শুকনো রোদে পোড়া দেশ আমার, সারা মহাদেশের একমাত্র ভূখণ্ড যার সাথে দুই-দুইটি মহাসাগরের সখ্য আছে কিন্তু বাস্প ভেজা শীতল হাওয়া আর পোয়াতি কালো মেঘেরা ঊষর প্রান্তর পেরিয়ে আমাদের উঠানে আসতে পারে না, তার আগে আগে ঝরে ঝরে রীতিমত হালকা অবস্থায় ফ্যাঁকাসে দর্শন দিয়ে শিমুলের তুলার মত দূর থেকেই সীমানার বাহিরে চলে যায়। চাতককে হার মানিয়ে অধিকতর আগ্রহ নিয়ে আকাশ পানের চেয়ে থাকি আমরা দিবা-রাত্রি, যদি দলহারা
পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ার সময়ই জীবনের লক্ষ্য ঠিক করে ফেললাম, বড় ভাইয়ের উপরের ক্লাসের বাংলা বইতে একটা রচনা পড়েছিলাম- তোমার জীবনের লক্ষ্য। সেখানে লেখা ছিল লক্ষ্যহীন জীবন নাকি মাঝিবিহীন নৌকার মত, কোথাও পৌঁছাতে পারে না, কাজেই লক্ষ্য থাকতেই হবে ( এখন জেনে গেছি, - ইহা বিশাল বাজে কথা, এক হিসাবে অভীষ্ট লক্ষ্য থাকা এবং সেখানে পৌঁছানোর জন্য পরিশ্রম করা অবশ্যই ভাল, আবার থাকতেই হবে এমন দিব্যি কেউ দিয়ে রাখে নি
আমি খুবই আইলস্যা ধরনের মানুষ, মানে নতুন ধরনের কোন কাজ শিখতে অনীহা ব্যপক ( যদি না তা পথ চলা জনিত হয়), বিশেষ করে লেখালেখির ক্ষেত্রে। তারপরও বিশেষ পরিস্থিতিতে পড়ার কারণে মাঝে মাঝেই লিখা হত ( সেই কাহিনী অন্য দিনের জন্য তোলা থাক, আজ কেবল সচলায়তন নিয়ে কথা লেখার পালা) বিভিন্ন খবরের কাগজ, সাহিত্যপত্রিকা ইত্যাদির জন্য। এর মাঝে দেশের বাহিরে চলে এসেছি বেশী কাঁচা বয়েসে ( কচি বলা যাচ্ছে না) , তারপর সেখ
পায়ে হেঁটে রিকশা ভাড়া বাঁচিয়ে প্রায়ই সেবার কিশোর থ্রিলার, না হয় ক্লাসিক, নতুবা অনুবাদ কেনা হত প্রায়ই স্কুল জীবনে। একবার কাঙ্খিত বই না পেয়ে বেশ কিছু পুরাতন রহস্য পত্রিকা নিয়ে এসেছিলাম, বিশেষ করে একটার মলাটে অড্রে হেপবার্ণের ছবি দেখে। ঠিক মনে পড়ছে না, কিন্তু সম্ভবত সেই রহস্যপত্রিকাটির ভেতরেই ছিল গ্যালোপাগোস দ্বীপপুঞ্জের কিছু আলোকচিত্র নিয়ে দারুণ এক ফিচার। মহামতি ডারউইনের স্মৃতিধন্য দ্বীপগ