হাতের তালুতে জমা আর্য আলোর দ্যুতি। রতি আর রেখার গানে
স্বর তোলে জীবের জীবন। আসন পেতে তুমি বসে আছো কবি,
এই ধ্যানী বৈশাখী ঝড়ে। নড়ে প্রাণের পাঁজর আর নাড়ায় জারুল
গাছটির প্রবীণ পাতা। খাতা খুলে লিখি নাম ; নন্দিত ভোরের গোত্র
সন্ধানে খুঁজি পথের প্রবাহ । দেহ জুড়ে এ এক নবীন আগুন। ঘুণ
পোকার মতো বিদ্ধ করে পংক্তিপরত । শরত, বর্ষা , বসন্ত কিংবা
শীতে। হেমন্তে হাসে ' ও আমার দেশের মাটি ' । খাঁটি পলির ব...
আজ শহীদ জননী জাহানারা ইমাম এঁর জন্মদিন। মা তিনি । এই জাতির শানিত
সন্তানদের।
তাঁর জন্ম ৩ মে ১৯২৯ । মৃত্যু ২৬ জুন ১৯৯৪।
এই প্রজন্মের প্রাণের আকুতিকে সামনে নিয়ে এনেছিলেন তিনি।
বলেছিলেন , ঘাতক-দালাল ,রাজাকার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই। বিচার করতে
হবে।
ছড়িয়ে পড়েছিল সেই দাবী। আজ তাঁরই স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে এই দেশে শুরু হতে
যাচ্ছে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া।
মা, শুভ জন্মদিন।
মা , ...
লাইনটা সোজা করে
দাঁড়ান। বিদায়ের ঝড়বিন্দু
কুড়াতে কুড়াতে এই দক্ষিণ
সমুদ্র করে যাবো ভ্রমন।আর
ঋতুর শাদাত্বকে রেখে যাবো
কালের আঁচড়। শিশুরা খেলতে
এসে পেয়ে যাবে চৈত্রের পুষ্পভগ্নাংশ
আর অমিত বৈশাখি ভোরের লালছটা ।
ছবি - শান্তা কেবরোনা
আর বুনি না ফেরার প্রিয় তাঁত
আর খুলি না ঘরের তাম্রতালা
জানি সবই মেকি ঢেউয়ের জল
সবই ফিকে, ধূসর শব্দমালা।
অথচ এই প্রেমের ভুবন জুড়ে
ছিল বীণা, বাজতো আলোর ছলে
কেউ নামতো পদ্মপুকুর মাঝে
কেউ কবিতা শুনতো কালের কলে।
কলের গানে বেজে যেতো গান
বাঁশরিয়ার দুপুর চেরা বাঁশী
ডাকতো কাছে আঁকাবাঁকা পথে
পড়শীরা ও দেখে যেতো আসি।
ডাঙা বুকে সেই নদীদের নাম
আমিও লিখে রেখে দিতাম পাশে
প্রতিবেশী ছিলাম কি...
শৃঙ্গারপত্র
=======
নাভী ও নাব্যতা পেয়ে ছুঁয়ে যায় চন্দ্রের মুখ।
খালি কলস হাতে পাঁজর সর্বস্ব একজন কিষাণী
মাড়ায় ঘাটের পৈঠা। কলস ভেসে যায়। তুলতে
গিয়ে সেও নামে জলে। আজ মাঘী পূর্ণিমা রাত।
জোয়ারের কথা নয়। তবু ফুলে ওঠে জলের কিনার।
ভাসায় শুকনো যমুনা। আহা ! জীবনের জৈব সেতার!
বেজে চলে ঝাউবনে শৃঙ্গারের শত জলদানা।
ফরগিভ আস, মি. জর্জ হ্যারিসন
ফকির ইলিয়াস
=========================================
স্বাধীন স্বদেশ অর্জনে আমাদের অনন্ত গৌরব, মহান মুক্তিযুদ্ধ। সেই মুক্তি সংগ্রামের ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অজস্র ঘটনাবলী।
BANGLADESH, BANGLADESH
WHERE SO MANY PEOPLE ARE DYING FAST AND IT SURE LOOKS LIKE A MESS
I’VE NEVER SEEN SUCH DISTRESS
NOW WON’T YOU LEND YOUR HAND AND UNDERSTAND
RELIVE THE PEOPLE OF BANGLADESH.
১৯৭১ সালের ১ আগস্ট নিউইয়র্কের প্রখ্যাত ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেনে ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এর উপরোক্ত গানের বাণীগুলো জাগ...
রত্নের রহস্য নিয়ে থাকো , আর রাখো বিছিয়ে আঁচল
এরকম এই ঘাটে কতোবার ছুঁয়েছি যে জল
তার হিসেব মনে আছে আমার , কৌশলে
ধারণ করে পরিচিত জলধ্বনি রঙ , পিছু ফেলে
সেইসব শকুনের নগ্ন নখর
পরিখা পেরিয়ে এসে আমি ও, সাজিয়েছি উনুন প্রহর।
রূপের আয়না ধরে রাখো ,আমি দেখি মুখ- সান্ধ্য সুরের
যেভাবে প্রণতি গাই সূর্যঘেরা নমিত দূরের
কিংবা কাছের মাটির কাছে রেখে যাই প্রিয় অভিপ্রায়
এ গাঁয়ে ঝড়ের পাখি গা ঝেড়ে যেভা...
একটি হরিণ বুকের ভেতর পুষি
একটি শালুক জলহাওরের মূলে
একটি শালিক রোদমহলে ওড়ে
একটি সাগর পোহায় নগ্ননিশি
কার বয়নে বিকোয় চাঁদের ছায়া
কে ভুবনে রাখে ঋতুর স্মৃতি
ঘোরের ঘাসে ভোরের ছবি দেখে
দূরে হাসে শুক্লা ও অদিতি !
যাবার আগে স্রোতের আয়ু জানে
মাঘ মিশেছে মন্ত্রদের উজানে !
জন্মের অধিক যদি থাকে কোনো অমর বিস্ময়
সবুজের পুস্পকোষে আলোরেখা ঢেউ তুলে বলে
এ মাটির স্মৃতিভূমে তাঁর ছায়া দীপ হয়ে জ্বলে
এখনো আকাশ নুয়ে বলে জয় - বাংলার জয়।
লগ্ন রোদের মন পোড়ে , আর পোড়ায় আষাঢ়
পরিচয় খুঁজে খুঁজে নদী যায় দক্ষিণের বনে
ফিরে এলে দেখা হবে মানচিত্রে, গ্রহের মৈথুনে
বুকের উত্তাপে বাড়া উদ্ভাসিত প্রজন্মের হাড়।
ঋতুর বৈচিত্র্যে লেখা যে জীবন মানুষের গানে
ভরে ওঠে প্রতিদিন সুখ...
এস্রাজটা ধরে রাখতে পারোনি
তাতে ক্ষতি নেই,
জমা করে রাখ ভাঙা টুকরোগুলো
আর তাকিয়ে দ্যাখো
নাস্তিক সমুদ্রের চোখে কত জল,
কত আগুন ব্যগ্র বাঘের তনুতে
চাঁদকে ছুঁবে বলে আমাদের ছাদ ও
এখন বাড়াচ্ছে হাত।
আমার হাত কখনই প্রশস্ত ছিল না
বরং এখানে , এই নদীঘাটে মড়ার
মুখ দেখে আমি সনাক্ত করতে শিখেছি
শ্মশানের পরিচিহ্ন
পরিত্যক্ত প্রেমের হাড়গোড়
চারপাশে যে শ্রমণ জীবন আমাকে
লালন করে, আমি শুধুই থেক...