'71-এর 11 মে ঝালকাঠি জেলার নলছিটিতে সংগঠিত হয় ভয়াবহ এক গণহত্যার ঘটনা। ঘটনার 3 দিন আগে পাকহানাদার বাহিনী নলছিটি থেকে বেশ কিছু সংখ্যালঘু নারী-পুরুষকে ধরে এনে থানায় আটক রেখে অমানুষিক নির্যাতন-নিপীড়ন চালায়। 8 মে আটক করা এসব স্বাধীনতাকামী নৌকাপন্থীরা একটাই অপরাধ করেছিল পাকহানাদার বাহিনীর স্থানীয় দোসর রাজাকার হওয়ার যোগ্যতা তাদের ছিল না। কারণ ওরা ছিল সংখ্যালঘু হিন্দু।
ঘটনার দিন 11 মে পাকহানাদার বাহিনী রাজাকার সহযোগে বন্দীদের নলছিটির তামাক পট্টির খা
ওলড টেস্টামেন্টে আমাদেরকে যে এ্যাডাম ও ইভের গল্প শোনানো হয়েছে তাই নতুন ভঙ্গিতে বর্ণনা হয়েছে কোরানে। এ্যাডাম হয়েছেন আদম, ইভ হয়েছেন হাওয়া। কুরাইশ গোত্র ইহুদি বা খ্রিস্টান কোনো ধর্মেই বিশ্বাসী ছিল না, সুতরাং এই গল্প তাদের কাছে নতুন। কিন্তু এ্যাডাম ও ইভের গল্প পৃথিবীর অন্য অংশের মানুষের কাছে বেশ পুরনো। চলুন দেখা যাক, প্রথম পুরুষের সাথে নারীকে সৃষ্টির কী গল্প আছে কোরানে:
[ইংলিশ]ঙ সধহশরহফ! ইব ফঁঃরভঁষ ঃড় ুড়ঁৎ খড়ৎফ, ডযড় পৎবধঃবফ ুড়ঁ ভৎড়স ধ ংরহমষব ঢ়ব
মার্চ মাস আমাদের জাতির ইতিহাসে অত্যন্ত গৌরবোজ্জল একটি মাস। আর 26 মার্চ হচ্ছে সেই দিন যেখান থেকে বাঙালি জাতি শুরু করেছিলো তার স্বাধীনতার সংগ্রাম। নয়মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও বহুত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে আমাদের পূর্বসূরিরা ছিনিয়ে এনেছেন মুক্তির সূর্য। আমরা সেই স্বাধীন দেশে মুক্ত আলো-বাতাসে বড় হচ্ছি। উপভোগ করছি স্বাধীন দেশের অপরিসীম সুযোগ-সুবিধা। আজ 26 মার্চে আসুন আমরা প্রাণ খুলে স্মরণ করি এই দিনটিকে। রোমন্থন করে আরেকবার বুঁকে গেঁথে নেই উদ্দীপনার মন
মার্চ মাস আমাদের জাতির ইতিহাসে অত্যন্ত গৌরবোজ্জল একটি মাস। আর 26 মার্চ হচ্ছে সেই দিন যেখান থেকে বাঙালি জাতি শুরু করেছিলো তার স্বাধীনতার সংগ্রাম। নয়মাসের রক্তক্ষয়ী সংগ্রাম ও বহুত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে আমাদের পূর্বসূরিরা ছিনিয়ে এনেছেন মুক্তির সূর্য। আমরা সেই স্বাধীন দেশে মুক্ত আলো-বাতাসে বড় হচ্ছি। উপভোগ করছি স্বাধীন দেশের অপরিসীম সুযোগ-সুবিধা।
আজ 26 মার্চে আসুন আমরা প্রাণ খুলে স্মরণ করি এই দিনটিকে। রোমন্থন করে আরেকবার বুঁকে গেঁথে নেই উদ্দীপনার
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার সূর্যমণি গ্রামটি আজো ভুলতে পারেনি '71-এর ভয়াবহ নির্মম স্মৃতির কথা। যুদ্ধ শেষ হওয়ার মাত্র মাসখানেক আগে নভেম্বর মাসের 6 তারিখ রাতে অর্ধ শতাধিক রাজাকার সদস্যের একটি দল মঠবাড়িয়া ও আঙ্গুলকাটা গ্রামে হামলে পড়ে। রাজাকাররা এখান থেকে ঘুম থেকে উঠিয়ে 37 জন সংখ্যালঘুর একটি দলকে গর"-ছাগলের মতো দড়িতে বেঁধে নিয়ে যায় কিটিকাটা ইউনিয়নের সূর্যমণি গ্রামের বাঁধের ওপর। রাজাকাররা 37 জন সংখ্যালঘুর এই দলটি থেকে বিত্তশালী 7 জনকে টাকার বিনি
একাত্তরে পাক হানাদার বাহিনী প্রতিটি জেলায় থানাকেন্দ্রিক বধ্যভূমি সৃষ্টির পাশাপাশি গ্রাম পর্যায়েও এর বিসত্দার ঘটিয়েছে। কোনো কোনো থানায় 4-5 এমনকি 6-7টিরও অধিক বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে। আর থানা পর্যায়ের এসব বধ্যভূমির মোট হিসাব মিলিয়ে জেলা পর্যায়ে বধ্যভূমির সংখ্যা দাঁড়াচ্ছে নিদেনপক্ষে 30 থেকে 40টি। এমনই একটি জেলা গাইবান্ধা। এই জেলায় 30টি বধ্যভূমির সন্ধান পাওয়া গেছে। আর অনাবিষ্কৃত বধ্যভূমির সংখ্যা কতো তা আজো জানা সম্ভব হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধ-উত্তর
বগুড়া জেলার করতোয়া নদীর তীবরবতর্ী একটি গ্রামের নাম চেলোপাড়া। একাত্তরের 23-24 এপ্রিল পাক হানাদার বাহিনী চেলোপাড়া, ইছাইদহ, নাড়িওলি ও আকাশতারা গ্রাম আক্রমণ করে প্রায় দেড়শ নিরীহ নারী-পুরুষ, শিশু যুবককে ধরে এনে চেলোপাড়ার শানত্দি নার্সারির পাশে নির্মমভাবে গুলি করে হত্যা করে।
সিলেট জেলার বালাগঞ্জ থানার আদিত্যপুর, দামপাড়া, চাঁনপুর, ইলাশপুর, তাজপুর, মনতলা, বুরুল্লা ও পশ্চিম সিরাজনগরে পাক হানাদার বাহিনী হামলা চালায় একাত্তরের 14 জুন। পাক বাহিনী ও তাদ
একাত্তরে পাকসেনারা নৃশংস তাণ্ডবের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে যতোগুলো বধ্যভূমি সৃষ্টি করেছে তার অন্যতম একটি হলো কুমিল্লা জেলার লাকসাম রেল জংশনের বেলতলী বধ্যভূমি। এই বধ্যভূমিতে 8 থেকে 10 হাজার নিরীহ-নিরপরাধ বাঙালিকে পৈশাচিক অত্যাচারের মাধ্যমে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে রাখা হয়। এই গণহত্যার শিকার হতভাগ্যরা অধিকাংশই চাঁদপুর, কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের বাসিন্দা। বেলতলীর এই বধ্যভূমিটি প্রায় 4 হাজার বর্গমিটার সীমানা বিসত্দৃত।
মূলত, এপ্রিলের শুরুতেই রেল জ
একাত্তরের 7 মে যশোর জেলার তেঘরিয়া গ্রামে ঘটে ভয়াবহ এক নারকীয় গণহত্যার ঘটনা। ঐ দিন পাকহানাদার বাহিনী যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে এসে পুরো তেঘরিয়া গ্রামটি জ্বালিয়ে দেয়। এর কারণ হিসেবে জানা যায়, আগেরদিন 6 মে ভোরে 4 পাকহানাদার যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে এসে 4 কিলোমিটার দূরবতর্ী তেঘরিয়া গ্রামে ঢুকে এক মহিলাকে ধর্ষণ করে। মহিলার স্বামী তার চোখের সামনে ঘটে যাওয়া এই মর্মানত্দিক ঘটনার প্রতিবাদ জানালে হানাদার পাকবাহিনী তাকে বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্য
[প্রথমেই বলে নেয়া ভালো যে, কারো প্রতি বিরাগভাজন হয়ে বা কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এই প্রবন্ধটি আমি লিখছি না। যারা ধর্ম সম্পর্কে অতিরিক্ত সংবেদনশীল, অল্পেই মনে আঘাত পান ও মুষড়ে পড়েন, সময় ও যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ধর্মের সংশোধনে বিশ্বাসী নন তাদের এই লেখা না পড়াটাই উচিত। তথ্য ও যুক্তি দিয়ে যারা ধর্মকে জীবন-যাপনের সাথে মেলাতে ইচ্ছুক তাদেরকে স্বাগতম জানাই। আমার লেখায় উল্লেখ করা সব তথ্যের সূত্র দিতে চেষ্টা করবো। তবে সবাই জানেন এ ধরনের তথ্যের সূত্র খু