[justify]বার চারেকের মত মিলান যাওয়া হলে ও লাস্ট সাপারটা দেখি দেখি করে ঠিক দেখা হয়ে উঠেনি। প্রথমবার জানা ছিল না বিধায় অগ্রিম টিকেট না করার জন্য শেষ মুহূর্তে আর টিকেট পাওয়া গেলনা। ঠেকে গিয়ে শিখলাম যে এই মুরাল দেখতে হলে মেলা আগে থেকে বুকিং দিতে হবে, লোকজন নাকি মাস চারেক আগ থেকেই বুক করে ফেলে। যাই হোক এবার কনফারেন্স এর সুবাদে লাস্ট সাপার দেখা হবে এই আশায় বসে ছিলাম। কিন্তু সেই আশার গুড়ে বালি দিয়ে ইমেইল
[justify]
এইবার আমেরিকা আসার মূল উদ্দেশ্য সোশাল মিটিং হলে ও এর মাঝেই কেমন করে যেন ওয়েস্ট কোস্টের দিকে একটা রোডট্রিপ এরেঞ্জ হয়ে গেল। সান ফ্রান্সসিস্কোতে কনফারেন্সে যোগ দিতে আসা রাজু আর তিন্নি ছাড়া ও নিউ ইয়র্ক থেকে রনিকে ও পাওয়া গেল এই ট্রিপে। এইবারের ট্রিপের কোন প্লানই আমার করা হয়নি, পাঁচদিনের রোডট্রীপে টাচ এন্ড গো করে যেসব জায়গা দেখা হলো তা নিয়েই আজকের ছবি ব্লগ। সান-ফ্রান্সিস্কো থেকে শুরু করে ইয়োসোমিতে ন্যাশনাল পার্ক দেখে বিশপ হয়ে ডেড ভ্যালির মাঝ দিয়ে ঘুরে এসে গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন, উইপটকি পার্ক হয়ে সিকুইয়া পার্ক দেখে সোজা সান ফ্রান্সসিস্কোতে এয়ারপোর্টে এসে এই ট্রিপের পরিসমাপ্তি। সব মিলিয়ে প্রায় আড়াই হাজার মাইল এর মত ড্রাইভিং করতে হয়েছে সব জায়গা ঘুরে দেখতে।
[justify]প্লেনের ছোট্ট জানালা গলে আসা রোদের ছটায় ঘুম ভেঙ্গে গেছে কিছুক্ষণ আগেই।এয়ারক্রুরা ট্রলিতে খাবার নিয়ে সকালের ব্রেকফাস্ট দিতে শুরু করে দিয়েছে ততক্ষণে।এলোমেলো ভাবে ঘুমানোতে ঘাড়, হাত পা কেমন যেন ধরে এসেছে, ঘুম ভেঙ্গে ভিভিয়ানের কথা মনে হতেই মন খারাপ হয়ে গেল। মেয়েটা এখন নিশ্চয় ফ্রাঙ্কফুর্টের ফ্লাইটে, একা একা না জানি কি করছে। যাচ্ছি আবুধাবি থেকে জার্মানির ডাশেলডর্ফ। এত লম্বা প্লেন জার্নি এর আগে করেছি বলে মনে পড়েনা, সব মিলিয়ে সাড়ে একত্রিশ ঘণ্টা। সস্তায় টিকেট কাটতে গিয়ে, সিঙ্গাপুর থেকে আবুধাবি আর ডাশেলডোর্ফ হয়ে নিউ ইউর্ক যেতে হচ্ছে। সীমার জন্য এই প্রথম এত বড় জার্নি, এশিয়া থেকে ইউরোপের উপর দিয়ে আমেরিকা মহাদেশের দিকে যাওয়া। একটু টেনশন লাগছিল টিকেট কেটে ফেলার পর, তবে ওর স্ট্যামিনা বেশ ভালো, সমস্যা হবে না বলেই ধরে নিয়েছিলাম।
[justify]খালামনি, সকাল দশটায় কি কামরুলকে আবার নতুন করে বানিয়ে হাওড়ায় এনে দিবে ওরা। আমি কিছু না বলে যায়ানের দিকে ফিরে তাকালাম একবার। এই ছেলের হাজারটা প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে আমার দাঁত ভেঙ্গে যাচ্ছে প্রায়। জেরী ওকে কিভাবে সামলায় আল্লাহ মালুম। আমি কিছু বলবার আগেই পাশ থেকে জেরী বলে উঠলো বাবা, ওটা কাম্রুল না কামরূপ হবে। এরপর ও যায়ান কামরুলের নামে হাবিজাবি বকে যেতে লাগলো। সেদিকে ভ্রূক্ষেপ না করে চেয়ারে
[justify]ছোটবেলা থেকেই সব কিছুতে বড্ডো তাড়া আমার। এই তাড়াহুড়ার ঠেলায়, কাকের ঠেং বকের ঠেং হাতের লিখা প্রসব করে দিয়ে সব উত্তর লিখে এসে ও নাম্বার পেতাম কম। এই জন্য বাবার বকা ছিল অবধারিত। আস্তে আস্তে সুন্দর করে লিখে দিয়ে আসলে ভাল নাম্বার পাওয়া যায় জানতাম, কিন্তু ঐ যে তাড়াহুড়া করা এক্কেবারে আমার হাড়ে হাড়ে ঢুকে গিয়েছিল। কলেজে উঠার পর রুলটানা কাগজে নতুন করে ইংরেজি এলফাবেট শিখতে হয়েছিল সিস্টার জোসেফ মে
[justify]মাদ্রিদ শহরটাতে এদিক সেদিক উঁকি মেরে দেখে সেদিনকার মত হোটেলে ফেরা হল। লম্বা জার্নি করে আসাতে সবাই কমবেশি ক্লান্ত।টুর গাইড তানিয়া জানিয়ে দিল সকালের নাস্তা সাড়ে সাতে,আর লাগেজ কালেকশন সাত-টায়, সে হিসাবে যেন ঘুম থেকে উঠা হয়। ঘড়িতে মাদ্রিদের সময় সেট করে এলার্ম দিয়ে ঘুমুতে গেলাম।
[justify] বয়স বাড়াতে পারলে খুশী হয় এমন মানুষ বোধহয় খুব একটা মেলেনা। আর মেয়েদের বয়স নিয়ে তো কথা বলাই যাবেনা, তবে আমার হয়েছে এক্কেবারে উল্টা। আঙ্গুলের কড়ে দিন তারিখ গুনে গুনে বয়স কত হল বলে দিতে পারি সোজাসাপ্টা। দেখতে ছোট লাগলে ও আমি মানুষটা যে বিশাল বড়, সেটাই বুঝিয়ে দেয়া আর কি!। দেশের লোকজন অবশ্য এখন ও দেখলে স্কুলের খুকী বলে চালিয়ে দিতে চায়। তবে অফিসের লুকজন জব করি জানি বলেই
[justify]
সেই ছেলেবেলায় কবে কোন এক অপ্রকৃতগ্রস্ত মহিলা বলেছিল, আমার নাকি বিদেশযাত্রা নাই কপালে, শুনে যারপরনাই হতাশ হয়েছিলাম। কেন জানি হাত দেখতে পারে এমন কাউকে পেলেই জিজ্ঞেস করতাম আমার-বিদেশযাত্রা আছে কি না। এত কিছু থাকতে বিদেশযাত্রার কথাই কেন জানতে চাইতাম ঠিক নিজে ও বলতে পারবোনা। এই পাগলামি করেছি বুয়েটে পড়ার সময় ও, এক বন্ধু একবার বলেছিল তার কোন এক বন্ধু হাত দেখতে পারে, তার কথা নাকি বেশ ফলে ও যায়। কিন্তু তাকে হাত দেখাতে হলে আবার অমুক জায়গায় তার সময়মত যেতে হবে। সেখানে ও গিয়েছিলাম, সে ও নাই বলেছিল। সবাই কমবেশি নাই বলতো। এই না কে হা করতেই কি না জানিনা আমার বারবার ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করে। পাগলের মত খালি ঘুরতে ইচ্ছে করে। মনে হয় এই বিশ্বের এক ফালি জায়গা ও যেন বাদ না যায় যেখানে আমি পা ফেলি নাই।
[justify]অফিস থেকে ফেরার সময় হলে ও আজকাল তেমন তাড়া লাগেনা মনে। সবাই কেমন ছটা বাজতেই বাসার দিকে ছুট দেয়, শুধু আমার মত হতভাগা যারা অনেকের মাঝে থেকে ও এই শহরে বড্ড একা তারাই অফিস থেকে বের হতে গড়িমসি করতে থাকে। আজকে ও বের হতে হতে ঘড়ির কাটা সাড়ে ছটার ঘর পেরিয়ে সাতের দিকে চলে যায়। ব্যাগ কাঁধে নিয়ে হেড-ফোন কানে গুজে দিয়ে ফোনে ডেভিড গেরেটকে খুঁজতে থাকি রোজকার মত।বাসস্টপে আসতে আসতে গ্যারেট সাহেব
[justify]কদিন হল বাড়ি খুঁজে খুঁজে হয়রান হচ্ছি। কারণ আমার ডোরপোক বাড়িওয়ালা আমাকে একমাসের নোটিসে বাসা ছেড়ে দিতে বলেছে। শুনেই আমার যথারীতি মাথা আউলা। ঈদের তিনদিন বন্ধে মোটামুটি জনা পঞ্চাশ এজেন্টকে ফোন করে করে একবেডের বাসা পেলাম অবশেষে। তো এই শনিবারে বাড়িওয়ালা এসেছে আমার সাথে কথা বলতে, এমন হঠাত করে বাসা ছেড়ে দিতে বলায় সে বেজায় দুঃখিত সেটা জানাতে। এই কথায় সেই কথায় হুট করে জিজ্ঞেস করছে আম