মুহম্মদ জুবায়ের এর ব্লগ

২.১

মস্তিষ্ক, যাকে আমরা সাধারণভাবে সর্বত্রগামী হৃদয় বলে ভাবতে বেশি ইচ্ছুক ও অভ্যস্ত, তার চেয়ে দ্রুতগামী কোনো যান মানুষ আবিষ্কার করেনি। হৃদয়যানের যাত্রী হয়ে অনায়াসে চারপাশের মানুষজনের অজ্ঞাতে মানস-ভ্রমণটি সম্পন্ন করা যায়। কর্মস্থল থেকে ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন হয় না, অফিসে নিজের টেবিল-চেয়ারে বসে সম্পন্ন ...

কী হলো বুঝতে পারছি না। লগ আউট করলেও লগড-ইন আছি দেখতে পাচ্ছি। আবার লগ ইন করে কোনোকিছু একটা পড়ে মূলপাতায় ফিরে দেখি লগড আউট।

দ্বিতীয় সমস্যা, মন্তব্য করলে সাম্প্রতিক মন্তব্যে দেখতে পাচ্ছি না।

দেখবেন কি?

দেশের জন্য মন-কেমন-করা একটি অতি চমৎকার অনুভূতি। যারা চিরকাল এক জায়গায় কাটায়, স্বগ্রাম বা তাহার নিকটবর্তী স্থান ছাড়িয়া নড়ে না - তাহারা জানে না ইহার বৈচিত্র্য। দূরপ্রবাসে আত্মীয়স্বজনশূন্য স্থানে দীর্ঘদিন যে বাস করিয়াছে, সে জানে বাংলা দেশের জন্য, বাঙালির জন্য, নিজের গ্রামের জন্য, দেশের প্রিয় আত্মীয়স্বজনে...

ঘটনা ২০০৪-এর। সামহোয়্যার-এ পোস্ট করেছিলাম ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০০৭-এ। আশা করি বাসি হয়ে যায়নি।

চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যাচ্ছি নিউ ইয়র্কে। শহর নিউ ইয়র্ক নয়, নিউ ইয়র্ক রাজ্যের অলবানি শহরে। রাজ্যের রাজধানী বলে কিছু কৌলিন্য দাবি করতে পারে, না হলে গাড়িতে চার-পাঁচ ঘণ্টা দূরত্বের বিশাল নিউ ইয়র্ক শহরের তুলনায় এই শ...

১.

ঝুম্পা লাহিড়ির দ্য নেমসেক পড়তে পড়তে মনে হলো, এই উপন্যাসটি আমার লেখার কথা ছিলো। অন্য কারো এমন মনে হয় কী না জানি না, হলে সেসব বলে ফেলার দস্তুর আছে কী না, তা-ও জানা নেই। কিন্তু আমার এরকম মনে হয়েছে এই বইয়ের মূল চরিত্রটির নামঘটিত বিড়ম্বনার কারণে।

উপন্যাসের মূল চরিত্র গোগোল গাঙ্গুলি আমেরিকায় প্রবাসী ভারতীয়...

১.২

পেছনে তাকিয়ে নিজের বসত বাড়িটিকে আরেকবার দেখলেন। দেখতে পেলেন না, জোহরা বেগম তখনো দাঁড়িয়ে আছেন গেটের কাছে, ঝাপসা দুই চোখ তাঁরই দিকে।

বাড়ির দিকে চোখ ...

১.১

আমার অনেক ঋণ রয়ে গেলো তোমার কাছে!

ভেজানো দরজার কাছে দাঁড়িয়ে অস্পষ্ট স্বরে প্রায় স্বগতোক্তির মতো বলেন এবারক হোসেন। তাঁর গলা ধরে আসে। জোহরা বেগম এমন...

বিদেশে বাঙালি চেনা যায় কী কী প্রকারে?

আমেরিকা বোধ হয় একমাত্র দেশ যেখানে পৃথিবীর সব দেশের মানুষের কমবেশি প্রতিনিধিত্ব আছে। কোনো একটিমাত্র শহরে যদি সব দেশের, ভাষার ও সংস্কৃতির মানুষের নমুনা খুঁজে পাওয়া সম্ভব হয়, সেই শহরটি অবশ্যই নিউ ইয়র্ক। বড়ো অন্য শহরগুলিতেও এই মিশ্রণ আছে, যদিও তা নিউ ইয়র্কের মতো ব্যাপক নয়। অনেক সময় রং-চেহারায় একরকম হলেও তারা আলাদা সংস্কৃতির মানুষ।

ফাঁস করে নিজেও ফেঁসে যাবে, তাতে ভ্যানেসার হয়তো হারানোর কিছু ছিলো না, কিন্তু রশিদের ইচ্ছে নয় ঝামেলায় জড়ানোর। দাবি পূরণ না করে তার উপায় থাকে না। কথা হয়েছিলো, ঠিক এক মাস পরে দু’জনে যাবে ইমিগ্রেশন অফিসে গ্রীন...

মাসিক কিস্তির টাকা দিতে না পারায় আসাদের শখের মাজদা আরএক্স-সেভেন গাড়ি গেছে, এখন আছে একটা পুরনো হোন্ডা সিভিক। একবার বাসাভাড়া বাকি পড়লে অ্যাপার্টমেন্ট কমপ্লেক্সের লোকজন এসে টিভি-ভিসিআর আটকে রেখেছিলো, রশি...