সেই দুষ্টু শিশুটির গল্প জানা আছে নিশ্চয়ই। অসুখ হয়েছে কিন্তু কিছুতেই সে তেতো ট্যাবলেট খাবে না। তার পছন্দের খাওয়া রসগোল্লা। মা পরে চালাকি করে এক হাড়ি রসগোল্লা কিনে তার সবগুলোর ভেতর একটা করে ট্যাবলেট ঢুকিয়ে রাখল। দুষ্টু শিশু প্রতিদিন দুটো করে রসগোল্লা খায়। সে মহা খুশী, সাথে তার মা ও খুশী। পরে অসুখ ভালো হচ্ছেনা দেখে একদিন পুত্রকে জিজ্ঞেস করেন, বাবা রসগোল্লা খেয়েছ? ছেলে ফোকলা দাতে ফিচেল হাসি দিয়ে বলে, রসগোল্লা খেয়েছি কিন্তু রসগোল্লার ভেতরের বীচি ফেলে দিয়েছি। যে দেশের বুড়ো বুদ্ধিজীবীরা দেশের প্রথম সারির পত্রিকায় 'বিজ্ঞান চাই, বিজ্ঞানবাদিতা চাইনা' ঘরানার বিষ্ঠা প্রসব করেন সেই দেশের শিশুরা খালি রসগোল্লা চাইবে, তার বীচি চাইবে না এটাই তো স্বাভাবিক।
ভূমিকম্প ও ঈশ্বর
ভূমিকম্পের সাথে ঈশ্বরের কোন সম্পর্ক নেই, পৃথিবীর ভেতরে যেই ফল্ট লাইন গুলা আছে তার সম্পর্ক আছে। এটা আমার বিশ্বাস না, সামান্য লেখাপড়া করে প্রাপ্ত জ্ঞান। আপনি বিশ্বাসী হলে সেই জ্ঞানের সাথে ঈশ্বরকেও যোগ করতে পারেন, সমস্যার কিছু নেই তাতে। কিন্তু জ্ঞানটুকু বাদ দিয়ে শুধু ঈশ্বরকে যোগ করলেই সমস্যা। 'মানুষের পাপ বেড়ে গেলে ভূমিকম্প হয়' এই কথা সম্পূর্ণ যুক্তিহীন, প্রমাণ বিহীন। তবে বিশ্বাসহীন নয়, বিশ্বাস করতেই পারেন। বিশ্বাস করার জন্য কোন যুক্তি প্রমাণের প্রয়োজন নেই। পৃথিবীর সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ভূমিকম্পের তালিকায় যেমন নেপালের মতো কারো সাতে পাঁচে না থাকা নিরীহ মানুষেরা আছে, ধর্মের খুব একটা ধার না ধারা জাপানীরাও আছে। তেমনি মডারেট তুর্কীরা আছে, ধর্মপ্রাণ ইরানী এবং ইন্দোনেশিয়ানরাও আছে। যদি পাপের কারণে ভূমিকম্প হতো তবে সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পের তালিকার এক নম্বরে চিলি থাকার কথা ছিলোনা। অনেক ভেবে চিন্তেও ফুটবল পাগল চিলিকে ঠিক পৃথিবীর সবচেয়ে পাপিষ্ঠ জাতি হিসেবে মেনে নেয়া যায়না। ইন্দোনেশিয়াকেও না। তালিকায় এর পরে থাকে উত্তর আমেরিকা, জাপান বা রাশিয়া। এদেরকে না হয় পাপিষ্ঠ হিসেবে ধরা যায়। কিন্তু তার পরেই আছে আমাদের বাংলাদেশ! সবচেয়ে শক্তিশালী ভূমিকম্পই হোক বা সবচেয়ে ক্ষয়ক্ষতি করা ভূমিকম্পই হোক তালিকাটা পুরোই র্যান্ডম। তাই পাপের সাথে বা ঈশ্বরের সাথে এর কোন সম্পর্ক আছে বলে সহজ যুক্তি বা প্রমাণে মনে হয় না ।
কবি হিলফুল ফুজুল বিন উমরের আদি নাম ছিল হিল্লোল ফজল। হিল্লোল নাম শুনে ফজল পর্যন্ত না গিয়েই নাক সিটকাতো প্রকাশকেরা। বাংলা একাডেমির আমীর আল্লামা শামসুর সুস্পষ্ট নির্দেশ আছে লেখকের নামেও যেন কোন ধরণের উস্কানি না থাকে। হিল্লোল নামের মাঝে পরিষ্কার একটা হাসি মস্করা এবং হিন্দুয়ানী গন্ধ আছে। কিন্তু হিল্লোলরা হিন্দু নয়। একদিন হিল্লোল গাল ফুলিয়ে তার বাপ অমর ফজল কে গিয়ে ধরে, আব্বাজান আপনার নামটা ওমর না রেখে অ
সাহিত্যের রূপ ঠিক কিরকম হতে পারে সে নিয়ে হয়তো আলোচনা পর্যালোচনা চলতে পারে। তবে আমাদের দেশের বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে বলা যায় সাহিত্য শুধু একরূপই হতে পারে। যার শুরুতে থাকবে সুভানাল্লা আর শেষে আলহামদুলিল্লাহ। আর মাঝখানের পুরোটা বাঁধা থাকবে একটা লাইনের মাঝে। লাইনের বাইরে গেলেই কোপ। দেশের বখে যাওয়া নাস্তিক মুরতাদ সাহিত্যিকরা হয়তো ভেবে ভেবে মাথার চুল ছিঁড়ে ফেলছেন, কিভাবে লাইনে থেকে জান বাঁচানো যায় এই
সেলিনা পারভীন যাবার আগে ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে বলেছিলেন, সুমন তুমি মামার সাথে খেয়ে নিও। আমি যাব আর চলে আসব। গিয়েছিলেন কিন্তু আর ফিরে আসেন নি। পায়ের সাদা মোজা দেখে চেনা গিয়েছিল তাকে। এমনিতে চেনার উপায় নেই। চোখ বাঁধা, নাক মুখের কোন আকৃতি নেই, স্তনের অংশ কাটা। তাঁকে যখন বেয়োনেট দিয়ে খোঁচানো হচ্ছিল তিনি তখন বারবার তার শিশু সন্তানের কথাই বলছিলেন।
ফেসবুক জিনিসটা বিপদেই ফেলে দিয়েছে মানুষদের। চোখের সামনে দেখেছেন হয়তো ওই পাড়ার মকবুলকে। ছোটবেলা থেকে যার নাক দিয়ে দিনরাত পানি পড়তো। যে হয়তো একটা বাক্যও গুছিয়ে বলতে পারত না। নার্ভাস হলে তোতলানো শুরু করতো। রাস্তার নেড়ি একবার ঘেউ ঘেউ করলে যে বাবারে মারে বলে দৌড়ে ,মায়ের আঁচলের তলায় গিয়ে লুকাতো। ফেসবুক আসার পরে সেই মকবুলই হয়তো মিস্টিরিয়াস ম্যাক নাম নিয়ে রাতারাতি হয়ে গেছে বিরাট সেলেব্রিটি। সে এখন সমাজ রা
এক জ্ঞানী লোকের পশ্চাৎদেশে একবার ইয়া বড় এক ফোঁড়া হল। বেচারা কোথাও গিয়ে বসতে পারেনা। শিষ্যরা তাকে বসার জন্য কাঠের চেয়ার এনে দিলে সে বলে, এইভাবেই দেশের সমস্ত কাঠ কেটে ফেলা হচ্ছে। বন জঙ্গল উজাড় করে দেয়া হচ্ছে। মানিনা মানবো না। কাঁচুমাচু হয়ে শিষ্যরা ষ্টীলের চেয়ার এনে দিলে বলে, এইভাবে ষ্টীল মিল বানিয়ে দেশ ধ্বংস করে দেয়া হচ্ছে। কলকারখানার বিষাক্ত কালো ধোঁয়া চারিদিক দূষিত করে ফেলছে। মানি না
মোটের উপর তিনভাগে ভাগ করা যায় মানুষকে সন্ত্রাস সংক্রান্ত বিষয়ে
শিকারি - সন্ত্রাসী
শিকার - যে সরাসরি সন্ত্রাসের কবলে পড়ে আহত বা নিহত হয়েছে
দর্শক - যারা সন্ত্রাসী নয়, সরাসরি সন্ত্রাসের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্তও হয়নি কিন্তু সমস্ত ঘটনা দেখছে এবং জানছে।
এই দর্শককে আবার তিন ভাগে ভাগ করতে পারি
অন্ধ দর্শক
প্রতিবাদী দর্শক
সমর্থনকারী দর্শক
বিচারক কোমল গলায় বললেন, দেখেন ভাই, আমি রসিক মানুষ। আমি রসিকতা পছন্দ করি। শুধু পছন্দ করি বললে ভুল হবে, এটা আমার জীবন বলতে পারেন। মানুষের জীবন থেকে যদি হাস্যরস কেড়ে নেয়া হয় তবে কি আর বাকি থাকে বলেন। আমি শুনেছি, বাংলাদেশের রাজনীতির অঙ্গনে আপনার মতো রসিক মানুষ আর একটাও নাকি নেই। নিজ কানে আপনার রসিকতা শোনার সুযোগ হয়নি। তাই সেই সুযোগটা নিতে চাচ্ছি, সেইসাথে আপনাকেও একটা সুযোগ দিতে চাচ্ছি। সহজ ব্যাপার। আপ