দফা, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম ..
ভারতবর্ষ - সে এক কল্পনার দেশ। তাকে নিয়ে কতই না উপকথা ইউরোপের বাতাসে বাতাসে উড়ে বেড়ায়। তন্ত্র, মন্ত্র আর ঐশ্বর্য্যের গল্পগুলো একেবারে রূপকথার মত। ভারতবর্ষের আকাশে যে পাখিরা উড়ে বেড়ায় তাদের চোখগুলো দ্যূতিময় হীরায় তৈরী। গাছের পাতাগুলো রূপোর - আর সেই রূপোলী পাতার মধ্যে ফুটে থাকে খাঁটি সোনার আপেল। পথের ধুলোয় স্বর্ণরেণু চিকমিকিয়ে ওঠে। পাহাড়ের গা বেয়ে পথ চলতে গেলে নুড়ি গড়িয়ে পড়ে। সে নুড়ি সাধারন পাথরের না
আমার একজন বন্ধু হয়েছে। নতুন বন্ধূ।
খুব ভাল লাগছে।
তুমি একটা statement ।
এত সহজ।
ভাবলেই হয়।
এটা একটা trouble| Really it is.
I think that what I think, I think – that is not that think that I think.
আমি আসলেই ভাবতে পারছি না কোনটা আমি ভাবছি।
Confused। বড্ড confused লাগে। একটা love letter লিখতে ইচ্ছে করছে। খুব করছে। কারো জন্য না। For myself.
কি লিখবো ।
ভাষা খুজে পাচ্ছি না।
নাকি কথাটাই।
'তুমি ভাবোতো আকাশটা।
sky
blue
বিশাল
উদার
অসীম।
এই আকাশের বাইরে কয়টা আকাশ?
আমি আকাশের দিকে তাকাই। তারারা ঝিলমিল করছে। Glittering tears. কান্নার নদী। আকাশ জুড়ে এরকম অসংখ্য কান্নার নদী ছড়িয়ে ছিটিয়ে। ছায়াপথ। ছায়াপথগুলোকে নদী মনে হয়। এরকম একটা নদী ধরে ভেসে যাচ্ছি। Milky way. দুধনদী। দুধসাগর। পথই আমাদের কাছে নদী মনে হয় সাগর মনে হয়।
পৃথিবী নামের নৌকায় চেপে আমরা সাগর পাড়ি দিচ্ছি।'
স্ স্ স্ হ স হু...উ। সসহ ধুম।
হুম। ড্রয়ারটা হয়ে খুব আরাম হয়েছে।
না গুছালেও সমস্যা নাই, এর মধ্যে ফেলে রাখলেই হলো।
‘ড্রয়ার’- ব্যাপারটা আসলে ভালই।
কারো কারোতো পুরো রুমটাই- ড্রয়ার ।
পুরা বাড়িটাই ড্রয়ার বানিয়ে রেখেছে- এই রকম লোকও আছে।
রঙধনু রঙের মগ্ন আনন্দে মশগুল পৃথিবী বাইরে পড়ে থাকে। দমবন্ধ ঘরের বদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে নিতে মৃত্যূকেও বড্ড বদ্ধ মনে হয়। বাঁচতে ইচ্ছে করে না। মরাও হয়ে ওঠে না। জটপাকানো রোদ আর অন্ধকার বুকের পাঁজরে একটু পরপর টোকা দিয়ে যায়।
লাস্টবেঞ্চি আবার মাথার ভেতর ঘুরপাক খায়।
“যখন অনিচ্ছাসত্ত্বেও মৃত্যু ঘটে নিশ্চয়ই তোমার উপর মৃত্যু জয়লাভ করে।
পাঠে নিমগ্ন হইয়া বালক নিবিড় কন্ঠে উচ্চারণ করিতেছে = ‘বল দাও মোরে বল দাও…’