-এইডা কেমায় সম্ভব, আমার মাথায় খ্যালে না, বাবা!
বৃদ্ধ মাথা নাড়াতে থাকে, ক্রম-পুঞ্জিভূত বিস্ময়ের ভার সইতে না পেরে কেমন বিহ্বল দেখায় তাকে! আশ্চর্য, এই বয়সেও শিশুর মত করে বিস্মিত হতে পারে সে!
পাশেই বসা কুড়িতে পড়া ছেলের বউ এদিকে হাসতে হাসতে শ্যাষ! কত ঢং যে জানে বুইড়া তার বুইড়া হয়ুরে!
বাড়িতে আরও কতগুলি মেয়ে ছিল, তবু ফাতেমাই ছিল সেরা, আর এ নিয়ে বিন্দুমাত্র সন্দেহ দেখায়নি কেউ! তাই যখন এক দুবাই-ফেরত ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে হুট করে বিয়ে হয়ে গেল, ভ্রু-টা পর্যন্ত কোঁচকালো না কেউ! বরং ঈদ-পার্বণ সামনে রেখে ফাতু যখন সোনায়-দানায় থলথল হয়ে বাড়ি আসতো, তখন মেয়ের উপচানো সুখে সবারই চোখ জুড়িয়ে যেত, শোকর-গুজরানও চলত পাল্লা দিয়ে, “হইব না? আল্লাহ্র নিজের হাতের জিনিস যে!”
ও এসেছিল আমাদের বাড়িতে হাফপ্যান্ট পরে। ওর গায়ে ফ্রকের বদলে ছিল স্যান্ডো গেঞ্জি। বাবার গেঞ্জিটাই গায়ে চাপিয়েছিল কিনা কে জানে, নইলে পাঞ্জাবির মত ঝুল ছিল কেন গেঞ্জিটার?
এক মনে সবুজ দেখতে দেখতে হঠাৎ বিষম খান কামাল সাহেব। সাইড উইন্ডোতে ভেসে উঠে এক পঞ্চাশোর্ধ মহিলার প্রতিচ্ছবি, মস্ত এক বস্তা মাথায় করে কই যেন চলেছেন, ঝুঁকে ঝুঁকে, ধুকে ধুকে। কামাল সাহেবের দ্রুতগতির প্রাইভেট কার মাত্র এক ঝলক বন্দী করতে পেরেছিল এই আপাদমস্তক করুন দৃশ্যটির, পঞ্চাশোর্ধা দৃশ্যপট থেকে তিরোহিত হন নিমিষেই, কিন্তু রেখে যান এক দীর্ঘস্থায়ী ধারাপাত, কামাল সাহেবের কোমল অন্তঃকরণে। অচেনা-অজানা ঐ মধ