[b]যখন ভাবি এই লেখাগুলোর মধ্যে আমি কতখানি নিজের দোষ স্বীকার করে উঠতে পেরেছি তখন আর আমার আফসোস থাকেনা। হাজার হোক আমি তো দেবতা নই। যারা আমাকে দেবতা জ্ঞান করতেন তারা যদি আজ আমাকে রক্ত-মাংসের মানুষ মনে জেনেও ভালবাসেন তবেই না জীবন সার্থক। উঁচু পিঁড়িতে বসে শ্রদ্ধা পাবার অভিলাষ আমার নেই। যেটুকু গানবাজনা করেছি, মানুষকে যেটুকু আনন্দ আজ অবধি দিয়েছি, তার বিনিময়ে যেটুকু শ্রদ্ধা-ভালবাসা মানুষ আমায় দিতে পার
প্রতি বছর ডিসেম্বর মাস ফিরে আসল আমার বাবার কথা খুব মনে পড়ে, ১৯৭১ সালের শেষের দিকে, বাবার বয়স তখন হয়ত ২২ ছুঁই ছুঁই, নাকি আরও কম, জমাদার কৃষকের ছেলে, লেখাপড়া করে গ্রামের স্কুলের শিক্ষক হয়েছিলেন ( তখনো উচ্চ শিক্ষার্থে শহর অভিমুখে যাত্রা করেন নি), কিন্তু ১৯৭১এর সম্মুখ সমরের মুক্তিযোদ্ধা, অনেক অনেক বার বেঁচে গেছেন শত্রুর গুলী থেকে, যুদ্ধাহত প্রিয় বন্ধুকে পৌঁছে দিয়েছেন সীমান্তের অপর পারের হাসপাতা
নিঝুম রাত। নিস্তব্ধতা চিরে লম্বা চাপা শিসের শব্দ!
কে যায়?
টম সয়্যার।
তোমরা?
লাল পাঞ্জা।
সংকেত?
রক্ত!
তিব্বতের একটি গ্রাম দেখে জীবনানন্দের বিমুখ নেশনের কবিতা মনের মাঝে ঘুরে ওঠে, অতলান্তিক এবং ভারত মহাসাগরের মিলন স্থলের টেবিল পর্বত মনে করিয়ে দেয় বানিজ্যবায়ুর জন্য অপেক্ষমান নৌবহর আর নাবিকদের কথা, হাভানা বন্দরের ওপর পাশে কমলা রঙের সূর্য দেখি সেই সাথে দেখি কবির মুখ, বাদুড়ের আঁকাবাঁকা আকাশের নিচে যেন কবিরই প্রতিচ্ছায়া, উড়োজাহাজ থেকে বাংলার শ্যামল প্রান্তর দেখে সবার আগেই করুণ ডাঙ্গার প্রতি নিবেদন
মাসুদ রানা বাংলাদেশে কাউন্টার ইন্টেলিজেন্সের এক দুর্দান্ত দুঃসাহসী স্পাই। গোপন মিশন নিয়ে ঘুরে বেড়ায় দেশ-দেশান্তরে। বিচিত্র তার জীবন। অদ্ভুত রহস্যময় তার গতিবিধি। কোমলে কঠোরে মেশানো নিষ্ঠুর সুন্দর এক অন্তর। একা। টানে সবাইকে কিন্তু বাঁধনে জড়ায় না। কোথাও অন্যায়- অবিচার-অত্যাচার দেখলে রুখে দাঁড়ায়। পদে-পদে তার বিপদ-শিহরন-ভয় আর মৃত্যুর হাতছানি।
আমার প্রিয় কবি সেই ডাঙা ছেড়ে পৃথিবীর পথে রূপ খুঁজতে যান নি, যেই ডাঙার পথে পথে নির্জন অঘ্রাণে ছড়ায়ে থাকা বটের শুকনো পাতা এক যুগান্তের গল্প ডেকে আনে, বন্ধুদের বলেছিলেন- তোমরা যেখানে সাধ চলে যাও- আমি এই বাংলার পারে রয়ে যাব। বাংলার মুখ দেখে পৃথিবী রূপ খোঁজার ইচ্ছাও পোষণ করেন নি আর। মালাবারের সুনীল সমুদ্র, আর ঊটির পর্বতের শোভা দেখার আমন্ত্রণ অবলীলায় তিনি প্রত্যাখ্যান করেছেন বাংলার ভোরের দোয়েল প