১.
'আশি টাকায় দিবি? এই জুতাতো একসপ্তাও যাইবনা, দুইদিন পরলেই ছিড়া যাইব।' একটু সাহস নিয়েই ছেলেটিকে বলে ফেললাম।
ছেলেটার মুখের কথা যেন আটকে গেল। তার পরপরই ধাতস্থ হয়ে তুবড়ি ছোটানোর মতো করে বলল, 'আশি ট্যাকায় জুতা? জুতার ফিতাও তো পাইবেননা!'
ফুটপাথের এখানে সেখানে কোমরে হাত দিয়ে দাঁত খোচাতে থাকা বেকার টাইপের যে ল...
৩.
দুপুরে খেতে বসে কবুল বারবার আফসোস করছিল, কারণ যখন সে নিয়ত করেছিল বুড়োর থেকে পয়সা নেবেনা তখন তার ধারনা ছিল বুড়ো না হয় বিশ-পঁচিশ টাকার খাবারই খাবে, কিন্তু কপালের কি ফের, তাকে ছেড়ে দিতে হলো আড়াইশ টাকা! আড়াইশ' টাকা তো যা তা কথা না! দোকান চালিয়ে সারাদিনে তার লাভই হয় তিন থেকে চারশ' টাকা, সেখান থেকে প্রায় পুরোটাই আ...
১.
কাউন্টারের দেয়াল বেয়ে কালো পিঁপড়াটাকে আবারও উঠে আসতে দেখে 'দি নিউ বিসমিল্লা হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্টে'র ম্যানেজার-কাম-মালিক কবুলের মেজাজটা খিঁচড়ে গেল। সিগারেটের প্যাকেট দিয়ে দলাপাকানো কাঠির মতো জিনিসটা দিয়ে এই নিয়ে সে চতুর্থবার পিঁপড়াটাকে নিচে ফেলেছে, এবারেরটা হবে পঞ্চমবার, তবে হাতে কোন কাজ না থাকা...
১.
আগের তিনপর্বের আলোচনার সারসংক্ষেপকে এভাবে প্রকাশ করা যায়:
ছোট্ট একটা ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেনাশাসনের বিরুদ্ধে ছাত্রসমাজের যে প্রতিবাদ ফুঁসে উঠেছিল, আপাতঃ ত্বরিৎ-সিদ্ধান্তে সেটার নিষ্পত্তি করতে পারলেও, আমলাতান্ত্রিক নাকউঁচু মনোভাবের করণে সরকার সেই নিষ্পত্তির ফল খেতে পারেনি;
রাজনৈতিক দলেরা সুযো...
১.
এখন কথা হলো, রাজনৈতিক দলগুলো যে এই প্রাথমিক জনরোষের উপর ভর করে একটা আন্দোলন গড়ে তুলতে চেয়েছিল, তাতে তাদের দোষ কতটুকু? সহব্লগার হাসান মোরশেদের যুক্তিটা ধার করে বলছি, এটাই রাজনীতির গতিপ্রকৃতি। কোথাও লেখা নেই যে একটা রাজনৈতিক দলকে কোন আন্দোলন গোড়া থেকেই শুরু করতে হবে, যেকোন অবস্থার সুবিধা তারা নিতেই পার...
যে জনরোষটা ছিল তার মেকনিজম কি?
পরিষ্কার করে অনেকেই হ্যতো ব্যাখ্যা দেবেন, কিন্তু সবব্যাখ্যাই যে সবাই গ্রহন করবে তাও নয়। তার চেয়ে কি ব্যাখ্যা থাকতে পারে সেগুলোকে জড়ো করে, তারপর কোনধরনের সমাধানে গেলে সব ব্যাখ্যার সাপেক্ষে ভাল কিছু হয় সেরকম ইউটোপিক চিন্তা করে দেখা যায়। যদিও লিখতে গিয়ে নিজেই টের পাচ্ছি সে...
[লেখাটা অনেক বড় হবার সম্ভাবনা আছে, মনের ভেতর অনেক এলোমেলো কথা জমে আছে; ঠিকভাবে উগড়ে দিতে পারলে শান্তি পেতাম]
*******************************************
১.
দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমার ব্যাখ্যায় দেশের মানুষ দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেছে বলা যায়। এখানে আমি আমার ব্যাখ্যায় শব্দটার উপর জোর দিতে চাই যেজন্য সেটা ব্যাখ্যা করছি নীচে।
কারণ...
ইদানিং সায়েন্সব্লগ নামে একটা নতুন সিরিজ শুরু করছিলাম, ভাবলাম কয়েকদিন চালাব; কিন্তু এরমধ্যে দেশের অবস্থা টালমাটাল, এমন সময় বিজ্ঞান ধুয়ে কিছু আসবেনা। তারচেয়েও বড় কথা, আজকে লিখতে গেছিলাম যে বিষয়টা নিয়া, সেইটা ভাবতে গিয়া আমগোর জলপাই মামগোর হেভী মিল পাইলাম।
আজকে ভাবছিলাম লিখব প্রফেসর গেইজের নিউরোজেনেসিস...
এর আগের দুই পর্বে চোখাচোখি আর চোখটিপ নিয়ে কথা হচ্ছিল, শব্দদুটোতেই বেশ খানিকটা রোমান্টিক ভাব আছে, সত্যি বলতে, শুধু রোমান্টিক না তার সাথে কিছুটা দুষ্টুমিও যুক্ত আছে শব্দদুটোতে। তেমনি আরেকটি শব্দের আবির্ভাব হলো লেখাটিকে এগিয়ে নিতে গিয়ে, 'ছলাকলা'।
যদিও সিরিয়াস প্রেমিকমাত্রই শব্দটির মধ্যে দুষ্টুমির চেয়ে ...
চোখটিপের আর পলক পড়ার মাঝে কি পার্থক্য? যেকাউকে প্রশ্নটা করলেই ত্বরিৎ জবাব চলে আসবে, 'চোখটিপ একচোখে দেয়।' এখন যদি ত্যানা প্যাঁচাই, যদি বলে, 'কারও যদি শুধু একচোখেই পলক পড়ে, তাহলে?' ... সমস্যা নেই, উত্তর আছে ...'সময়ের দৈর্ঘ্য' ... চোখের পলক নিমিষেই পড়ে ... চোখটিপ বা উইংক দিতে হয় একটু সময় নিয়ে।
মনে করার চেষ্টা করুন প্রথম ...