১৯৮৯ সালের গ্রীষ্মে জ্যাক ড্যামবাখার নামের এক জীবতত্ত্ববীদ পাপুয়া নিউ গিনিতে বার্ড অফ প্যারাডাইস নিয়ে কাজ করছিলেন, গবেষণার মূল লক্ষ্য ছিল কিছু নির্দিষ্ট প্রজাতির পাখি ধরে পায়ে রিং লাগানো এবং সেই সাথে জালে আটকা পড়া অন্যান্য প্রজাতির পাখিদের পুনরায় বলে ছেড়ে দেওয়া, যাদের মধ্যে প্রায়ই থাকত সেই বনের স্থানীয় বাসিন্দা গায়ক পাখি হুডেড পিটোহুই ( Hooded Pitohui, Pitohui dichrous)
গত কদিন ধরে মন বড্ড খারাপ হয়ে আছে, চোখ বুজলেই খবরের কাগজের একটি ছবি বার বার মনের পর্দায় ভেসে উঠছে, একটি লাশ, ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে দড়ি দিয়ে বাঁশের সঙ্গে, মুখ থেঁতলানো, আঘাতের পর আঘাতে দাঁত বিকৃত হয়ে বেরিয়ে পড়েছে, খুব খেয়াল করে দেখলে হয়ত সেখান থেকে টপ টপ ঝরে পড়া রক্তবিন্দুও দেখতে পেতাম।
স্কুল ছুটি হয়ে যায় দুপুরের আগেই, মায়ের অফিস শেষ হতে তখনো কঘণ্টা বাকী, প্রায়শই এই সময়টাতে তার অফিসে, বাংলাদেশের ২য় বৃহত্তম গ্রন্থাগার, রাজশাহী বিশ্ব- বিদ্যালয় গ্রন্থাগারে কাটানো হত নানা বিদেশী ছবির বই দেখে, বিশেষ করে জীবজন্তুর বৈচিত্রময় রঙিন ছবিগুলো যে কি উদ্বেলিত করে তুলত অদ্ভুত সব কল্পনায়।
সমতলের পদ্মাপারের মানুষ, কষ্ট করে ঘাম ঝরাতে এসেছি পর্বতে চড়তে, ফ্রান্সের আল্পসে। চড়াই-উৎরাই ডিঙ্গানোতে সেবারের মতো ইতি টেনে অতি ক্লান্ত পেশীগুলোকে বিশ্রাম দিতে আস্তানা গেড়েছি আল্পসের কোলে প্রকৃতির মাঝে এক পাহাড়ী শহর শবেরিতে, পুরনো অভিযাত্রার সঙ্গিনী হেলেনের বাড়ীতে।
গতকাল বিকেলে বেশ কদিন পরে হাঁটাহাঁটির জন্য তুষারস্নাত বনে হারিয়ে গিয়েছিলাম খানিকের জন্য, এখন অবশ্য বসন্তের আগমন ধ্বনি সোৎসাহে ঘোষণা করছে ক্ষুদে পাখির দল তাদের মনমাতানো কলরবে, কিন্তু শীতের বিদায়বার্তা আসলেও তার নীরব শ্বেত জমাট অস্তিত্ব এখনো চারিধারেই বিপুল বিক্রমে প্রকাশিত, যে কারণে বন-প্রান্তর আসলে তুষার নয় শক্ত বরফাচ্ছাদিত। পাখি ছাড়াও অস্তিত্বের জানান দিচ্ছে বুনো খরগোশের দল, চঞ্চল কাঠবেড়া