ইস্তাম্বুলের মাঝখান চিরে চলে গেছে ইতিহাস বিধৌত বসফরাস প্রণালী, জলের মাঝে একটি সরু আঙ্গুলের মত অনুপ্রবেশ ঘটেছে গোল্ডেন হর্নের, তার পাশের এক জমজমাট পানশালায় তুর্কি বন্ধুদের সাথে ঢুকেছি মাছ ভাজা আর পানীয়ের তাগিদে। বাহিরে ডিসেম্বরের ধারালো বাতাস, ভেতরটা উষ্ণ হয়ে আছে খাবারের গন্ধে আর হুক্কার ধোঁয়ায়। অর্ডার নিতে বেয়ারা এসে আলাদা চামড়ার দেখেই হবে, বেশ কৌতূহল প্রকাশ করে বন্ধুত্বপূর্ণ হাসি দিয়ে বল
কাজীদা ( কাজী আনোয়ার হোসেন ) যদি বিন্দুমাত্র জানতেন যে বাংলাদেশের মানুষ তাকে কী পরিমাণ ভালবাসে!
উনার উপরে সচলায়তনে শেষ লেখাটি প্রকাশিত হবার পরে এক পাগল ভক্ত চিঠি লিখেছিল (অনুমতি সাপেক্ষে সেটি এখানে দেওয়া হল)---
ভাই,
পাহাড়ে যারা যান তাদের মন পাহাড়ের চেয়েও উঁচু হবেই বলে আমরা ভেবে নিই, কিন্তু কথাটা সত্য নয়। পর্বতারোহীর অনেক জালিয়াতি ধরা পড়েছে যুগে যুগে, মিথ্যা খ্যাতির লোভে, স্পন্সরের টাকার জন্য, অসফলতার দায়ভার এড়াতে অনেকেই পাহাড় চুড়োয় না পৌঁছেও বলে দেন- আমরা শীর্ষে !
বাংলাদেশে সমান বয়সী আমার এক বড় ভাই ফোন করে ভেউ ভেউ করে কাঁদছেন, ৯০তে এরশাদের বিরুদ্ধে রাজপথে ছিলেন তিনি, গণ আদালতের সময় উপস্থিত ছিলেন সর্বভাবে-
এই লজ্জা জাতির, এই কান্না আমাদের--
আম্মা (জাহানারা ইমাম) , আপনি নাই বলে এই কলঙ্ক দেখতে হল না, এই লজ্জা পেতে হল না
অনেক বছরের সম্পর্ক অনিবার্য কারণে ভেঙ্গে যাবার পর কেবল ভাল বন্ধু থাকার প্রতিশ্রুতি নিয়ে যখন বিদায় দেবার জন্য দরজায় দাড়িয়ে ওর চোখের দিকে তাকালাম,
সে কেবল অস্ফুট স্বরে বলল- আশা করি জীবনে তোমার মতই আর কারো সাথে আমার দেখা হবে।
অতিসাধারণ এক তরুণ থেকে সেই মুহূর্তেই পরিণত হলাম বিশ্বের শ্রেষ্ঠতম এক্স-বয়ফ্রেন্ডে!
শিব ঠাকুরের আপন দেশে, আইন-কানুন সর্বনেশে !
এতে অবাক হবার কিছুই নেই, তারপরও অবাক হতে হয়। যে মহাবিজ্ঞ মানুষেরা দিনরাত নিজেদের সৃষ্টির সেরা জীব মনে করে তারা কিভাবে দৈনন্দিন জীবনের এই সমস্ত বিষয়গুলো পাশ কাটিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে পারে তাতে অবাক হওয়া ছাড়া কোন গতি দেখি না।