অণু দা,
আপনার প্রতি কৃতজ্ঞতার শেষ নাই আমার, কারণ বেসিক্যালি আপনার পোস্ট পড়েই প্রকৃতির প্রেমে পড়ে গিয়েছিলাম। এখনো যখন সকাল বেলা কফি নিয়ে বের হই ক্লাস করব বলে, ক্লাসের কথা ভুলে গিয়ে খরগোশের দিকে তাকিয়ে থাকি, আপনার কথা মনে হয়। আপনার পোস্ট না পড়লে ওদের কে নিয়ে এত্ত এত্ত চিন্তা করতাম না।
খুব ভাল থাকুন আপনি। অনেক অনেক পোস্ট দিয়ে যান।
নিশিতা
শঙ্কর ভুলে গেছে চারপাশের সব আসবাব-পত্র, আফ্রিকা দেশটা, তার রেলের চাকরী, মোম্বাসা থেকে কিসুমু লাইনটা, তার দেশ, তার বাবা –মা- সমস্ত জগৎটা শূন্য হয়ে গিয়ে সামনের ওই দুটো জ্বল-জ্বলে আলোর দানায় পরিণত হয়েছে, তার বাইরে শূন্য! অন্ধকার! মৃত্যুর মত শূন্য, প্রলয়ের পরের বিশ্বের মত অন্ধকার !
বনভোজনের রফা করতে করতে শেষ পর্যন্ত লিস্টিটা যা দাঁড়াল তা হচ্ছে এই-
খিচুড়ি ( প্যালা রাজহাঁসের ডিম আনবে বলিয়াছে)
আলু ভাজা ( ক্যাবলা ভাজিবে)
পোনা মাছের কালিয়া ( প্যালা রাঁধিবে)
আমের আঁচার ( হাবুল দিদিমার ঘর হতে হাত সাফাই করবে)
রসগোল্লা, লেডিকিনি ( ধারে ম্যানেজ করিতে হইবে)
লিস্টি শুনে আমি হাঁড়িমুখ করে বললাম, ওর সাথে আরেকটা আইটেম জুড়ে দে – টেনিদা খাবে !
নরকেও মৃত্যু নেই--প্রীতি নেই স্বর্গের ভিতরে;
মর্ত্যে সেই স্বর্গ নরকের প্রতি সৎ অবিশ্বাস
নিস্তেজ প্রতীতি নিয়ে মনীষীরা প্রচারিত করে।
এমন কথা লিখেছেন বলেই তো তিনি জীবনানন্দ, যে কথাগুলো সাথী থাকে আসমুদ্রহিমাচল, উত্তর সাগর থেকে দক্ষিণে দ্বীপে, একটা বিবর্ণ খড়কুটো থেকে গুটিসুটি মেরে থাকা আকাশের চাঁদে।
অন্য এক আকাশের মত চোখ নিয়ে
আমরা হেসেছি,
আমরা খেলেছি;
শুনেছি আমার জন্মের সময় পৃথিবীতে এক দেশ ছিল, যাকে ডাকা হত যুগোশ্লাভিয়া নামে, অনেকে আবার বলত ইয়ুগোশ্লাভিয়া। সেখানে স্লাভ জাতিগোষ্ঠীর মানুষেরা থাকত বলেই জানতাম, বছর কয় পরেই শুনি সেই দেশ ভেঙ্গে বেশ কটা আলাদা আলাদা রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে, চলেছে সেখানে রক্তক্ষয়ী লড়াই, গণহত্যা, যুদ্ধের নৃশংসতা। সাবেক যুগোস্লাভিয়াসহ আরও কিছু ভূখণ্ড নিয়ে বলকান পর্বতমালা থেকে শুরু করে দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বেশ কিছু