[প্রতিকৃতি: আকাশলীনা নিধি]
মোট চারবার তাঁকে ফিরতে হয়েছে এই বাংলায়। জীবিতকালে দুইবার, মৃত্যুর পর দুইবার!
[justify]ক.
[justify]১.
৬ নভেম্বর ১৯৭৫। মাঝরাত হতে তখনো কিছুটা বাকি। ঢাকা সেনানিবাসের আর্মি হেডকোয়ার্টারের পাশে যে লাল মসজিদটা, তার পাশের একটি বাড়ি থেকে বের হয়ে এলেন ইউনিফর্ম পরা একজন নায়েব সুবেদার। একা। বাইরে এবং চারিদিকে তখন ভীষণ অন্ধকার।
মোড়লপনার নিয়ম হলো মিলমিশ করিয়ে দেওয়া। পুরাতন গ্যাঞ্জামে যা কিছুই হোক না কেন মিটমাট করিয়ে শান্তিতে বসবাসের বন্দোবস্ত করা। বিচার না, মিটমাটেই শান্তি।
আজ (১০ নভেম্বর ২০১৭, শুক্রবার) প্রথম আলোর সাহিত্য সাময়িকী শিল্প সাহিত্য পাতায় অদিতি ফাল্গুনীর যে ছোটগল্পটি ছাপা হয়েছে "[url=http://www.prothom-alo.com/art-and-literature/article/1362201/%E0%A6%AA%...
ট্রেনের নাম একতা এক্সপ্রেস, ঢাকা থেকে ছুটছে ময়মনসিংহের দিকে। ছুটছে কি আসলে? ১৯৮০ সাল, জীবন তখন এতোটা গতিশীল হয়ে ওঠেনি, ট্রেনেরও। এমনই ধীরগতি তার। দুষ্টু ছেলেরা মিষ্টি ছড়া কাটে, 'ঝিক্কিরঝিক্কির ময়মনসিং, ঢাকা যাইতে কতোদিন?'
মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী বাংলাদেশের সামরিক ঘটনাগুলো নিয়ে সকলের আগ্রহ। অনেক রহস্যে আবৃত থাকলেও এ সম্পর্কে তবু কিছুটা লেখালেখি হয়েছে। অনেকের ব্যক্তিগত স্মৃতিচারণ, গবেষণার মাধ্যমে সময়টাকে এখন অনেকটা বোধের নাগালে আনা গেছে। চরিত্রগুলোকে চেনা গেছে।
মুক্তিযুদ্ধ চলছে, নিচতলার ক্লিনিকটায় কোনো রোগী নেই। ২৯/১ পুরনো পল্টনের এই বাড়ির দোতলায় থাকেন সপরিবারে চক্ষু বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলীম চৌধুরী।
আমরা নিরাপত্তার স্বার্থে প্রথমে দেওয়াল তুলে ঘর বাঁধলাম, তাতে দরোজা আটকে দিলাম। সেই দরোজায় দিলাম খিল। খিলে হলো না, ছিটকিনি আর তালা দিলাম। একতালা, দু’তালা, তিনতলা... তালার ওপরে তালা। তবু হলো না, ডোর-হোল, ডোর-স্টপার সাঁটালাম।
ওদিকে জানালা ঢাকলাম প্রথমে কপাট দিয়ে, তারপর গ্রিল। বারান্দাটুকু ছিলো চাঁদ দেখার, সেখান দিয়েও আসতে পারে ভয়, সেখানেও লোহার গারদ দিলাম।