সেবার খুব বন্যা হলো, ১৯৮৮ সাল। বড়’রা সবকিছুতে বেশি বেশি চিন্তা না করতে পারলে খুব সমস্যায় পড়ে যান, ছোটদের চিন্তা করার সময় কোথায়! সারা দেশ বন্যায় তলিয়ে গেল, তলিয়ে গেল প্রায় পুরো ঢাকা শহর; ঢাকা শহরের বড় বড় রাস্তায় নেমে এলো নৌকা, তলিয়ে গেল পাড়া-মহল্লা এবং ছুটি হয়ে গেল স্কুল!
আমি দল বুঝিনা মত বুঝিনা, বুঝতে নারাজ বিশ্ব-
আমার ধমনীতে লক্ষ শহীদ, শহীদ-মাতার স্পর্শ --
তুমি কে আসো হে শেখাও আমায় বীর-বাঙ্গালীর গর্ব!
আমি হার মানি না মনের ভুলে-ও, যাচ্ছি লড়ে, লড়বো!
আমি এক বাঙালী সত্ত্বা-জুড়ে সব বাঙালীর সাধ!
আমি বাংলা মায়ের তারুণ্য সে চেতনায় অবাধ --
তুমি মন্ত্রণাতে ভাবছ আমায় ভুলিয়ে দেবে সব?
আমি উল্টো স্রোতের মুখামুখি থাকি না নীরব:
[justify]ফেসবুকে প্রথম দেখলাম খবরটা। ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে লাখো কণ্ঠে জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে বিশ্বরেকর্ড করার যে উদ্যোগ তাতে ইসলামী ব্যাংক তিন কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে, সেটা নেয়া-ও হয়েছে। নিশ্চিত ছবি তোলা হয়েছে, পত্রিকায় সেটা আমরা দেখবো এবং আমাদের আর কোনদিন মরে যেতে ইচ্ছা করবে না!
খুঁজেছিলে পাদটীকা পেয়ে গেলে পদ্য,
জেনে গেলে ব্যাকরণ- ভুলে ভরা গদ্য,
রীতি সব নীতি মানে নিয়মে তা বন্দি,
আমরা নই বেঁচে থাকে আমাদের সন্ধি...
সমাসের ব্যস নেই তবু জুড়ে বাক্য,
বৃত্তের লাজ নেই তাই খোঁজে ঐক্য,
একতা কি জাতি-হীন মানবতা ভ্রষ্ট?
দাঁড়ি আর পাল্লায় পশু ঘ্রাণ স্পষ্ট...
নষ্ট সে নতজানু দুষ্ট যা প্রকারে,
মিথ্যেরা লুপ্ত তাই বাড়ে আকারে --
ইতিহাসে দায় নেই তবু খোঁজ যুক্তি?
[justify]‘কি ভাই, ক্যামন আছেন?’ জানতে চাইলাম, অফিসের নীচে সিগারেট খেতে নেমেছি, স্মোকিং-ফ্রি এনভায়রনমেন্ট, নিচে নেমে মাঝে মাঝে সব পাপী’দের সাথে দেখা হয়, সেখানে বিদেশী নারী’রা সিগারেট খায়, তাই দেখে মাঝে মাঝে ভিরমি খেয়ে তাকিয়েই থাকে কিছু বেকুব কিসিমের প্রাণী। সেদিন, আর কেউ নেই, আমি কনসালটেন্সি বাদ দিয়ে চাকুরী’তে অস্থায়ী ভিত্তি’তে স্থায়ী হয়েছি, তিনি জবাব দিলেন, ‘চলছে লড়াই!’
বাংলাদেশে মৌলবাদের রাজনৈতিক-অর্থনীতি: পাঠ পর্যালোচনা ০১
[justify]বার্ষিক ২,০০০ টাকা নীট মুনাফা’র পাশাপাশি অর্থনীতির প্রবৃদ্ধির হার (৭.৫% থেকে ৯%) মূল স্রোতের প্রবৃদ্ধির হারের তুলনায় বেশি হওয়ার কারণে, এবং রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নের ফলে সৃষ্ট চলমান সামাজিক বৈষম্য অপরিবর্তিত থাকলে অর্থনীতির সাম্প্রদায়িকী-করণ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করেছেন অধ্যাপক আবুল বারাকাত। বার্ষিক নীট মুনাফার খাত-প্রতিষ্ঠান ভিত্তিক যে চিত্র তিনি তুলে ধরেন তা থেকে দেখা যায় মোট নীট মুনাফার শতকরা ২৭ ভাগ আসে আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথা ব্যাংক, বীমা, লিজিং কোম্পানি’গুলো থেকে। এরপর সর্বোচ্চ ১৮.৮% আসে বেসরকারি সংস্থা, ট্রাস্ট, ফাউন্ডেশন কিংবা অন্যান্য খাত থেকে; বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান (খুচরা, পাইকারি, ডিপার্টমেন্টাল স্টোর) থেকে আসে
[justify]অধ্যাপক আবুল বারাকাত বিষয়টা নিয়ে লিখেছেন আগেই, তারপর সেটা আরও পরিবর্ধিত হয়েছে বিভিন্ন সময়। পরিবর্ধিত রূপটি একটি ছোট বই আকারে বের হয়েছে ২৬ জুন ২০১২ সালে। মাত্র ৩০ টাকা দামের বইটি পড়তে শুরু করলে এক পর্যায়ে থমকে যেতে হয়, জানা যায় বর্তমানে বাংলাদেশে মৌলবাদের অর্থনীতির বার্ষিক নীট মুনাফা ২,০০০ কোটি টাকা (২৫০ মিলিয়ন ডলার)!
[justify]কসাই কাদের শাস্তি পেয়ে গেছে, আপনি খুব খুশী। আপনি ভুলেই গেছেন এই শাস্তি আটকে দেওয়ার জন্য গত কয়েকটি বছর ধরে কতরকম ষড়যন্ত্র করা হয়েছে, সারা দেশজুড়ে তাণ্ডব চালানো হয়েছে, হাত-পায়ের রগ কেটে ফেলে রাখা হয়েছে মানুষ’কে, আরও বহু কিছু বলা যায়, তাই না? একটা কসাই এর শাস্তি দিতে বাংলাদেশ’কে যে মূল্য চুকাতে হয়েছে তার হিসেব কষে দেখেছেন আপনি? আচ্ছা, এই শাস্তি শুধুমাত্র কসাই কাদের এর জন্য বলে মনে হয় আপনার?
[justify]
[justify]আমাদের গ্রামটি’র নাম ছিল চৈতন্যপুর, সুহৃদ ছিল তার নদীটি’র নাম; দুই ধারে আনমনা কাশবন, তারপর একাকিনী ফাঁকা মাঠ নিকনো সবুজে ঢেউ। এলোমেলো পাড়া ছিল, আরও ছিল পাড়াদের ঘর-বাড়ী- মানুষের নাম। পাখীটির নাম ছিল সুজলা, সুফলা ডানায় তার ভিড় করে মিশেছিল দেহাতী শস্যের শরীর, ঘরণীর আরও ছিল গোলা!