দীক্ষক দ্রাবিড় এর ব্লগ

মানুষ ছাড়া কেউ রচনা করতে পারে না

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: সোম, ২১/০৫/২০০৭ - ৫:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শিম্পাঞ্জিকে টাইপ করা শিক্ষা দিতে কত সময় লাগে এরকম গবেষণা কিছু বিজ্ঞানী করে থাকেন। হাতি ছবি আঁকলে কিরকম হয় এ নিয়েও প্রামাণ্যচিত্র দেখেছি। কিছু লোক বানরকে নানা কসরত্ শিখিয়ে, শিল মাছকে জলকেলি শিখিয়ে জীবিকা উপার্জন করেন। সার্কাসের ঘোড়া, সিংহ, বাঘও নানা অঙ্গভঙ্গি দেখায়। (ছাগল দিয়ে এরকম চেষ্টা কাউকে করতে দেখিনি।)

প্রাণী ছাড়াও মানুষের আয়ত্তের মাঝে আছে বলে দাবী করা হয় অশরীরি বিষয়। বাংলাদেশ ও পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বিন পালে বলে দাবী করে কিছু লোক। তারা নাকি জ্বিন দিয়েও নানা কারবার করাতে পারে।

তবে আস্ত একটা বই? লেখার মান যত খারাপই হোক আস্ত একটা বই লেখা এইসব সার্কাসের বাঘ, বানর বা জ্বিন-প্রেতের পক্ষে সম্ভব নয়। বই রচনা শেষ পর্য


আমাদের ঐক্য আরো সুদৃঢ় হোক

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: রবি, ১৩/০৫/২০০৭ - ২:২৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

তাসনিম খলিল ছাড়া পেয়েছেন। হয়তো তা এই ব্লগে আমাদের প্রতিবাদের জন্য নয়। কিন্তু তার সহব্লগাররা তার এই ঘোরতর বিপদের সময় এই সমস্যাকে তার ব্যক্তিগত সমস্যা মনে করে নিশ্চুপ থাকেননি এই শান্তনা তাকে সাহায্য করবে।

তাছাড়া মুক্ত ও স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের জন্যই আমরা ব্লগে লেখি। সেই স্বাধীনতা যখন খর্ব হয় তখন প্রতিবাদ করতেই হবে সহযোদ্ধাকে বাঁচাতে। এমন খড়গ আমাদের ঘাড়েও নেমে আসতে পারে।

মনে রাখতে হবে তাসনিম খলিলকে তারা আটক করেছিলো ব্লগের জন্য। সংবাদপত্রে প্রকাশিত রিপোর্টের জন্য নয়।

এই ব্লগের সবার সহানুভূতি ও প্রতিবাদের জন্য কৃতজ্ঞতা। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্য আরো সুদৃঢ় হোক।


ব্লগে এখন তাসনিম খলিলের গ্রেফতারের প্রতিবাদ চলছে: আপনার কণ্ঠও সামিল হোক শ্লোগানে

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: শনি, ১২/০৫/২০০৭ - ৫:৫৩পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

শুধু সত্য প্রকাশের জন্য, শুধু সাংবাদিক হওয়ার জন্য কেন তাসনিম খলিলকে আটক করবে সেনাবাহিনী? একজন তাসনিম খলিলের চেয়ে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা দেশের জন্য বেশি কি করছে? আমরা কি মধ্যযুগে বাস করি যে আমাদের মত প্রকাশের অধিকার থাকবে না। তথ্য জানার অধিকার থাকবে না।

এই গ্রেফতার এরকম আরো প্রশ্ন, আরো বিষয়কে সামনে নিয়ে আসে। সেই বিষয়গুলো নিয়ে লিখুন। সহব্লগার তাসনিম খলিলের প্রতিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে জানিয়ে দিন যে পৃথিবী অনেক বদলে গেছে।

অন্য পোস্ট আমরা দিতে পারবো অনেকদিন। আজকের পোস্টের বিষয় হোক:
১. সেনাবাহিনী
২. সংবিধান ও জনগণের অধিকার
৩. তাসনিম খলিল ও তার রিপোর্টিংয়ের বিষয়
৪. তথ্যের অধিকার ও এই শতাব্দী।

এসব বিষয়ে মিনি


আগামী ২৪ ঘন্টা ব্লগ হোক তাসনিম খলিলের গ্রেফতারের প্রতিবাদে সোচ্চার

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: শনি, ১২/০৫/২০০৭ - ৫:২৬পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দেশকে নিয়ে অনেক গর্ব আমাদের। স্বপ্ন আমাদের। কিছু ক্ষমতালোভীর স্বেচ্ছাচারিতার কাছে আমরা জিম্মি করতে পারি না আমাদের স্বপ্নকে। আমাদের মুক্তচিন্তার, স্বাধীনতার অধিকারকে। বর্বর, মধ্যযুগীয় আচরণকে মেনে নিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ধূলিস্মাত্ করতে পারি না।

শুধু সত্য প্রকাশের জন্য, শুধু সাংবাদিক হওয়ার জন্য কেন তাসনিম খলিলকে আটক করবে সেনাবাহিনী? একজন তাসনিম খলিলের চেয়ে সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা দেশের জন্য বেশি কি করছে? আমরা কি মধ্যযুগে বাস করি যে আমাদের মত প্রকাশের অধিকার থাকবে না। তথ্য জানার অধিকার থাকবে না।

এই গ্রেফতার এরকম আরো প্রশ্ন, আরো বিষয়কে সামনে নিয়ে আসে। সেই বিষয়গুলো নিয়ে লিখুন। সহব্লগার তাসনিম খলিলের প্রতিবাদের বিরুদ্ধে সোচ্চা


তাসনিম খলিলের গ্রেফতার ও প্রতিবাদ

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: শনি, ১২/০৫/২০০৭ - ৩:৩১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

সহ ব্লগার হিসেবে তাসনিম খলিলের গ্রেফতারের প্রতিবাদ করাটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব।
তার আগে, দু'টো বিষয় নিশ্চিত হওয়া দরকার:

১. এক তার গ্রেফতার হওয়ার সংবাদটা যাচাই করা হয়েছে কিনা। আমাদের বন্ধু সহ-ব্লগার কোনো সাংবাদিক দয়া করে নিশ্চিত করুন।
২. কী কারণে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে? ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক কারণে নাকি তার রিপোর্টিং-য়ের জন্য?

সেইসাথে এটাও জানা দরকার যে তাকে কে গ্রেফতার করেছে, পুলিশ না সেনাবাহিনী?
কোনো পত্র-পত্রিকায় বা সংবাদ সংস্থার রিপোর্টে এ গ্রেফতারের খবর এসেছে কিনা?

যারা জড়িত তারা দয়া করে এগুলোর উত্তর খুঁজে বের করুন।
জরুরী অবস্থার কালে সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারণা নিষিদ্ধ তা'বলে সেনাবাহিনীকে আমরা মাথা দিয়ে দিত


আমার বাবার আমিই মা এবং আমার স্বামী আমারই সন্তান (উত্সর্গঃ সুমন চৌধুরী)

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: রবি, ০৬/০৫/২০০৭ - ৭:০৪অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


আমিই প্রথম এবং আমিই শেষ
আমিই সম্মানিতা এবং আমিই ধিক্কৃতা
আমিই পতিতা এবং আমিই পবিত্রা
আমিই স্ত্রী অথচ আমিই কুমারী
আমিই মাতা এবং আমিই কন্যা
আমিই আমার মায়ের সন্তান-সন্ততি
আমিই বন্ধ্যা এবং শত সন্তানের জননী
আমারই বিবাহ-উত্সব ছিল ভুবনখ্যাত
এবং আমিই কোনো স্বামী গ্রহণ করিনি

আমিই ধাত্রী এবং যে কিছুই ধারণ করে না
আমিই আমার প্রসব বেদনার শান্তনা
আমিই বর এবং আমিই কনে
আমার স্বামীই আমাকে জন্ম দিয়েছে
আমার বাবার আমিই মা এবং
আমার স্বা


নারী-ঈশ্বরকে মাটিচাপা দেয়ার জন্য শুধু পুরোহিতরা নয় প্রত্নতাত্ত্বিকরাও দায়ী

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: রবি, ০৬/০৫/২০০৭ - ৩:১১পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


(নারীকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে একক ঈশ্বরের প্রবক্তারা-৩)
মূল কথা ছিল নারীপ্রধান ‌বা মাতৃতান্ত্রিক একটা সমাজ যদি আদিকালে থেকে থাকে তবে সে সমাজে মাতৃমূর্তি বা নারী-ঈশ্বর বা দেবীদের উপাসনা হওয়ারই কথা। এখন আমরা একক ঈশ্বরের ধারণা পৃথিবীতে চালু হওয়া ও তার সাথে মহাদেবী বা নারী-ঈশ্বর পূজার বিরোধের সন্ধান করতে পারি।

বাইবেল ও কোরানে আদম-ইভের যে ঈশ্বরের গল্প আমরা পাই তার বয়স মানুষের চেয়ে অনেক কম। নবী মুহাম্মদকে আদমের ২৫ তম প্রজন্ম ধরে আদম ও তার সন্ত


নারীমূর্তি ভাঙায় ব্যস্ত পুরুষ ঈশ্বর (উত্সর্গঃ উত্স)

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: বুধ, ০২/০৫/২০০৭ - ৬:৪৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


(নারীকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে একক ঈশ্বরের প্রবক্তারা-২)

এই একটি বিষয়ে ধর্মে বিশ্বাসী ও অবিশ্বাসী পুরুষেরা একমত। মানুষের কখনও নারী-ঈশ্বর ছিল না। তাদের জোর দাবী ঈশ্বর সর্বদাই পুরুষ ছিলেন। অর্থাত্ সমাজে নারীর মর্যাদা এত উঁচুতে কখনও ছিল না যে মানুষ সৃষ্টিকর্তার কল্পনা করতে গিয়ে তাকে নারী ভাবতে পারে। অনেক প্রত্নতাত্ত্বিকরা দুনিয়ার গুহাচিত্র আর মূর্তির ধ্বংসাবশেষ ঘেঁটে শেষ কথা বলে দিয়েছেন যে এমন কোনো প্রত্নতাত্ত্বিক প্রমাণ তারা পাননি। পাওয়া নাই যে


নারীকে ক্ষমতাহীন করেছে একক ঈশ্বরের প্রবক্তারা-১ (উত্সর্গঃ জামাল ভাস্কর)

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: সোম, ৩০/০৪/২০০৭ - ৮:৪৮পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


সৃষ্টির অসীম রহস্যময়তা দেখে ভক্তিতে গদগদ হয়ে মাথা নোয়াতো অসহায় আদিম মানুষ। সৃষ্টির যত কর্মকান্ড তার মধ্যে সবচে জরুরি, তখনও মানুষের ব্যাখ্যা-অজানা আর গুরুত্বপূর্ণ ছিল মানব-জন্ম। (নারী আর পুরুষের মিলনের মধ্য দিয়েই ঈশ্বরকে বন্দনা করতো একসময় মানুষ। এই মিলন তখন ছিল উপাসনা, পবিত্র কর্ম। যখন নারীদেহ নাপাক ঘোষিত হলো তখন এই মিলন হলো নিষিদ্ধ আর পাপকর্ম।) আর এই অসম্ভব জটিল কর্মকান্ডটা ঘটতো নারীর উদরে; বিমুগ্ধ পুরুষের কাছে নারী ছিল তাই জীবনের আরেক নাম


মানুষের পয়গম্বর হয়ে ওঠার সুলুক-সন্ধান-৬(ক): পয়গম্বররা কি সিজোফ্রেনিক?

দীক্ষক দ্রাবিড় এর ছবি
লিখেছেন দীক্ষক দ্রাবিড় (তারিখ: শনি, ০৭/০৪/২০০৭ - ৫:০৯পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:


নবী ইজিকিয়েলের অস্বাভাবিক সব কাজকর্মের কথা আগের পর্বে বলা হয়েছে। যা থেকে নিউরোসাইন্সের গবেষকরা সিদ্ধানত্দে পৌঁছেছেন যে তিনি এপিলেপ্সিতে ভুগছিলেন। অন্যান্য নবীদের আচার-আচরণের বর্ণনা ও নিজের ঢোল-কীর্তন পড়ে অনুমান করা যায় যে আজকের পৃথিবীতে বাস করলে তাদেরকে আমরা মানসিক ব্যাধি হাসপাতালেই পাঠাতাম। এ বিষয়ে সাওনি পয়গম্বরের উদাহরণটা স্মরণ করিয়ে দিচ্ছি।

পয়গম্বরদের কালে তখনও এসব মানসিক রোগ আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু রোগটা ছিলো। অনেক জাতি-গোষ্ঠীতেই এরকম আ