জীবন কি থামে কখনও
অস্তাচলের পথে?
প্রাণোৎসবে উচ্ছল,
বহুমাত্রায় বর্ণিল জীবন কি থামতে পারে কখনও!
যেমন থামেনি ৫২, ৭১, ৯০ এ।
মানুষ যখন অমানুষে পরিণত হয়,
মরণকামড় দেয় হিংস্র শ্বাপদের মত
জীবন এগিয়ে চলে তখনো।
পায়ে না পারলে হাতে,
হাত অচল হলে গড়িয়ে গড়িয়ে
সুমহান কিছুকে ছোবার আশায়,
অজানাকে জানার আশায়,
কখনো স্রেফ হতাশাগ্রস্ত ভাবেই- এগিয়ে চলে।
জীবনের সার্থকতা কোথায়?
একজন মানুষের ছবি শৈশব থেকেই আমার মানসপটে খোদাই হয়ে আছে-পাতলা ধরনের মানুষটির মুখে এক চিলতে হাসি, নাকের নিচে সরু গোঁফ, মুখে বিনয়ী ভাব কিন্তু চোখ দুটো যেন আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। মানুষটির হাত ভর্তি পুরস্কারের ট্রফি, সেগুলোর সংখ্যা এটি বেশী যে দুই হাতে আগলাতে যেন হিমসিম খাচ্ছেন তিনি। মলিন নিউজপ্রিন্টে ছাপা খবরের কাগজটি যেন প্রাণোচ্ছলতায় ভরে উঠেছে কেবল তার হাসিময় চোখ দুটোর জন্য। কে তিনি?
আমি বাঁচতে চেয়েছিলাম প্রবলভাবে
এই প্রচণ্ড আকুতিই আমায় নিয়ে গিয়েছিল বনের গহনে-
অন্য অনেকের মত কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা নয়,
নতুন মডেলের গাড়ী নয়,
বাড়ী, এমনকি সুন্দরী বান্ধবীও নয়-
আমি শুধু বাঁচতে চেয়েছি প্রবলভাবে
মুখে রোদ, বৃষ্টি, বাতাস, তুষারের বুনো স্পর্শ নিয়ে।
আমি বাঁচতে চেয়েছি-
উৎকণ্ঠা ও উত্তেজনার মাঝে,
সংগ্রাম ও প্রতিরোধের মধ্যে।
তোমাদের এই নোংরা ধূসর কড়িকাঠের শহর ছেড়ে
দাগি রাজহাঁস ( Bar-headed Goose, Anser indicus) এর বাৎসরিক পরিযোজনের দূরত্ব অন্যান্য অনেক পরিযায়ী পাখির চেয়ে যথেষ্টই কম, কিন্তু সেই ভ্রমণের আকর্ষণ অন্য জায়গায়। তাদের প্রজননক্ষেত্র তিব্বতের সুউচ্চ মালভূমিতে এবং শীতকালীন বিচরণক্ষেত্র ভারতবর্ষের নিচু এলাকায়। প্রতি শীতে তাদের অতিক্রম্য দূরত্ব মাত্র ৭০০- ১০০০ কিলোমিটার, এবং বাতাসের যথেষ্ট সহযোগিতা পেলে এই দূরত্ব ১ দিনেও অতিক্রম করা সম্ভব।
পথের আঁধারে দেখেছিনু তারে,
ঠিক যেমন হাজার বছর আগে, কালীদহের গাঙে
জোনাক পোকার ভিড়ে
নিভু নিভু আলোর মাঝে যখন সন্ধ্যা তারা জ্বলে পশ্চিম আকাশে
পৃথিবীর সমস্ত সুন্দর যেন ঠাই নিয়েছিল একই মুখে!
বর্ণনা?
কবির কি সাধ্য আকাশ, সাগর, প্রকৃতির বর্ণনা দেওয়া!
না।
আর এতো তার চেয়েও মহত্তর- এক মানবী!
প্রেমিকের কাছে এক প্রেমিকা,
ভালোবাসার বহ্নিশিখা যাকে পোড়ায় অষ্টপ্রহর
তাকে কি ভাবে প্রকাশ করি, বল?
তীব্র বাজনার ঝঙ্কারের সাথে সাথে কঠোর জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী এক বৃদ্ধ পিতার একঘেয়ে কর্তব্যপোদেশ প্রবেশ করে শিশু অ্যাডলফের কানে, বিরক্তি ধরে যায় তার এমন জীবনধারার প্রতি, বিশেষ করে কলম পেষা কেরানীর ভূমিকায় আপন অভিভাবককে সারাজীবন অতিবাহিত করতে দেখে, বাবার মৃত্যুও ঘটে অতিসাধারণ ভাবে।