আকাশটা আজ আষাঢ়ের বউ হয়ে পাছা দোলাচ্ছে। মেঘের ঘাগরা পরা আকাশের কারণে সোয়েটার পরার মতো ঠান্ডা বাতাস ঘর ছেড়ে বেরুতে সায় দেয় না। এমন বিষণ্ণ, মনে না ধরা দিনেও আমাকে শেষ পর্যন্ত বেরুতেই হলো। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির সাথে পাল্লা দিয়ে ঘাড়ের বোঝা ঠিকঠাক মতো নামতে নামাতে শহরের অনেক সড়কেই পানি জমে এক হাঁটু। তা হোক। ভেসে যাক এই নগর, নাগরিক ব্যস্ততা। আমি ফাঁক বুঝে সুবিমল মিশ্র, অক্টাভিও পাজ এবং মা...
আমার চেয়ে কে আর বেশী বিষে বিষে নীল স্বপ্নভূক
কে আর পেয়েছে এত স্খলিত মুদ্রার পতিত অসুখ
ছলনার শিল্পিত ফাঁদে
রাগে ও অনুরাগে
কে আছে এমন আমূল দু’ফাঁক
তীব্র আর্তনাদে কেঁদে কেঁদে
নোনা জলে সেঁচে প্রগাঢ় খেদ
ব্যথিত ধ্র“পদ বিষাদের ভারে
নদীভাঙা জলের কিনারে
ক্লান্তশূন্য এমন কে আর আছে
পান করে অমৃতের গরল আস্বাদ
অবিশ্বাসী ছুরির আঘাতে
কে আর বেশি মৃত আমার চেয়ে,জীবিত থেকে’ও
বৃষ্টি ও বৃষ্টি তুই কি কাঁদতে পারিস....
অন্য অনেক কিছুর মতো বৃষ্টিতো এখন আমার পর, দূরের কেউ। যদিও বৃষ্টি এখনো আমাকে ভুলে যায়নি। বৃষ্টি এখনো আমাকে ডাকে, হাতছানি দেয়। গান শোনায়। নৃত্যের মুদ্রা তুলে ঢাকার পাষাণ পাথরে বাঁধা আমার মন গলাতে চেষ্টা করে। আমি যতই গা বাঁচিয়ে চলি না কেন, মাঝে মধ্যে দুষ্টুমি করে আমাকে ভিজিয়ে দেয়। বৃষ্টির ডাকে আমারো সাড়া দিতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে অনেক আগের মতো ...
কারণে-প্রয়োজনে মানুষকে কাউন্সিলর-চেয়ারম্যান-এমপি-মন্ত্রীদের কাছে যেতেই হয়।যেতে হয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে।কিন্তু এই যাওয়াটা কখনোই সুখের হয়না।লেফট-রাইট করতে করতে নাকাল হয়ে কোনো কোনো ভাগ্যবান অবশেষে দেখা পান কাঙ্খিত সেই পরমজনের।কারো কারো এই সৌভাগ্য ঘটেইনা।কেউ কেউ নিজেই ইতি টানেন নিজের প্রয়োজনের।দিনের পর দিন অন্যান্য কাজের বারোটা বাজিয়ে শুধু একটা স্ব...
ক.
আমার কিছু কথা আছে
কথা গুলো রেখে গেলাম নদীর কাছে
আমার কিছু ব্যাথা আছে
ব্যাথা গুলো উড়িয়ে দিলাম নীলাকাশে
আমি না হয় হারিয়ে গেলাম.............
খ.
মনের ভিতর আনাগোনা করে কত কী! ক্ষণে বসন্ত, ক্ষণে বর্ষা। নমস্যি বাংলা ব্লগ। মনের এইসব আনাগোনাকে এখন মূহুর্তেই ছেপে ফেলা যায় এই ব্লগস্পটে। কত কত আনাগোনা একসময় লেখা হয়েছিল খাতায়-ডায়রিতে। দিন বদলের পালায় আজ আর খুঁজে পাইনা ওইসব। থাকলে হয়তো কিছু একট...
জন্মদিন যে লোকজনকে দাওয়াত দিয়ে,আয়োজন করে পালন করতে হয় আর অতিথিরা হাতে খেলনা নিয়ে আসেনÑআমার জীবনে এটি প্রথম ঘটে আমার পাঁচ বছর বয়সে। বড়দার বিয়ের পর বড় ভাবির উদ্যেগে প্রথমবারের মতো জন্মদিন পালনের স্লাইডটিতে চোখ বুলালে এখনো আমি স্পষ্ট দেখি খেলনার বন্দুকটি দিয়ে জানালার বাইরে থেকে শব্দ করে বড়দের বিরক্ত করছি। সেই সন্ধ্যায় আমার সমবয়সি ছিল একজনই, যাকে পরবর্তিতে স্কুলে ও কলেজে একই কাস...
ঘাসের ডগায় জমেছে শিশির
বন্ধু তোমরা বাঁচিয়ে রেখো ঘাস
রাত বাড়ে।
লোকালয় থেকে দূরে ঝি ঝি’রা তড়পায়।
আকাশ থেকে হারিয়ে যায় তারা।
ঘড়ির কাটা এগোয় দ্রুত।
মোচরাতে থাকে আমাদের হৃদয়।
একে একে পর্দা নামতে থাকে।
একে একে খালি হয়ে যায় টেবিল। শুন্য শেলফ্ গুলো গুমড়ে গুমড়ে কাঁদে।
এভাবেই,প্রতিবারের মতোই নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে দুই পা হেঁটে পুনারায় পেছন ফিরে তাকাই -তারপর সোজা হেঁটে বের হয়ে আসি। ভ...
বইমেলার সময় এক সপ্তাহ বাড়ানোর একটা প্রস্তাব উঠেছে। বাড়লে ভালোই হবে। মন্দার বাজারে কিছু বই বিক্রির ব্যবস্থা হলে আখেরে লেখক-প্রকাশকদেরই কল্যাণ। জানিনা কতৃপ কিভাবে ভাবছেন।
গতকাল ভিড় হয়েছিলো বেশ। মোড়ক উন্মোচনেরও ধুম ছিলো। লোকজনকে খুঁজে খুঁজে বই কিনতে দেখা গেল।
২০০৪এর এই দিনে হুমায়ুন আজাদকে আহত করা হয়েছিল বইমেলা থেকে ফেরার পথে। প্রতিদিন কী নিষ্ঠার সাথে স্টলে গিয়ে বসতেন তিনি। ...
গুজব আর আতংকের মধ্য দিয়েও অসহায় এই মহানগরে আলো হয়ে জ্বলেছিলো বইমেলা।
ঢাকার রাস্তায় এত ট্যাংক,এত আর্মস লরি কে কবে দেখেছে। ধানমন্ডি ও এর আশেপাশের লোকজনদের বাসা থেকে চলে যেতে হয়েছে অন্যকোথাও। আতংকিত শিশুদের আর্তচিৎকারে ভারী হয়ে গিয়েছিলো আকাশ।
তারপরও বইমেলাটা জেগে ছিলো। যেখানে এই পরিস্থিতিতেও বইমেলা জাগিয়ে রাখার লোকের অভাব হয়না- সেখানে এদেশের ভবিষ্যত নিয়ে নিরাশ কী করে হই?
আম...
বইমেলার একটা আলাদা প্রাণশক্তি আছে।
বইমেলা কখনো মচকায় না।
গতকালও এমনটিই হলো।
বইমেলা খুলবে না আশংকাকে পেছনে ফেলে বইমেলা ঠিকই দাঁড়িয়ে থাকলো।
লোকজন কম এসেছে-সে ভিন্ন প্রসঙ্গ।
গতকালের ঘটনায় আমি বাংলাদেশের রাষ্ট্রকাঠামোর সদর-অন্দর ভেবে আৎকে উঠলাম। ঔপনিবেশিক ঘুনে ধরা কাঠামো দিয়ে আর কিভাবে,আর কতদিন? একদিকে স্বত:স্ফুর্ত ক্ষোভের বিস্ফোরন আর অন্যদিকে শুধুমাত্র প্রতিশোধ প্রবনতা- ...