[justify]‘চাঁদের কলঙ্ক নাই, সব দোষ মানুষের মনে, বুঝলা নীলাম্বর!’বলে অস্থি-পাঁজর কাঁপিয়ে কাশতে থাকেন ধরমপুরের মৌলবি বাড়ীর ছোট মিয়া রহমত মাতুব্বর। নীলাম্বর অধিকারী বিরক্ত মুখে বলেন, ‘তোমারে কতবার বললাম তুলসীপাতা, মধু আর আদা মিশায়ে খাও, নাকি তুলসী পাতায় সমস্যা!’ রহমত মাতুব্বর ছোট-খাট বিষয় নিয়ে কোনদিন দুইবার ভাবেন-নি কিন্তু আজকে নীলাম্বর অধিকারী’র শেষ কথাটিতে তিনি সরাসরি তাকালেন তাঁর ছেলেবেলার
পহেলা এপ্রিল, ২০১৩: ভুলে-ভরা ফুল! ভুলে ধরা প্রজাপতি ভুল ছড়া শিখিয়েছে,
ভুল সংকল্পে শিখে ফেলা ব্যাকরণ, সমাস -- মানুষ পণ্যের প্রতিরূপ হয়ে গেছে,
বিক্রি হয়েছে সদা সবাই; শেকড়ে জ্বালানী পুড়াই প্রশাখা’তে জমে যায় দাহ,
শাঁখা সব বৈরাগ্য জেনেছে, পাতায় পাতায় উনুনে’র সনাতন জ্বলুনি প্রত্যহ;
প্রতিটি আলোর শীর্ষ ধরে রাখে বনানী’র উচ্চতর যে বৃক্ষ তার নাম থাকে কি কোন?
[justify]সমাজের মূল স্রোতের বাইরে একদম প্রান্তিক অবস্থানে কিছু মানুষ, দল কিংবা সম্প্রদায় থাকে যাদের অস্তিত্ব টের পাওয়ার বেলায় আমাদের ভেতর একটা অস্বস্তি কাজ করে। একজন উন্নয়ন কর্মী হিসেবে সমাজ যাদেরকে অস্পৃশ্য হিসেবে দূরে সরিয়ে রাখে তেমন মানুষদের কাজ করার সুযোগ ঘটেছে আমার; এই সুযোগ ঘটার কারণেই আমার দৃষ্টিভঙ্গিতে একটা পরিবর্তন এসেছে এটা আমি নিজেই টের পাই। বাংলাদেশে সাধারণভাবে একজন মানুষের এমনকি
[justify]লড়াইটা আদ্যোপান্ত সাংস্কৃতিক বলেই এর আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক চরিত্র আছে -- লড়াইটা সামষ্টিক আচরণ-প্রণালীর, সমষ্টি মানে সর্বশেষে ব্যক্তি। ১৯৭১ সালে’র ২৫ মার্চ রাতে যে গণহত্যা শুরু তার মূল পরিকল্পনায় যা ছিল তার নাম ‘এথনিক ক্লিনসিং’, বাঙ্গালী জাতিসত্তা নির্মূল অভিযান। হানা দেয় যারা তাদেরই হানাদার বলে, আর রাজাকার মানে কেবলমাত্র কয়েকটা নাম নয়, রাজাকার মানে প্রচুর হত্যা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতন
[justify]ঘুমকাতুরে ঘুমের দেশে ঘুমিয়ে থাকা লক্ষ্মী-সোনা আধেক মানুষ, আর আধেকে নষ্ট রাতের গদ্য -- তুমি ঘুমাও বরং, তোমার জেগে থাকার প্রয়োজন নেই আর.. এই জাগ্রত রাতের সংহতি ভেঙে দিয়ে আজন্ম নতমুখ পরাজয় পদাবলী তোমার হতে নেই এতবেশি দাবী -- তোমার দ্বিধান্বিত পথচলার প্রয়োজন ফুরিয়েছে গতরাতে, কিংবা তারও আগে বহুদূর...
[justify]একজন জুলেখা বিবি কিংবা রহমত আলী’র শুধু নাড়ী নয়, পুড়েছিল ঘর-বসতি-সমাজ, যেমন পুড়ছে আবার। সরুদাসী কিংবা সনাতন ঘরামী’র পুড়েছিল অস্তিত্ব, এখন যেমন। বাংলাদেশের আপামর মানুষ হাপুস নয়নে কাঁদে, চিৎকার করে বুক ফাটায়, আহাজারি করে সরল স্বভাবে -- সেই মানুষগুলো কাঁদতে ভুলে গিয়েছিলো পৈশাচিক বর্বর আক্রমণে। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী’কে লুঙ্গি খুলে মুসলমানিত্ব দেখিয়ে মুসলমান হিসেবেও পালাতে পারেনি ল
এবং তোমার দ্বন্দ্ব মানে নিজের সাথেই প্রবল লড়াই- ঘর জুড়ে তাই ঘুণ ধরেছে,
তোমার দ্বিধা মানে চলতে গেলে হোঁচট খেয়ে যাও দাঁড়িয়ে আর হাঁটো-না --
সব প্রহরেই শুনতে থাকো দিন ফুরিয়ে রাত আসে তাই ভোর হবে-না --
তোমার নিয়ম ভাঙার সকল শপথ শিকল পড়ার ছল মেনেছে,
তুমিও এখন কান পেতে তাই চিরচেনা প্রতারকের মিহিন কোন মন্ত্রণাতে আঁতকে উঠো,
নিয়ম করে ঠিক প্রতিবার ভুল যোগে তাই বিয়োগ মেনে পিছু হটো...
[justify]হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, ইহুদি, জৈন, শিখ, চাকমা, মারমা, গারো, লুসাই, খাসিয়া, মুরং, বম... ‘নাস্তিক’!! -- এদের দেখামাত্র শারীরিক আক্রমণ না করে-ও কেবলমাত্র মনে মনে ধ্বংস কামনা করা যদি ইসলামের মূলমন্ত্র হয়ে থাকে তবে সেই ইসলাম ছেলেবেলায় আমাদের শেখানো হয়নি, আপনি শিখেছেন নীরব পাঠক?
[justify]শহীদ যোবায়ের চৌধুরী রিমু’র নাম নিয়ে শুরু করছি, শুরু করছি আরও সেইসব শহীদ স্মরণে যাদের নাম ভুলে গেছে বাংলাদেশ!
এক এক-এ এক
রাজাকারের মুখোশ খুলে একটু খুঁজে দেখ!
দুই এক-এ দুই
জানলে পরেই বলবে তুমি- ‘তুই রাজাকার’ তুই!
তিন এক-এ তিন
রাজাকারের ফাঁসির দাবী দেশমাতৃকায় ঋণ!
চার এক-এ চার
ঘাপটি মারা দালালেরা আর পাবেনা পার!
পাঁচ এক-এ পাঁচ
সমাজে নয়; বনের পশু চিড়িয়াখানায়, পারলে বনে বাঁচ!
ছয় এক-এ ছয়
একটা বুকভরা শ্বাস টানলে পরে দূর হবে সব ভয়!
সাত এক-এ সাত
যুদ্ধ মানে তোমার হাতে আমার হাতে হাত!