অনাকাঙ্খিত নৌ-শ্রমিক ধর্মঘট এবং ব্যপক যানজটে কবলে পড়ে আমাদের উপকূলীয় জলচর পাখিশুমারির শুরুটা বেশ লেজে-গোবরে হবার উপক্রম হয়েছিল, অবশেষে লঞ্চ যখন লক্ষীপুরের মজু চৌধুরীর ঘাট থেকে ছেড়ে ভোলার ঘাটে পৌঁছল, আগামী কয়েকদিনের আবাস ট্রলারগুলোর দেখা মিলল, মনে হল – কুফা বুঝি কাটা শুরু করেছে। এবার ক্লান্তি দূরের জন্য চায়ের ফরমায়েশ, সেই সাথে টা হিসেবে টোস্ট বিস্কিটের এন্তেজাম। এই সময় সাথের ভ্রমণ সঙ্গী প্র
মাস কয়েক আগে মা কিছুটা অভিযোগের সুরেই মুঠোফোনে বললে- তোমার সব বন্ধুরাই সেটল হয়ে গেছে, বুঝলা!
কুতবেতিন বারানের সাথে আমার প্রথম দেখা ইউনিভার্সিটির ল্যাবে, ২০০৩ সালের বসন্ত তখন। গলায় মোড়ানো লাল-সাদা আরব স্কার্ফ, হাতে ভারী ভারী দুখানা বই, মুখে উচ্ছল হাসি আর চোখে খাঁটি মানুষের সারল্য। দেখেই খুব আপন মনে হয় এমন এক ব্যক্তিত্ব সে, (যদিও আরবদের সাথে মেশার অভিজ্ঞতা খুব সুবিধার না হওয়ায় সহসা এগোনো হয় না )। জিজ্ঞাসা করলাম নাম কী বড় ভাই( আমার চেয়ে ঢের বড় বয়সে)? বাড়ী কোন দেশে?
ইদানীং যে প্রশ্নটা শুনলে মাথার এক হাত লম্বা চুলগুলো পুরো খাড়া খাড়া হয়ে যায় তা হচ্ছে- আপনি কি বিবর্তনে বিশ্বাস করেন? প্রশ্নটা শোনা মাত্রই যে ধারণাটা প্রশ্নকর্তা সম্পর্কে করা যায় তা হচ্ছে সে বিবর্তন সম্পর্কে কোন জ্ঞান রাখে না, লোকমুখে ভাসা ভাসা কিছু শুনে শব্দটা জেনেছে, এখন জ্ঞান কপচানোর জন্য এমন ফালতু একটা প্রশ্ন করে বসেছে।
যথাসময়ে লামু ছাড়লাম আমরা-
এই ছিল প্রথম লাইন, মাথার কোষে কোষে গেঁথে গেল একেবারে, এখনো অন্ধকারে সামান্য আলোকপাতে স্তূপকৃত মণিমাণিক্য যেভাবে জ্বলজ্বল করে ওঠে, তেমনি এই শব্দমালা মুহূর্তের মাঝে ফিরিয়ে নিয়ে যায় আলো ঝলমলে শৈশবে। পাশের বাড়ী থেকে ধার করে আনা আধা ছেঁড়া ইয়া মোটা এক নিউজপ্রিন্টের বই, এমনই বাজে ভাবে ছিঁড়েছে যে প্রথম অধ্যায়ই নেই!